অজানার পথে একলা পথিক........ মধ্যরাতে জেগে উঠি কোনো এক মায়াবতীর নূপুরের শব্দ শুনে। পিছু নেই তার,এগিয়ে যাই সপ্ন মানবীর অতি নিকটে। ধরতে গেলেই দূরে চলে যায়,ঠিক ওই বাঁশ বাগান টায়। অধরাই থেকে যায় সপ্ন ললনা। বুকের ভেতর না পাওয়ার কষ্ট গুলো গুমরে ওঠে।
সপ্নের ভেতর কষ্টের কাব্য লিখি ঘুমাতুর চোখে।
গত কয়েকদিন ধরেই অদ্ভুত এ স্বপ্নটা দেখি। বড়োরা বলের এখন নাকি সপ্ন ঘোরে ধোঁকা খাওয়ার উত্তম সময়। জীবনের প্রয়োজনে বেলা-অবেলায় বেঁচে থাকার বিশটি বসন্ত পার করেছি একাকী। আমার একান্ত কষ্টগুলোকে কারোসাথে শেয়ার করতে চাইনি ইচ্ছে করেই।
কষ্টের কীট গুলো বাস করে আমার সমস্ত সত্তা জুড়ে। আমি চাইনি আমার হৃদয়ের অন্ধকারটায় অন্য কেউ আলো হয়ে ভাগ বসাক। কষ্টগুলো নাহয় একান্তই আমার থাকুক।
হঠাৎ করেই হৃদয়ের ওই কোনটায় খামচে ধরে নিথর হয়ে যাই আমি। মনে হয় পৃথিবীটা তখন আমার ভাবনার বাইরের জগৎ।
কোলাহল মূখর এই পৃথিবীটা যখন ঘুমিয়ে পড়ে,ঠিক তখনই শুরু হয় আমার কষ্টের মঞ্চায়ন। দুচোখের নোনা জলে বয়ে যায় কষ্টের নহর। নিস্তব্দ রাতের সাথে যখন কষ্টগুলোকে ভাগ করব বলে স্থির করি,ঠিক তখনি পূবাকাশে রঙ্গিন আলোর আভা ভেসে ওঠে। দূর আকাশের তারাদের বলি,এসো,আমরা কষ্টের গল্প করি দুজনে,সাড়া পাইনা তাদের। মনে হয় কষ্টের চোরাবালিরাও তাদের মনে খেলা করে প্রতিনিয়ত।
কাঁদি এখন সপ্নের অজান্তে। কাঁদলে নাকি কষ্ট দূর হয়। কই নাতো?কষ্টের বিশালতায় আমি আজ গতিহীন। সপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট নিয়ে ঘুরি বাউন্ডুলে জীবনের মতো। কেউ কেউ তামাশা করে বলে মি.টেনশন।
প্রতীবাদ করিনা,নীরবে সয়ে যাই। তাছাড়া সত্যিই আমি কষ্টের সওদাগর। অজানার সাগর পাড়ি দেই কষ্টদের তাড়াতে। তাড়া ছাড়তে চায়না আমায়। অবরুদ্ধ করে রাখে আমার অবসন্ন দেহটিকে।
তাড়া নাকি অন্য কোনো মাধ্যম খুঁজে পায়না সেখানে যেতে। পৃথিবীতে আমি একমাত্র নরককীট যাকে কষ্টরা আলিঙ্গন করার সুযোগ পেয়েছে। তাই আর জোর করিনা। থাকুক না তারা আমার কাছে নীরব ঘাতক হয়ে। সয়ে যাবো বাকীটা পথচলা।
একা নির্জন নিভৃতে কোনো এক বিশালতার আশায়। লাল-নীল কষ্টই আমার পরিক্ষিত সম্বল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।