খুব ভাল কষ্টের রং
“Emergency Circular” Post: real friend, Qualification: fresh mind, Duty time: Whole life, Experience: not needed, Behavior: Sweet, Salary: Unlimited Love.
এই মেসেজটি একদিন খেয়ালের বশে লিমার সেলফোনে পাঠিয়ে দিলাম। এর মাধ্যমেই লিমার সাথে শুরু হল বন্ধুত্বের পথচলা।
দেখতে না দেখতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ২য় বর্ষটা শেষ হয়ে গেল। আর আমাদের বন্ধুত্বটাও দিন দিন গাঢ় হতে থাকে। আমাদের জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া A 2 Z আমরা একে অপরের সাথে শেয়ার করি।
চলার পথের সুখ-দু্খঃ গুলো বন্ধুর দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগাভাগি করতাম অন্যরকম ভাবে। হয়ত এভাবে চলত চিরদিন। কিন্তু হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত লিমা বিষমাখা একটি তীর ছুটে মারে আমার দিকে। সে নাকি আমার আচরণে অন্য কিছু আবিষ্কার করছে। আমার প্রতি সে অবিশ্বাসের এক কলঙ্খ কালিমা জাগিয়ে তুলল মনে, যার দাগ হয়ত এসিড দিয়ে ধুলেও যাবে না।
ইতিপূর্বে তার জীবনে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডির সাথে আমাকে মেলাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে একটি জঘন্য অপবাদ দিয়ে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে পরে। ঘটনার আকস্মিকতায় তাকে ধন্যবাদ দেওয়া ছাড়া আমার আর ভাষা ছিল না।
পরে জানতে পারলাম বিশেষ একটি কারণে তাকে আমি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে বলে ছিলাম এটাই আমার অপরাধ। বলে ছিলাম তাকে তার সাথে যাদের মনোমালিন্য তা চুকিয়ে ফেলতে।
সবার মাঝে একাকার হয়ে থাকতে। কারণ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা এসেছি কয়েকটি বছরের জন্য। শিক্ষা জীবন শেষে সবাই যে যার পথে চলে যাব। সুতরাং দুই দিনের এ ক্যাম্পাসে জীবনে কারো মনে কষ্ট দিয়ে কী লাভ। তাই তাকে বলে ছিলাম যারা তোমাকে কাঁটা দিয়েছে তুমি তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নাও।
বুঝতে পারবে এতটুকু ত্যাগের মধ্যে কত সূখ লুকিয়ে আছে। সেই দোষে আমি অপরাধী তোমার কাছে তাই না।
লিমা ভাবতে বড় অবাগ লাগে মানুষের মন এত বিচিত্র। আমি এখনো বুঝতে পারলাম না, হঠাৎ তোমার শান্ত সাগর কিভাবে বিষাক্ত ফণা তুলে আমাকে ছোবল দিতে পারল। কিভাবে আমার স্বাভাবিক জীবন ধারায় অনাকাঙ্খিত একটি কালো দিবসের জন্ম দিল।
সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে তুমি এতটুকু আগালে। তাহালে কী বলব তোমার বন্ধুত্বে ছলনা আর স্বার্থপরতাকে মাছ দিয়ে শাক ঢাকার মত ঢেকে রেখেছিলে। বাহ! লিমা বাহ! তোমাকে ধ্যনবাদ না দিয়ে পারছিনা তোমার এই সুন্দর অভিনয়ের জন্য।
লিমা আমি তোমাকে কোনদিন বলিনি শ্রাবনের জ্যোৎøা ভরা রাতে আকাশে ভেসে চলা মেঘের ভেলা এনে দিতে। বলিনি তোমাকে এক টুকরো চাঁদের মাটি কিংবা এভারেষ্টের চূড়া থেকে একটি বরফ খন্ড এনে দিতে।
তোমার কাছে আমার শুধু চাওয়া পাওয়া ছিল। একজন প্রিয় বন্ধু হয়ে থাকবে আমার জীবনে, যত দিন না হাড়ের খাঁচা থেকে প্রাণ পাখিটা উড়াল না দেয়। বাহ! খুব সুন্দর ভাবে আমার চাওয়া গুলো পূর্ণ করলে বন্ধু। তোমার দেয়া কষ্টগুলো লিমা ফেরারী হয়ে তুষের আগুনের মত নিরন্তর দগ্ধ করবে আমাকে। আচ্ছ্ ালিমা আমার জানতে বড় ইচ্ছা হয় কেউ কষ্ট পেলে তুমি কি বিষয়টাকে খুব বেশি উপভোগ কর।
তোমরা মানুষকে এভাবে শুধু শুধু কষ্ট দিতে পার। তুমি কি কোন দিন ভাবনি আমিও তো মানুষ আমারও মন বলে কিছু আছে।
লিমা বিবেকের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে নিজেকে একটি বার প্রশ্ন কর। আমার সাথে আকস্মিক যে আচরণ গুলো করলে তা আদৌ যৌক্তিক ছিল কিনা। তোমাকে একজন ভালো বন্ধু মনে করতাম বলে এভাবে প্রতিদানটা দিলে।
নাকি তা বন্ধত্বের নতুন তত্ত্ব বলে কথা।
লিমা কথায় বলে “ডুবন্ত মানুষ তৃণ খন্ড ধারণ করেত বাঁচতে চায়” তুমি আমাকে যে ভাবে সম্বোধনটা করলে সেই তৃণখন্ড ও আমার জন্য অবশিষ্ট রাখনি। আমার শান্তনার জায়গা শুধু এতটুকু যে তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হবনা কেন। শেষ বেলায় একটি কথা বলব লিমা এক বুক যন্ত্রনা নিয়ে তোমার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি, সেই সাথে একটা অনুরোধ তোমার সুখের সময় গুলোতে এই ছেলেটাকে একটু স্বরণ করিও। তখন হয়ত তোমার মনে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোমার উদাসী চাদর কোন এক সময় এক বিন্দু শিশিরের পরশ পেয়েছিল কিছু সময়ের জন্য।
বিদায়ের করুণ সুর বাজে বন্ধু সুর লহরী হয়ে মাতোয়ারা আকাশে বাতাসে, প্লিজ বন্ধু কান পেতে শোন আর বাঁশির কাছে শোন এই ছেলেটার কাহিনী যে অনুযোগ করছে বিরহ ও বিচ্ছেদের।
এরি নাম কি বন্ধুত ¡?????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।