“বাঙ্গালীর চিরসঙ্গী রবীন্দ্রনাথ” বইটি পড়ছিলাম একটি তথ্য পেয়ে রীতিমত অবাক হলাম। রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় ত্রিশটির অধিক দেশ ভ্রমন করেন। ১৮৭৮ সালে ইংল্যান্ড সফর দিয়ে তার বিদেশ ভ্রমনের সূচনা; তার জীবনের শেষ বিদেশ ভ্রমন ইরাক ইরান, ১৯৩২ সালে। সারা জীবনে যে যে দেশ ভ্রমন করেছেন সেগুলো এক নজরে উল্লেখ করা হলঃ অস্ট্রিয়াঃ ১৯২১, ১৯২৬ আমেরিকাঃ ১৯১২ ১৯১৬ ১৯২০ ১৯২৯ ১৯৩০ ইংল্যান্ডঃ ১৮৭৮ ১৮৯০ ১৯১২ ১৯১৩ ১৯২১ ইতালিঃ ১৯২৫ ১৯২৬ ইরাকঃ ১৯৩২ কানাডাঃ ১৯২৯ গ্রিসঃ ১৯২৬ চীনঃ ১৯২৪ চেকোশ্্লোভাকিয়াঃ ১৯২১ ১৯২৬ জাপানঃ ১৯১৬ ১৯১৭ ১৯২৪ ১৯২৯ জার্মানিঃ ১৯২১ ১৯২৬ ১৯৩০ ডেনমার্কঃ ১৯২১ ১৯২৬ ১৯৩০ দক্ষিন আমরিকাঃ ১৯২৪ নরওয়েঃ ১৯২৬ পারস্যঃ ১৯৩২ পোল্যান্ডঃ ১৯২৬ ফ্রান্সঃ ১৯২০ ১৯২১ ১৯২৬ ১৯৩০ বুলগেরিয়াঃ ১৯২৬ বেলজিয়ামঃ ১৯২০ ব্রক্ষদেশঃ ১৯১৬ মালয়, জাভা, বালিঃ ১৯২৭ মিসরঃ ১৯২৬ রাশিয়াঃ ১৯৩০ রূমানিয়াঃ ১৯২৬ সিংহলঃ ১৯২২ ১৯২৪ ১৯২৮ ১৯৩৪ সুজাইজারল্যান্ডঃ ১৯২১ ১৯২৬ ১৯৩০ হল্যান্ডঃ ১৯২০ হাঙ্গেরিঃ ১৯২৬ কালক্রমে এইদেশগুলোর দুই একটির নাম পরিবর্তন হলে ও দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্তান সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয় না। যে সময় জাহাজে চেপে মাসের পর মাস সাগরের নোলাজলে বাস করে দেশ ভ্রমন করতে হতো, সে সময়ই তিনি এতগুলো দেশ ভ্রমন করছেন। সত্যিই অবাক হতে হয়। আজকের এই আধুনিক যুগ ব্যবস্তা থাকলে রবীন্দ্রনাথের দেশ ভ্রমনের সংখা যে নিশ্চতভাবে বৃদ্ধি পেত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।