যে মুখ নিয়ত পালায়......। । স্যার(প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক) বললেন, রবীন্দ্রনাথ বড় লেখক, মানুষ হিসাবে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাসাগর কিংবা তার মতো মানুষদের ধারেকাছেও আসতে পারেন না। বড় লেখক এবং বড় মানুষ এক নয়। বড় লেখকদের মধ্যে বড় মানুষের ছায়া থাকে।
বড় মানুষেরা আসলেই বড় মানুষ। লেখক কবিরা যা বলে সেরকম আচরন না করলেও চলে। হের লাইগ্যা প্লেটো তার রিপাবলিক থ্যাইক্যা কবিগো নির্বাসনে পাঠাইবার কথা বলছিল।
আমি বললাম, একথা কি রবীন্দ্রনাথের বেলায় ও প্রযোজ্য।
স্যার বললেন, রবীন্দ্রনাথ ব্যতিক্রম অইল কেমনে।
তিনিও ত এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন।
আমার মনের মধ্যে একটু খুঁতখুতাঁনি থেকে গেল। সেজন্য পালটা প্রশ্ন করলাম, রবীন্দ্রনাথ কি বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষাকে উৎকর্ষের একটা বিশেষ স্তরে নিয়ে যান নি?
স্যার বললেন বাংলা ভাষাটা বাঁচাইয়া রাখছে চাষাভুষা, মুটোমজুর- এরা কথা কয় দেইখ্যাই ত কবি কবিতা লিখতে পারে। সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় কেউ কথা কয় না, হের লাইগা অখন সংস্কৃত বা ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য লেখা অয় না।
*পুস্তক যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।