আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি বিশ্বাস করি বেদনা সম হবে না, তবে কাছাকাছি বেদনা থাকল আইনজীবি নরুল ইসলামের সন্তানদের জন্য।

মিথ্যা সবার কাছেই ঘৃনার হোক বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আমরা যখন পাকিস্তানের অধীনে ছিলাম, তখন দেশের সরকার এ অঞ্চলের জনগনের চিন্তা চেতনাকে কখনোই মূল্যায়ন করত না। তারা কখনোই এ অঞ্চলের জনগনের অভিভাবক হতে পারে নি। তাদের চিন্তায় ছিল জুলুম আর শোষণ নির্যাতন।

তাই অনেক বঞ্চনা, নির্যাতন আর জুলুম শেষ করতেই দীর্ঘ নয় মাসের সম্মুখ যুদ্ধের পর আমার দেশের জন্ম। জন্মের আগেই নাম রেখে দেন সে সময়ের দেশ অভিভাবকগন। যা হোক 'গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' নাম নিয়ে শুরু হয় আমার দেশের। যার মূল মন্ত্র দেশের জনগনই সকল ক্ষমতার মালিক। আর দেশ যারা পরিচালনা করবেন তারা 'গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' নামে পরিচিত হবেন।

অর্থাত দেশের পরিচালক সর্বদা দেশের জনগনের নিকট জবাবদিহি থাকবে। জনগনের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিতে হবে। দেশের পরিচালনার দায়িত্ব এখন আওয়ামী লীগের হাতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এ বড় রাজনৈতিক দলটিই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সকল ইতিহাসের জীবন্ত স্বাক্ষী। আর এ দলটি নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে।

তাই এ সরকারের কাছে জনগনের আশা আকাংখা আর চাওয়া বেশী। কিন্তু কতটুকু আশার প্রতিপলন আর কতটুকু পাওয়া তা জনগনের কাছেই জানা যাবে। তবে এর পরিমান মোটেও কম নয়। তাহলে এরা একাদিকবার দেশ পরিচালনায় আশতে পারত না। বাংলাদেশের প্রাণের মানুষ জনমানুষের বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ছিল জনগনের বহু কাংখিত একটা বিষয়।

আর এ আশা আকাংশা এর চাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ পিতার হত্যা বিচার এবং রায় কার্যকর করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। আমার দেশের জনগন আজ অনেকটা খুশি। কিন্তু যতদিন এ বিচারের রায় কায়কর হয়নি কিংবা হত্যা মামলার আসামীরা যখন মুক্ত পরিবেশে চলা ফেরা করে তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নিকট কেমন লাগত, কেমন কষ্ট হত তা বলে বুঝাতে পারব না বা আমি সেভাবে এটা ফিল করতে পারব না। কারণ আমি পিতৃহারা হই নি। তবে আমাদের লক্ষ্মীপুর জেলার খুন হওয়া আইনজীবি নরুল ইসলামের মেয়েরা বলতে পারবে বা বুঝতে পারবে।

তবে আমার মনে হয় এটা অনেক মজার বা অনন্দের। তাইতো এ আনন্দটা বা মজাটা উপভোগ পাওয়ার সুযোগ করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ সুপারিশ করেছেন আইনজীবি নরুল ইসলামের জগন্যতম খুনীদের সাজা মওকুপ করার। আর আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সে সুপারিশে স্বাক্ষর করেন। ব্যাচ .... এই তো আর ক'টা দিন তারপরই আইনজীবি নরুল ইসলামের সন্তানেরা দেখতে পাবে তাদের বাবার খুনীরা বুখ মাথা উচূ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শ্লোগান ধরছে "একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার"। হে একবার নয় হয়তঃ আরো অনেকবার খুনীদের হাতিয়ার গর্জে উঠবে অন্য কোন মানুষকে আরো জগন্যভাবে খূন করার জন্য।

আমরা অসহায় সাধারণ জনগন মানে দেশের মালিকরা সেগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। সেসাথে অপেক্ষা করব জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার পলাতক খুনীদের বাংলাদেশের মাটিতে স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করতে দেখার। বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার পলাতক খুনীদেরও হয়তঃ কোটি কোটি টাকা খরচ করে ধরে এনে সাজা মাফ করার সুপারিশ করে তাদেরকে বাংলাদেশের মাটিতে স্বাধীনভাবে বাঁচার সুযোগ আমাদের প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই করে দিবেন। উনারা সবই পারেন। কারন উনারা করলে সেটাই আইন হয়ে যায়।

সেটাই সংবিধান হয়ে যায়। অন্যরা করলে দেশদ্রোহীতা। হায়রে বাংলাদেশ ...। হায়রে আওয়ামী লীগ ......। সবই রাজনীতির খেলা।

আমি বিশ্বাস করি সম হবে না তবে কাছাকাছি বেদনা থাকল আইনজীবি নরুল ইসলামের সন্তানদের জন্য। একদিন ঠিকই তোমরা ন্যায় বিচার পাবেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.