আমি বলছি যাব যাব, ঘর বলছে না; অবাধ্য সেই দুয়ার আমার, আটকে রাখে পা...
ছেলেটা বিশ্ব ঘুরে এই বাংলাদেশেরই আনাচে কানাচে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে তারে, এই নদী নাকি বাংলাদেশেই কেবল পাওয়া সম্ভব। অন্য কোথাও নয়। এই নদীর তাই হরেক নাম। একেক পথিক একেক নাম দিয়ে বসে আছে। কেউ বলে মধুমতি, কেউ শীতলক্ষ্যা, কেউ তারে আদুরে গলায় ধানসিঁড়িও ডাকে। এই নদী নাকি হিমালয়ের মত ভালোবাসতে জানে, এ নদী নাকি জানে মাথার অগ্নেয়গিরি নিমিষেই হাওয়া করে দিতে, এই নদী নাকি অসময়ে চৈতালী গান গেয়ে কৃষককে অপেক্ষায় রাখতে জানে! এ নদি নাকি নিজেও জানে নির্ভেজাল প্রতীক্ষা করতে. . .! তাই সময়হীন ক্ষনে মুহুর্ত চুরি করে পথিক খুঁজে বেড়ায় তারে...
অবশেষে দেখা হয় তাদের ধূলিময় কোন সময়ে। সেদিন ছিলনা আকাশে চাঁদ, ফুল বা পাখির গান। শেষ বিকেলের কুসুম সূয্যের আলোয় মিশে পথিক মৃদু হেসে বলে,
: আসলাম!
: এতদিন পরে?
: কি করবো, গোলকধাঁধায় ছিলাম
: তোমার কিছু মনে থাকে?
: তাইতো
: আমার কথাও মনে থাকেনা
: হ্যাঁ-তো
নদী ঝাপিয়ে পড়ে ছেলেটার বুকে। বুকে কিল ঘুসি মারতে মারতে বলে,
: তুমি শয়তান, শয়তান, কষ্ট দাও শুধু
: দেবইতো , ছেলেটা স্বার্থক ভালোবাসাটাকে জটিল করে তোলার চেষ্টা চালায়,
: উহু ককখণো দিবা না আর, নদীর বিভ্রমে ভরা আহলাদ, পথিক কিছু বলার মত ভাষা খুঁজে পায় না, টুকরো ঝড়ের মতন নদী ওর হাত ধরে বলে,
: চলো
: কোথায়?
: আসোইনা. . .
তারপর নদী তারে নিয়ে গেলো মন্দিরে, নিয়ে গেল গির্জায়, নিয়ে গেল মাজারে, ছেলেটা তারে কৌতুক চোখে কিছু সুধাবার আগেই সে মৃদু আহলাদি স্বরে বলে,
: উহু. . . আমি বিশ্বাস করি, তুমি ঘর বিশ্বাস করলে ধর্মেও বিশ্বাস করবা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।