আমি সব বিষয়ে সিরিয়াস ওরা ছিল ৬ জন । ৩ জন মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র, ১ জন তেজগাঁও কলেজের ছাত্র, ১ জন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের, ১ জন Private varsity-র ছাত্র ।
শবেবরাতের রাতে তাদের ইচ্ছা হল তারা গাঁজা খাবে । মধ্যরাতে তাদের গাজার নেশা উঠল । তারা আমিন বাজার বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে এদিক সেদিক বিচরন করতে থাকে।
অতঃপর মধ্যরাতে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দেয় জনসাধারণ এবং যথারীতি মৃত্যু ।
এদের একজনের বাবা ডাক্তার, একজনের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, একজনের বাবা শিল্পমন্ত্রনালয়ের কর্মচারী (অবঃ),একজনের বাবা রেলওয়ের কর্মচারী (অবঃ),একজনের বাবা ট্রাক চালক, একজনের বাবা ফলের দোকানদার ।
ডাক্তার, আইনজীবীর ছেলে গাঁজার প্রতি আসক্ত হবে কেন ?
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পাওয়া এই দেশের নাগরিক হিসাবে ওদেরও অধিকার আছে গাঁজা খাওয়ার । তারপর ও কিছু প্রশ্ন থাকে ।
• এত রাত থাকতে কেন ওরা শবেবরাতের রাতেই গাঁজা খাবে ? এটা একটা মহিমান্বিত রাত, প্রার্থনা না করে এই রাতে……… এটা কোন মুসলমানের কাজ ।
• তাদের বয়স ১৬,১৭,১৯,২০ বাকি দুই জনের বয়স ২১ । কার সাথে কারো বয়সের গ্যাপ ৫ বছর, আমি বুঝি না, অনার্স ২য় বর্ষের একজন ছাত্র কি ভাবে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছেলের সাথে গাঁজা খেতে পারে ?
• তারা গ্রামবাসী দেখে পালানোর চেষ্টা করবে কেন ?
• “কাছে আসলে গুলি করব” এমন কথাই বা বলবে কেন ?
যাইহোক, সব কিছু ছাড়িয়ে যেহেতু তারা ছাত্র, এখন রাস্তা অবরোধ হচ্ছে, মানব্বন্ধন হচ্ছে, আরও অনেক কিছু…..।
শবেবরাতের রাতে তোদের যদি গাজার নেশাই লাগল তাহলে তোরা বাসার ছাদে যা, ঢাকা শহরে তো অলিগলির অভাব নাই ওখানে যা, নির্মাণাধীন কত বাড়ি আছে সেখানে যা, এসব ছেড়ে কেন আমিনবাজার ট্রাক স্ট্যান্ডে ?????
এবার হলতো গাঁজা খাওয়া । শুধু গাঁজা খেলেও তো আপত্তি ছিল না । তোরা ৬টি মায়ের কোল খালি করলি কেন ? চোখের পানি ঝরালি কেন ? বাবা-মা কে দিয়ে গেলি লজ্জা ।
এই যদি হই শিক্ষিত ছাত্র সমাজ ।
এই ঘুনে ধরা ছাত্র সমাজই তো আমাদের দেশকে সামনে এগুতে বাধা দিচ্ছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।