mamun.press@gmail.com আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজের ঘোষিত নির্বাচনী তফসিলকে কেন্দ্র করে দুই পরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ নির্বাচন নিয়ে জটিলতা ও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে চেম্বার সভাপতি জামাল উদ্দিন গত মঙ্গলবার রাতে চেম্বারের দুই পরিচালক তার নিকট থেকে জোর করে রেজুলেশন খাতাসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে গেছে মর্মে ফেনী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।
ফেনী চেম্বার এন্ড কমার্স সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, গত ০২/০৭/১১ ইং চেম্বারের এক সভায় একজনকে চেয়ারম্যান ও দুই জনকে সদস্যকরে ফেনী চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ওই নির্বাচন কমিশন আগামী ১ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ধার্য করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন।
এদিকে চেম্বার সভাপতি জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, তিনি সংপ্তি সময় বিদেশ সফরে থাকা অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতে বেআইনী ভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি প্রদান করেন। তাছাড়া সভাপতি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেনী চেম্বার অব কমার্সের অফিস এক সভা আহ্বান করেন। সভায় যথাসময়ে কর্মকর্তা ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত হয় এবং যথানিয়মে রেজুলেশন খাতায় স্বার করেন। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা আলাপ আলোচনা করেও কোন সমঝোতায় পোঁছতে না পেরে সভাপতি সভা মুলতবি ঘোষনা করেন।
চেম্বার সভাপতি জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, সভা শেষ হওয়ার পর চেম্বারের দুই পরিচালক সাইফুর রহমান ও আইনুল কবির শামীম তার ব্যাগ থেকে জোর করে কিছু কাগজপত্র ও চেম্বারের রেজুলেশন বই নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি রাতেই ফেনী মডেল থানায় ওই দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন।
অপরদিকে চেম্বারের পরিচালক আইনুল কবির শামীম পাল্টা অভিযোগ করেন, চেম্বারের গঠনত›ত্র অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন তফসিল ঘোষনা বাধ্যতামূলক। গত ০২/০৭/১১ ইং ফেনী চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে চেম্বার অফিসে সভা করে উপস্থিত ১৫ জন পরিচালকের সর্বসম্মতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তা ছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে সভাপতি যে সভা আহবান করেন, সে সভাতেও সবাই উপস্থিত ছিল।
কিন্তু রেজুলেশন বইতে সকলের স্বারের পর সভাপতি খাতাটি তার ব্যক্তিগত ব্যাগে ঢুকিয়ে সভা মুলতবি করে চলে যেতে উদ্যত হয়। তখন সদস্যদের মনে সন্দেহ হয়- সভাপতি কেন রেজুলেশন খাতাটি নিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতিকে রেজুরেশন খাতাটি চেম্বার অফিসে রেখে যেতে অনুরোধ করা হলে তিনি খাতাটি রেখে যান। তার নিকট থেকে জোর করে রেজুলেশন খাতা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী অবশ্যই ফেনী চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে গত ১৯/০৬/১১ ইং সভার কার্যবিবরনীর নীচে ০২/০৭/১১ ইং তারিখের কথিত নির্বাচনী তফসিল সংক্রান্ত সভার কার্যবিরনী লিপিবদ্ধ করার অভিযোগে চেম্বারের সচিবকে সাত দিনের মধে কারন দর্শাও নেটিশ প্রদান করেন সভাপতি।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনায় ফেনী চেম্বর অব কমার্স কর্মকর্তা ও পরিচালকদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ অবিশ্বাস নির্বাচনে প্রভাবিত করতে পারে বলে সাধারন সদস্যরা ধারনা করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।