আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশু শ্রেণীর দুই ছাত্রের হাতে সহপাঠী নিহত

আমার বলার মতো কোন গুণ নেই কিন্তু অনেক মন্দ দিক আছে নরসিংদীতে সহপাঠীদের মারধরে আমির হামজা (১০) নামের শিশু শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলার রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামে ড. ছাদেক এতিমখানা ও মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আমির হামজা উপজেলার আশারামপুর গ্রামের মৃত বকুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা রুবেলা বেগম বাদী হয়ে হামজার দুই সহপাঠী আবদুর রব মিয়া (১০) ও মো. ইলিয়াছ মিয়ার (১০) বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত রব ও ইলিয়াছ গতকাল বুধবার জেলার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত দুই শিশুকে টঙ্গি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ, মাদ্রাসা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পীরপুরে রিভাইভ্যাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি কুয়েতের অর্থায়নে পরিচালিত ড. ছাদেক এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্র আমির হামজা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় হামজার সঙ্গে সহপাঠী মোবারকের ঝগড়া হয়। এতে মোবারকের পক্ষ নেয় ইলিয়াছ, আশিক ও রব।

এরই জের ধরে হামজা ইলিয়াছের চোখে ঘুষি মারলে সে আহত হয়। এতে উত্তেজিত হয়ে রব ও ইলিয়াছ মিলে হামজাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও মাদ্রাসার পাকা ফ্লোরে ফেলে মাথা থেঁতলে দেয়। খবর পেয়ে কর্তব্যরত শিক্ষকরা হামজাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী ভৈরব আল শেফা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে। ঢাকা নেওয়ার পথে নরসিংদী শহর এলাকায় বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

রায়পুরা থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে হামজার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত রাত ৮টার দিকে হামজার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সুরতহাল রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মমিনুল ইসলাম বলেন, হামজার বুকে নখের আচড় ও নাক দিয়ে ফেনা বের হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। ওসি জানান, গ্রেপ্তার দুই শিশু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর টঙ্গি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী ছাত্রদের মারামারির কথা নিশ্চিত করে বলেন, স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত লাগার কারণে হামজার মৃত্যু হতে পারে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। হামজার মায়ের করা মামলা অনুযায়ী অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সূত্র : কালের কন্ঠ, ২১ জুলাই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.