আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিমিনাল যখন কেমিক্যাল : একটি স্মৃতিচারন পোষ্ট

লেখালেখি অনেক কঠিন কাজ তাই শুধু পড়ি। তখন ক্লাশ টেন-এ পড়তাম। অন্য সবার মত আমাদের ও প্রাইভেট পড়তে হত । হাসান স্যারের কাছে ইংরেজী পড়তাম। আমরা সকল বন্ধুরা একই ব্যাচে পড়তাম।

আমাদের সাথে গার্লস স্কুলের কিছু মেয়ে পড়ত । এদের মধ্যে রূমি আর রেশমা (মানিকজোড়ের মহিলা সংস্করন) নামে দুটি মেয়ে ছিল। এরা একটু এক্সট্রা পার্ট নিতে চাইতো । তাই স্বাভাবিক ভাবেই আমরা তাদের পঁচানোর ট্রাই করতাম আর ওরা আমাদের । এভাবেই চলছিল......হঠাৎ করে সুযোগ এসে আমাদের ধরা দিল ।

একদিন স্যার রূমিরে একটা comprehension পড়তে দিল। ওখানে পুলিশ ক্রিমিনাল ধরার আগে ক্রিমিনাল পলাইলো এই রকম একটা লাইন ছিল। মাইয়া করছে কি ক্রিমিনালরে কেমিক্যাল পইরা ফালাইছে আমাদের আর পায় কে... । তখন থেকেই ওরে পাইছি কেমিক্যাল কেমিক্যাল কেমিক্যাল.....ননস্টপ চলতেছে....প্রথমে ও রেশমাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইলেও চরম ভাবে ব্যর্থ হল । এরপর তারা স্যারের কাছে অভিযোগ দাখিল করল।

ফলাফল খারাপ আমরা স্যারের সামনে কম ডাকলেও বাইরে এর মাত্রা বাড়িয়ে দিলাম। শেষ পর্যন্ত না পেরে টিপুর মায়ের কাছে বিচার দিল । উল্লেখ্য টিপুদের বাসার ড্রইং রূমটা খালি থাকায় স্যার ওখানেই পড়াতেন । যাই হোক টিপুর মা এসে আমাদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে বুজিয়ে দিলেন এরকম করা ঠিক নয়। কিন্তু আমরা কি উপদেশ শোনার ছেলে ???যথারীতি বিভিন্ন কায়দায় আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি....যেমন আমরা স্যার আসার আগে ফিজিক্স বই খুলে জোরে জোরে ফিজিক্যাল চেন্জ আর কেমিক্যাল চেন্জ পড়তাম ।

আসলে মাইয়া গুলো বেয়াকুফ ছিল...ওরা নিরুত্তাপ থাকলে আমাদের কার্যক্রম কবেই থেমে যেত । যে ক্ষেইপ্পা যায় তারে কি আর না ক্ষেপাইয়া পারা যায় ???এস.এস.সি. পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চালু ছিল। এরপর একেক জন একেক জায়গায় চইলা গেলাম । তো কথা হইতেছে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !!!!!!!আজকাল ঐ দিন গুলোকে খুব মিস করি .... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.