আমি সবার বন্ধু হতে চাই।
আমাদের বাড়ির পাশে একটা নতুন চার তলা দালান আছে। সেই দালানের এক তলা আর দোতলায় ছিল কোন এক কোম্পানীর অফিস রুম। তিন তলা আর চার তলা তখনও ভাড়া হয়নি। ঐ দিন শুক্রবার অফিস বন্ধ।
বিল্ডিং এ ঢোকার গেইটের চাবি ঐ অফিসের মালিকের কাছে থাকত। ঐ দিন বিকেলে হঠাৎ করে বিল্ডিং এর মালিক এর ছেলে এসে হাজির। অফিসের মালিকের কাছ থেকে গেইটের চাবি নিতে। চাবি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ঐ ছেলে জানাল সে কার থেকে যেন জানতে পেরেছে বিল্ডিং এর ভেতরে ক্রিমিনাল ঢুকেছে। ক্রিমিনাল এখন তিন তলার খালি রুমের ভিতরে লুকিয়ে আছে।
শুনে অফিস মালিকের মুখ শুকিয়ে যায়। উনার ধারনা হয় কোন বড় সন্ত্রাসী সম্ভবত পুলিশের হাত থেকে বাচার জন্য ভেতরে আস্তানা গেড়েছে। ঘর মালিকের ছেলে, অফিসের মালিক, আশ পাশের দোকানদার মিলে ৮-১০ জনের একটি দল বিল্ডিং এর ভেতরে ঢুকে তিন তলার দরজার বাইরে অবস্থান নিল।
ভেতর থেকে খুট খাট শব্দ ভেসে আসছে। সম্ভবত ভেতরে যেই আছে তার কাছে অস্ত্র থাকতে পারে।
আমাদের সবার হাতেই কোন না কোন অস্ত্র আছে। কারো হাতে মুলি বাঁশ, কারো কাছে গাছের শুকনা ডাল। নিচে লোকজনের ভিড় জমে গেছে। হঠাৎ এক জন চিৎকার করে উঠল-দরজায় তালা ঝুলছে তাহলে ক্রিমিনাল ভেতরে ঢুকল কিভাবে। আমরা সবাই হই হই করে উঠলাম।
তাইতো। মালিকের ছেলে মাথা চুলকে বলল পেছনে একটি গ্রীল ছাড়া জানালা আছে সেখান দিয়ে ঢুকতে পারে। তিন তলার চাবি তার কাছে নেই। বাসায় ফেলে এসেছে। চাবি নিয়ে আসার মত এত ধৈর্য্য নেই কারো নেই।
তাই ঠিক করা হল দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকা হবে। কয়েক জন সাথে সাথে কাজে লেগে গেল। ইট দিয়ে বাড়ি মেরে তালা ভাঙা শুরু হল। কাজ শেষ এবার একশন। ধীরে ধীরে দরজা খোলা হল।
ভেতরে কোন ক্রিমিনাল পাওয়া গেল না। এক কোনে পাওয়া গেল একটি বিড়াল এবং তার কতগুলি বাচ্চা। বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে পুরা পরিবার। বিড়ালের বাচ্চার ছুটাছুটিতে ভেতর থেকে খুটখাট শব্দ হচ্ছিল। সবাই খুব হতাশ হয়ে ফিরে গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।