সকালে পত্রিকা হাতে নিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল । মাননীয় রাষ্টপ্রতি মহাদয় আরো একজন খুনি কে মুক্তি দিয়েছেন।
তিনি প্রত্রিকায় পাতায় সচারচর আসেন না। যে দিন আসেন কোন খুনি কে মুক্তি দিয়েই আসেন। টিভিতে ওনার ছবি দেখে মায়া হয় এমন বৃদ্ধ একজন মানুষকে রাষ্টপ্রতির মত বড় দায়িত্ব দিয়ে তার দল কি সঠিক কাজ টি করেছে?
আমার ওনার কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে ওনি বোধ হয় বিবেক শূন্য অবস্থায় আছে।
ওনার কমনসেন্স লোপ পেয়েছে না হলে এভাবে খুনি দের কেন মুক্তি দিচ্ছেন?
কোন পরিবারের আপনজন কেউ হত্যা কান্ডের স্বীকার হলে, তার বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকার আছে। কিন্তু মহামান্য রাষ্টপতি রক্ষক হয়ে, দেশের প্রধান হয়ে এমনটা কেন করছেন? তিনিতো র্নিদলী্য় পদে আছেন।
এই ব্যাপারে তার কি ব্যাখা আছে?
খেয়াল করুন খুনি দশ বছর পালিয়ে ছিল। এখন কেন বের হয়ে আসলো???
কেননা পর্দার অন্তরালে টাকার খেলা চলেছে। মোটা অংকের ঘুষ হয়ত কেউ গ্রহন করেছে ।
না হলে কোন ভরসায় বিল্পব ধরা দিল??
ইতিপূর্বে সাজেদার ছেলেকেও মুক্তি দেওয়া হয়ে ছিল। তারপর দেওয়ানগঞ্জ বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আহসান হাবীব টিটু রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন।
আদালতের উপর এরকম হস্তক্ষেপ আইনের শাষনের যে কথা সরকার বলে তার বিপরিদ। মুখে এক কাজে আরেক কখনেই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনা। খুনিদের মুক্তির ম্যাধোমে হত্যা কান্ডকে উৎসাতি করা হয়।
এর প্রমান নাটোরের জনপ্রতিনিধি সানাঊল্লাহ বাবু হত্যাকান্ড। কারন খুনিরা কখনোই ভাল হতে পারে না। যদি তাই হত তাহলে শেখ মুজিব হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার কেন জনগন চেয়েছিল?
জাতীর দুভাগ্য যে এদেশের প্রধান বিচারপতি বলেন যে অনেক বিচারপতি নাকি ঘুস খেয়ে অবৈর্ধ আয় করেন। টি আই বি এর রিপোটে প্রকাশ হয়েছে সরকারের বিচার বিভাগ সবচেয়ে দুনীর্তিগ্রস্থ। অবশ্য ওনি নিজেও ত্রানের দশ লক্ষ টাকা খেয়েছেন বলে প্রত্রিকায় প্রমান সহ এসেছে।
এত কিছুর পর যে রায় আদালত দেয় তার ঊপর যদি দলীয় মনমানুসিকতায় খুনিদের ক্রমানয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তার চেয়ে কষ্টের আর আছে কি?
আখেরাতে কি জবাব দিবেন ওনি?
আওমীলীগ ইতিপূর্বে তার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের কথা বলতো। এখন তারা বলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলা গড়তে আর কতজন খুনিকে প্রয়োজন? আর কতজন খুনিকে নিলর্জ্জের মত মুক্তি দিবেন মহামান্য রাষ্টপ্রতি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।