আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রহসন : বিনাচিকিৎসায় মরার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেন মুক্তিযোদ্ধা মালেক

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায় ফরিদপুরে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মোল্যা (৭৮)। সুচিকিৎসায় সহযোগিতার আশায় সরকারের নানা দপ্তরে ধরণা দিয়েও কিছু মেলেনি আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটির। তবে মারা যাওয়ার পর তার দাফন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। ১৯৯৮ সালে পদ্মা ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি টুকুও হারিয়ে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক। এরপর বেঁচে থাকার তাগিদে চরহাজিগঞ্জ বাজারে কোনো রকম একটি চায়ের দোকান দেন।

চা বিক্রি করেই তার আট সদস্যের সংসার চলতো। ২০০৮ সালে আবদুল মালেক কিডনী ও হাঁপানী রোগে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। গত তিন বছর অসুস্থ্য থাকার পর সোমবার সকালে তিনি এ জগতের মায়া ছেড়ে চলে যান। তার বড় ছেলে আক্তার জানান, তারা বাবার সুচিকিৎসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিয়েও কিছু পাননি। ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের চরসুলতানপুর গ্রামের এই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮নং সেক্টরের অধীনে দীর্ঘ নয় মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেন।

তার আপন ছোট ভাই আবদুর রশিদ কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্টে চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রণক্ষেত্রে শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আবদুল মালেক বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নেতারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তারা দেশের জন্য সংগ্রাম করে গেলেও মৃত্যুর সময় মালেকের চিকিৎসা পর্যন্ত হয়নি। সোমবার বিকেলে চরসুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আবদুল মালেকের নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে স্থানীয় এক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.