আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রযন্ত্রের উদ্ভব, অতপর....................?

প্রজন্মের হাত ধরে জাগরণের পথে

গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র যখন রাষ্ট্রযন্ত্রে পরিনত হয়, তখন শাসক ও শোষকশ্রেণীর প্রধান হাঁতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় তাদের পিছনে দাঁড়ানো বুদ্ধিজীবী মহল এবং তাদের বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা। তা যতই ভঙ্গূর হোক না কেন। কারন এই ভঙ্গূর চিন্তাকে মোড়কজাত করে জনগণের দরজায় পৌছে দিতে দালাল মিডিয়ারও অভাব হয়না। তাছাড়া বিপরীত চিন্তাকে প্রতিহত করতে প্রোপাগান্ডার সিরিজ এপিসোড মঞ্চায়িত করে শোষকশ্রেণীর পক্ষে দালাল মিডিয়া গুলো। আপনি ভাবছেন আপনিও প্রোপাগান্ডার সিরিজ এপিসোড সাজাবেন আর জম্পেশ এক লড়াইয়ের অবতাড়না করবেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনি আপনার আদর্শিক সংগ্রামকে গলা টিপে হত্যা করছেন।

কেননা রাষ্ট্রের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করে বা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে হয়ত
আপনি কিছুদিন টিকে থাকতে পারবেন; কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আপনি দাড়াতেই পারবেন না। উল্টো আপনার আন্দোলন কেই বিতর্কিত করে তুলবেন। উদাহরন হিসাবে নিকট অতিতের কয়েকটি ঘটনাকে নিতে পারেন।

আবার আপনি ভাবছেন, তাহলে অস্ত্র হাতে তুলে নেবেন? এই শোষকশ্রেণী এটাই চাচ্ছে। আপনি যখনই এই ভুলটা করবেন; আপনি আপনার আন্দোলনের কবর খুঁড়বেন।

কেননা রাষ্ট্রের বিপক্ষে রাষ্ট্র স্বল্প শক্তি নিয়েও যুদ্ধে টিকে থাকতে পারে। গোষ্ঠীর বিপক্ষে গোষ্ঠী পারে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের বিপক্ষে কোন গোষ্ঠী কখনো টিকে থাকতে পারেনা। কারন রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে আছে
# আইনী বৈধতা
# দালাল মিডিয়া
# আসক্ত অন্ধ জন সমর্থন
# লাইসেন্স কৃত অস্ত্র(এবং প্রয়োজনের থেকেও বেশি)
# সীমাহীন অর্থের সরবরাহ
# আইন প্রয়োগকারী সংস্থা
# গোয়েন্দা নজরদারী
# পাশে দাঁড়ানোর মত বিদেশী প্রভু ও তাদের সেনাবাহিনী
# এবং শোষকশ্রেণীর জারজ লাঠিয়াল বাহিনী। পরিশেষে বোনাস হিসাবে থাকছে আপনার অসহায় অরক্ষিত পরিবার।

কারন রাষ্ট্রযন্ত্র তার সকল প্রচেষ্টা প্রয়োগ করার পর রাতের অন্ধকারে তার পোষা কুকুরগুলো দিয়ে আপনার বোনকে ধর্ষণ করাবে।

আমি জানি আপনি আমাকে গালাগালী করা শুরু করেছেন। ভাবছেন আমি কাপুরুষ এবং ভীতু। তৎক্ষনাৎ আপনার মাথায় আফগানিস্তান এবং ইরাকের চিন্তা আসবে। বলবেন আমার তত্ব ওখানে ভুল প্রমানিত হয়েছে।

এছাড়া আপনি আমাকে আরও দুটি তথ্য উপস্থাপন করতে চাইবেন। তাহলোঃ
১। রাষ্ট্র এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যরা মানুষিকভাবে অপরাধপ্রবন, ভীতু এবং কাপুরুষ। পক্ষান্তরে আমরা সৎ, সাহসী এবং দৃঢ়।
২।

তাদের দশজনের সমপরিমান আমরা একজন(আল্লাহ বলেছেন)।

এখন আমরা আফগানিস্থান এবং ইরাকের দিকে যদি লক্ষ করি, তাহলে দেখা যাবে ঐ রাষ্ট্রগুলোর শোষকশ্রেণী জনসমর্থিত না এবং তা শুধুমাত্র মার্কিনীদের অর্থ, অস্ত্র এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতার উপরে দাঁড়িয়ে। তাছাড়া ইরাক আফগানিস্থান কোন স্থিতিশীল রাষ্ট্রযন্ত্রে পরিনত হওয়ার মত সময় পায়নি। পাশাপাশি তাদের ভৌগলিক কাঠামো যুদ্ধ করে টিকে থাকার পক্ষে সহায়কও।

এ পর্যন্ত আপনি আমার সাথে একমত হলেও এবার জানতে চাইবেন; তাহলে পন্ডিত মশায় আমরা কি করবো? হাতে চুড়ি লাগিয়ে বসে থাকবো?
না ভাই।

বসে আমরা থাকবোনা। এ লড়াই আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আমাদের ঈমানের লড়াই। আমাদের লক্ষ অর্জনের লড়াই। কিন্তু আমাদের প্রথমে জানতে হবে শোষকশ্রেণীর মূল শক্তি কি? আমি আগেই বলেছি, গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র যখন রাষ্ট্রযন্ত্রে পরিনত হয়, তখন শাসক ও শোষক শ্রেণীর প্রধান হাঁতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় তাদের পিছনে দাঁড়ানো বুদ্ধিজীবী মহল এবং তাদের বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা।

আমাদের এই জায়গাটাকে লক্ষবস্তু হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। এ লড়াইটা মূলত বুদ্ধিভিত্তিক লড়াই। শোষকশ্রেণী যে চিন্তা দিয়ে জনগনকে অসাঢ় করে রেখেছে সেই চিন্তার অসাড়তা তুলে ধরা এবং তার স্বরুপ প্রকাশ করা আমাদের এইমূহুর্তের একমাত্র প্রধান কাজ। যদি আমরা তা যথাযথ ভাবে করতে পারি, তাহলে শোষকশ্রেণীর ক্ষমতা খর্ব হতে থাকবে এবং জনবিচ্ছিন্ন হতে থাকবে। অবশেষে আমরা আমাদের কাংক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

অবশ্য যদি আমরা সেই কাংক্ষিত চুড়ান্ত লক্ষে পৌছাতে চাই। আর যদি আমরা আরাকানের (মায়ানমার) মত আমাদের দেশটাকেও ঘুঁটে দিতে চাই; তাহলে আমরা এক সাতক্ষিরা দেখেছি; তখন পয়ষট্টি টা সাতক্ষিরা দেখতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.