zahidmedia@gmail.com শনিবার আমার প্রিয় কর্মস্থল ‘শীর্ষ নিউজ ডটকম’ এ লেট-নাইটে কাজ করেছি। সকাল ৯টায় অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে পারিবারিক কিছু কাজে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। পবিত্র শবে বরাত হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে বাসার বাহিরে ছিলাম। ইবাদত ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে আজ রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরেই কম্পিউটার অন করলাম। কম্পিউটার অন করেই আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান শীর্ষ নিউজ ডটকমের অনলাই ওপেন করেই মনটা খুবই খরাপ হয়ে গেলো।
বাংলাদেশে প্রতি মুহূর্তের তাৎক্ষণিক নিউজের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারার মিডিয়া হিসেবে শীর্ষ নিউজ ডটকম আত্ম প্রকাশ করেছে বছর তিনেক হলো। অল্প সময়ে মধ্যেই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ব্রেকিং নিউজ মানেই- শীর্ষ নিউজ, এ কথাটি মিডয়া পাড়া ও পাঠক মহলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
শীর্ষ নিউজেরই আরেকটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ’। এ কাগজটি দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে সমাজের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরছে।
কিন্তু আজ শীর্ষ নিউজ ডটকমকে লিড নিউজটি দেখেই মনে হলো- দুর্নীতিবাজদের কাছে সবাই জিম্মি। সচিবালয়ে মতো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরেও দুর্নীতিবাজদের মহড়া চলছে। আজ সচিালয়ের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে শীর্ষ নিউজ নিষিদ্ধ ও বন্ধের দাবিতে ব্যানার লাগানো হয়েছে। সচিবালয়ে শীর্ষ নিউজ ডটকমকের সম্পাদককে ডুকতে দেয়া হয়নি। এরআগেও একবার শীর্ষ নিউজ ডটকমের সম্পাদকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চেষ্টা করা হয়েছে।
সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হচ্ছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত- প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) খাইরুল ইসলাম মান্নান এবং পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শীর্ষ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন:
দুর্নীতিবাজরা ঐক্যবদ্ধ: শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ বন্ধের ষড়যন্ত্র
পাঠক নন্দিত অনলাইন নিউজ শীর্ষ নিউজ ডটকম এবং সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ বন্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ রোববার সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে শীর্ষ কাগজের প্রকাশনা বন্ধ এবং সচিবালয়ে সম্পাদকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
সচিবালয় হচ্ছে সরকারের স্পর্শকাতর স্থান। সরকারের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া সচিবালয়ে যেকোনো পোস্টার, ব্যানার বা লিফলেট লাগানো নিষেধ।
এখানে ২৪ ঘণ্টার সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর নাকের ডগায় দুর্নীতিবাজরা ব্যানার টাঙানোর ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। শীর্ষ কাগজের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) খাইরুল ইসলাম মান্নান এবং পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের যোগসাজশে চক্রটি শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ ডটকমের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। সচিবালয়ে এ ধরনের ব্যানার দেখে সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
দুর্নীতি ফাঁস করে দেয়ায় দুর্নীতিবাজ চক্র শীর্ষ কাগজের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বলে অনেকের অভিমত। তাদের মতে এ চক্রের অপকর্মের দায় সরকার কেন নিতে যাবে?
সরকার তথ্য অধিকার আইন করে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা সরকারের মধ্যে থেকে সংবাদ মাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে চাচ্ছে। নিজেদের দুর্নীতির দায় সরকারের উপর চাপানোর কৌশল অবলম্বন করেছে। এরা এখন ঐক্যবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস খাইরুল ইসলাম মান্নানের নারী কেলেঙ্কারি ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদের দুর্নীতি নিয়ে শীর্ষ কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তারা জোট বেঁধে শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ ডটকমের সম্পাদক মো. একরামুল হকের উপর হামলার একাধিক চেষ্টা চালায়। এছাড়া শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ ডটকমের সম্পাদককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। গত ৩ জুলাই সচিবালয়ে মেহেরুন নেছাকে দিয়ে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একই ধারাবাহিকতায় আজ শীর্ষ কাগজের প্রকাশনা বন্ধের হুমকি দিয়ে সচিবালয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ ডটকমের সম্পাদক মো. একরামুল হকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। এখন তারা মাঠে নেমেছে শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজ ডটকম বন্ধের ষড়যন্ত্র নিয়ে।
শীর্ষ নিউজ আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এখানে রিপোর্টিং ডেস্কে আছেন এক ঝাঁক উচ্ছল তরুণ ও অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ একদল সংবাদকর্মী। পাঠকের সংবাদ তৃষ্ণা মেটাতে তাঁরা সদা তৎপর।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পাঁয়তারা সরকারের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।