আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন: নির্বাচন, প্রার্থী, রাজনীতি, মিডিয়া!!!!!!!! মহারানীর অসীম রহমত? দ্বিতীয় পর্ব রাজনীতি, মিডিয়া, মহারানীর রহমত ও কারন।

আগামী প্রজন্মের জন্যে স্পপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই। প্রথম পর্ব ২০০৬ সালে নির্মিত পৌর ভবন মনোনয়ন, বাছাই, প্রত্যাহার শেষে এখন চলছে নির্বাচন প্রচার পর্ব। অভি্যোগ পাল্টা অভি্যোগ বহিস্কার, যোগদান সবই উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। প্রচার, সমর্থন, জনপ্রিয়তা, নতুনত্ব, কর্মপরিকল্পনায় সবাইকে পিছনে ফেলে বিএনপি হতে অব্যহতি প্রাপ্ত মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামীলীগ সমর্থিত আফজাল খান, সাবেক ভিপি ও ছাত্রনেতা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নিজেদের একে অন্যের জন্যে চ্যালেন্ঞ ছুড়ে দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন মুল লড়াই হবে সাক্কু বনাম খান।

তবে আমার মনে হয় নির্বাচন সুষ্ঠ হলে মুল লড়াইয়ে তানিম অন্যতম প্রতিদ্ধন্দী। আওয়ামী লীগ সমর্থিত খান তার ৬০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত বড় কোন নির্বাচনে নির্বাচন করছেন( এর আগে জাতীয় বার বার দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যার্থ হন। সাফল্য বলতে ১৯৮৯ এ জাতীয় পার্টীর হয়ে পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। )। এ নির্বাচনে চিরশত্রু স্থানীয় এমপি আকম বাহার প্রকাশ্যে তার পহ্মে নির্বাচনী প্রচারে নামেন।

পাশাপাশি কুমিল্লার আরো ৪-৫ জন এমপি তার পহ্মে নির্বাচনী প্রচরে নামে। এতটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিল। জনপ্রিয় ছাত্রনেতা তানিমের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষনায় অটল থাকা এখন আফজল খানের জন্যে বড় চ্যালেন্ঞ। ফেসবুকে পাওয়া কিছু প্রশ্ন গত জাতীয় নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হবার পর আ ক ম বাহার তার শিষ্য ও নির্বাচনের প্রধান সংঘঠক তানিমকে আর সব নেতাদের মত দুরে ঠেলে দেন। সরকার দলীয় নেতা ও এক সময়ের ঘনিষ্টজন হয়েও বন্ঞিত হন সবরকম সু্যোগ সুবিধা হতে।

এরপর দুরত্ব বাড়ে দল থেকেও। কুসিক নির্বাচন তফসিল ঘোষনার পর আরেক প্রভাবশালী নেতা লোটাস কামালে প্রত্যহ্ম সমর্থন নিয়ে আওয়ামী প্রার্থীদের মধ্যে সবার শেষে সরব হন সিটি নির্বাচনে। সাড়া ফেলেছেন তরুন ভোটারদের পাশাপাশি দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে সরকারের ব্যার্থতায় হতাশ আওয়ামী সমর্থক ভোটারদের মধ্যেও। আওয়ামী সমর্থক অপর বিদ্রোহী মিঠু নির্বাচনের প্রথম দিকে হুইপ মুজিবের সমর্থন পেলেও বর্তমানে মাঠে আছেন একা। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে প্রচারনায় তত পিছিয়ে পড়েছেন সবার থেকে।

শেষ দিকে হয়ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন না হয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী এজেন্ট বাড়িয়ে নির্বাচন দৌর শেষ করবেন। রাজনৈতিক হিসেবের জটিল খেলাটি চলছে স্থানী বিএনপির মধ্যে। এখানে সাক্কু পাশ করলে যেমন তেমন ফেল করলে এর মাসুল দিতে হবে চরম। সাক্কুর পাশাপাশি বিএনপিকে ও প্রথমবারের মত হারানো কুমিল্লা সদর আসনটিও স্থায়ী ভাবে আওয়ামী লীগের হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় কেন্দ্রী্য় বিএনপির পাশাপাশি এর সমর্থক নেতা কর্মীদের সিদ্ধান নিতে হবে বিচহ্মনতার সাথে এবং দ্রুত।

কুসিক নির্বাচন নিয়ে মিডিয়ার নিরবতা আতংক জনক। যাও রিপোর্ট করছে অদ্ভুত ও তোতা রিপোর্ট যেমন কুমিল্লা মহানগরীর গুরুত্ব সড়ক ফজলুল হক রোড, নজরুল ইসলাম এভেনিউ, ঝাউতলা রোড ও লাকসাম রোড এগুলাতে মাঝে মাঝে মানুষের ধাক্কায় হেটে পথ চলাই মুসকিল সেখানে যানবাহন চলবে কিভাবে। রিক্সায় বসে দেখুন পুরো কুমিল্লা অথচ অথচ সংবাদ মাধ্যম গুলো এ নিয়েই রিপোর্ট করছে বারবার। মুল সমস্যা উত্তরের জমাট বাধা জনসংখ্যা, দুই নগর পরিকল্পনা, তিন ড্রেনেজ ও জলাবদ্ধতা নিরোসন এগুলো। এর বহিরে অনেক সমস্যা থাকলেও প্রধান সমস্যা এ গুলোই।

সংবাদ বেপারী প্রথম আলো ইদানিং সাক্কুকে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ প্রমানে উঠে পরে লেগেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলেও অপর বিএনপি নেতা ইয়াসিন রাফ রাইটং চালু রেখেছে। পাশাপাশি (৯৬-২০০১) খান সাবের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে দু-এক লাইনও আসে নাই। সংঘ দিয়ে যাচ্ছে যা্যাদি, সমকাল, কালের কন্ঠ, মানব জমিন, সংবাদ পিছিয়ে নেই আমার দেশও । এরাই নাকী আমাদের দেশের গন(?)মাধ্যম যারা এক লাইনও লাইনো দলীয় অনুভুতির বাহিরে থেকে লিখতে পারেনা।

মহারানীর সুদৃষ্টি আমাদের কুমিল্লাবাসীর প্রতি আছে বটে তা না হলে আগের বার হ্মমতায় আসার পর ইপিজেট প্রতিষ্ঠা করেন এবার সিটি কর্পোরেশন সুনজর তো বটে। নাহলে প্রতিটি কুমিল্লা সফরে এসে যিনি বক্তৃতা শুরু করেন এই বলে এটা আমর বাবার খুনীর এলাকা সেখানে কেন এত উন্নয়ন? যারা রাজনীতি বুজেন তারা বলবেন সবার আগে হ্মমতা সত্য তার জন্যে জনতা। আমি একটু যোগ করি নাম কামানোর সভ্যতা। বিচার আপনার হাতে মাহারানী.........? আগের বারে মহারানীর হ্মমতার মাঝামাঝি সময়ে কুমিল্লা এয়ারপোর্ট বিলুপ্ত করে সেখানে ২৫১টা শিল্প প্লট নিয়ে ইপিজেড করা হয়। দুইবছর পর হ্মমতা ছাড়ার সময় পর্যন্ত মাত্র দুটি প্লটের উদ্যোগক্তা খুজে(মুলত দুজন উদ্যোগক্তা ইপিজেডটি খুজে) পান।

হ্মমতাবদলের পর পরবর্তি ৫ বছরে চায়না ও কোরিয়ান কোম্পানী মিলিয়ে ৪৪ টি প্লটে উৎপাদনে যায়। যে বর্তমানে ইপিজেডটিতে ৫১ টি প্লট উৎপাদন মুখী। কে কতটুকু করেছে সে নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক সাবাই এক বাক্যে স্বীকার করবে মহারানীই কুমিল্লা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠতা। আজ এতটুকুই,,,,,,,,,,,, আমি অপেহ্মায় আছি আগামী দুবছরে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেসনে কত টাকা আনুদান ও অর্থ সাহায্য দেন মহারানী সেটা দেখার জন্যে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.