অগণন যাত্রিকের প্রাণ,খুজে মরে অনিবার/পায় নাকো পথের সন্ধান,চরণে জরায়ে গেছে শাসনের কঠিন শৃঙ্খল। ফেসবুকে আমি ঃ www.facebook.com/bhutergolirbasinda
মিডিয়া আর বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে-- any publicity is good publicity--- কথাটা যথার্থ এবং প্রত্যেকে তা মেনে চলার যথাসাধ্য চেষ্টা করে! এইজন্নেই প্রভার অভিনীত নাটকসংখ্যা আর দর্শকসংখ্যা হুরহুর করে বাড়তে থাকে, এইজন্নেই এরশাদ দাদু স্ক্যান্ডালাস বক্তব্য দেন—কখনো মহাজোটে আছি, কখনো মহাজোট নাই!! মুল উদ্দেশ্য যেন স্পটলাইটে থাকতে পারেন।
বাংলাদেশের রাজনিতিতে দ্রুত বিখ্যাত হতে চাইলে মিডিয়ার সাহায্য নিতে হয়, আর মিডিয়া তার খবরি প্রচার করে যে মশলা আমদানিতে পারদর্শী! একারনেই গণজাগরণের মুল উদ্যোক্তারা আড়ালে থেকে যান আর ইমরান এইচ হয়ে যায় হিরু(!!) ।
যেখানে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ভালো এবং দরকারি খবর প্রচার করতে বরাবরি অগ্রগামী, সেখানে প্রিন্ট মিডিয়া আর টেলিভিশন মিডিয়া ছোটে মশলাদার খবরের পেছনে! তাইতো যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্ত চেয়ে পোস্ট শেয়ার হতে থাকে তখন প্রিন্ট আর টিভি মিডিয়া ধর্ষণের খবর রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষিতার পরিচয় বিপদে ফেলে প্রচার করতে ব্যাস্ত থাকে!! অতঃপর ধর্ষক বেচে যায়, ধর্ষিতা হয় আবারো ধর্ষিত!!
একটা উদাহরণ দেইঃ গত কিছুদিন আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে তালাশের একটি পর্বে শিক্ষকরুপি পশুদের কুকীর্তির কথা প্রচার করা হয়, কিন্তু তাতে কিছু মেয়েদের আপত্তিকর ভিডিও অতি স্বাভাবিকভাবে দেখানো হয়, যা ছিল একেবারেই অপ্রয়োজনীয়! ঐ যে মশলা—টি আর পি বাড়াতে হবে না!!!
সোশ্যাল মিডিয়া যখন একটি মৃত্যুপথযাত্রী প্রানকে বাঁচানোর চেষ্টায় ছোটাছুটি করে ঠিক তখন চ্যানেল গুলো ব্যাস্ত থাকে ফ্যাশন শোএর নামে দেহ প্রদর্শনীতে!!
আহহ! কতই না সুন্দর হত যদি প্রিন্টমিডিয়ার একটা পাতা আর চ্যানেলগুলোর একটা নিদ্রিস্ট সময় বরাদ্দ থাকতো মৃত্যুপথের প্রাণ গুলো বাঁচানোর কাজে। তাহলে হয়তোবা আমরা যতটুকু সময়ে এক আহনাফের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছি, ঠিক সেই সময়েই আরও ২জন আহনাফের জীবন বাচাতে কাজ করতে পারতাম!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।