আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা ১০ বছর আগের চেয়ে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ কম। বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৬৪ জন। শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার পঞ্চম আদমশুমারির প্রাথমিক ফল প্রকাশ করেন। গত মার্চ মাসে এ শুমারি হয়।

প্রাথমিক ফল অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার পুরুষ এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার নারী। ১০ বছরে জনসংখ্যায় যোগ হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার। সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ২০০১ সালে তা ছিলো ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বিভাগগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সিলেটে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ১ শতাংশ। ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার নিয়ে এর পরই আছে ঢাকা।

চট্টগ্রামে বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ। বরিশালে এ হার শূন্য। এ জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের এলাকা ত্যাগকেই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৮ হাজার ১১১ মানুষের বাস।

সবচেয়ে কম জনঘনত্ব বান্দরবানে ৮৬ জন। দেশে মোট খানার (এক রান্নায় যতজন খায়) সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার। প্রতিটি খানায় সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ জন। ২০০১ সালের আদমশুমারিতে দেশের মানুষের সংখ্যা ছিলো ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার। ঘনত্ব ছিলো প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৩৪ জন।

দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সরকার আদম শুমারি করে। গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল- ইউএনএফপিএ তাদের হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লাখ দেখালে তার সমালোচনায় মুখর হয় সরকার, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী। তখন ইউএনএফপিএ জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লাখ দেখালেও ২০০১ এর আদমশুমারির তথ্য হালনাগাদ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জানায়, জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৬৬ লাখ। পঞ্চম আদমশুমারিতে এ সংখ্যা আরো ৪৩ লাখ কম। ইউএনএফপিএ তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ ৪০ শতাংশ দেখিয়েছিলো, অন্যদিকে সরকারি হিসেবে তা ছিলো ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

সরকারি হিসেবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেড়েছে ০ দশমিক ০৪ শতাংশ। পঞ্চম আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফলে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপে গতিহীনতার মধ্যেও এ ফলাফল এসেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার অবশ্য বলেছেন, প্রাথমিক এ ফলাফল নিরীক্ষণের পরই আগামী নভেম্বরে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে। "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এটা যাচাই করে দেখবে।

পরিসংখ্যানগত ভুলগুলো ঠিক করবে", বলেন তিনি। দেশকে ১৩০টি শুমারি জেলায় ভাগ করে জনগণনা করা হয়। এক জন করে শুমারি সমন্বয়কারী প্রত্যেক শুমারি জেলার কাজ তদারক করেন। এ কাজে যুক্ত ছিলেন প্রায় চার লাখ ব্যক্তি। এতে ব্যয় হয়েছে আড়াইশ কোটি টাকা।

তবে অভিযোগ রয়েছে, অনেক মানুষই এ শুমারি থেকে বাদ পড়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।