আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতির পাতা থেকে-নটরডেম কলেজ (অম্লমধুর নানা অভিজ্ঞতা).........পর্ব ৩ (আয়রন ম্যানঃ টেরেন্স পিনেরো)

আমি শুনতে পাই লক্ষ কোটি ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ...হাহাকার স্মৃতির পাতা থেকে- নটরডেম কলেজ (১ম পর্ব) স্মৃতির পাতা থেকে- নটরডেম কলেজ (২য় পর্ব) (আগেই বলে রাখি টেরেন্স স্যারকে কখনোই আয়রন ম্যান ডাকা হতো না বা এটি তাঁর ছদ্দনামও নয়। লেখাটা শুরু করার সময় মনে হয়েছিল এই নামটা তার সাথে দারুন ভাবে মিল খায়। ) ১ম পর্বে উল্লেখ করেছিলাম “আয়রন ম্যান” টেরেন্স পিনেরো স্যারের কথা। নবীনবরনের দিন ফাদাররা সুন্দর করে মোলায়েম ভাষায় আমাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে টেরেন্স স্যার তার বক্তব্যের সময় কোন মোলায়েম ভাষা ব্যাবহার করেননি।

একদম “সোজাসাপ্টা” ভাষায় কলেজের নিয়ম কানুন বর্ননা করেছিলেন আর কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। একে তো স্টুডেন্ট’স গাইডেন্স, তার উপর ভরাট গলার আওয়াজ আর সেইরকম চেহারা। আমার “আয়রন ম্যান” উপাধির সাথে একদম খাপে খাপ মিলে যায়। প্রথম ইংরজীর ক্লাসে এলেন আবিদুর রহমান স্যার। ঝাঁক্রা চুল ও দাড়ি, চেহারায় একটু কবি কবি ভাব।

আমরা মনে মনে বেশ খুশিই হলাম। তবে তিনি বললেন এটা তার ক্লাস না, যিনি নিবেন তিনি পরদিন থেকে আসবেন। উনি ব্যস্ত বলে ক্লাসটা উনি নিয়েছেন। আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম কে তিনি? ব্যস্ত থাকার জন্য ক্লাস নেননি? কে এরকম ব্যস্ত থাকতে পারে? টেরেন্স স্যার নাতো? পরদিন আমার আশঙ্কাই সত্যি হলো। টেরেন্স স্যারই এলেন।

তিনি ক্লাসে ঢুকে নিজেই দরজা বন্ধ করলেন। দরজা বন্ধ করার স্টাইল দেখে মনে হলো তিনি কোন কাঠের দরজা না, লোহার দরজা বন্ধ করছেন। দুই পাল্লা দরজার দুইটা কড়া একসাথে টেনে বন্ধ করে ডায়াসের চেয়ারে এসে বসলেন। ততক্ষনে পুরো ক্লাস একদম চুপ। স্যার প্রথম ক্লাসেই ডিসিপ্লিন নিয়ে কিছু সময় লেকচার দিলেন।

তিনি সেদিন বিভিন্ন কথাই বলেছিলেন। এর মধ্যে কিছু কথাই মনে আছে। তিনি বলেছিলেন “তোমাদের সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য হোক আমি তোমাদের ক্লাসে এসে পড়েছি, অন্যান্য ক্লাসে কি হয় জানিনা তবে আমার ক্লাসে আমি একদম স্ট্রিক্টলি ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। এরপর আরও কিছু কথা বলার পর তিনি একটি কথা বললেন, এই বাক্য আমার কাছে সবসময় অমর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”, মাও সেতুঙ এর “War can only be abolished through war, and in order to get rid of the gun it is necessary to take up the gun.” এই ধরনের বাক্য যেমন পুরো জাতিকে আলোড়িত করেছিল, ঠিক তেমনি সেদিনের সেই বাক্য পুরো জাতি না হোক ১০৩ নম্বর রুমের ১২০ জন ছাত্রের সবাইকে নিঃসন্দেহে আলোড়িত ও আতঙ্কিত করেছিল।

আমরা অন্যান্য ক্লাসে অনেক দুষ্টামি করলেও টেরেন্স স্যারের ক্লাসে কোনদিন এক মুহুর্তের জন্যও দুষ্টামি করা তো দুরের কথা, সেই চিন্তাও মাথায় আনিনি। স্যারের সেদিনের সেই বাক্যটি ছিল “তুমি যদি শিশুর মত আচরন কর, তাহলে আমি তোমার সাথে শিশুর মত আচরন করব। আর তুমি যদি জন্তুর মত আচরন কর, তাহলে আমি তোমার সাথে জন্তুর মত আচরন করব। “ আপনারাই বলেন? এই কথা শোনার পর কি আর অন্যকিছু করার সাহস থাকে। এখন আসি স্যারের সাথে বিভিন্ন টুকরো টুকরো স্মৃতি.... টেরেন্স স্যার আমাদের ইংরেজী ভীতি অনেকটা দূর করে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন। “এতদিন তোমাদের যারা ইংরেজী শিখিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগের ধারনা যে, ইংরেজী হচ্ছে পন্ডিতদের ভাষা। আর তোমরা তাদের কাছ থেকে জ্ঞ্যান নিবে আর তারা বিতরন করবে। “ তিনি বলেছিলেন “তুমি মুখস্ত করা ভুলে যাও যেকোন ইংরেজী গল্প উপন্যাস পড়, ভুল হোক ইংরেজীতে কথা বলার চর্চা কর, প্রতিদিন নতুন নতুন ইংরেজী শব্দ শিখ”। ইংরেজী শেখার এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম পদ্ধতি।

তিনি ইংরেজী উপন্যাস পড়ানোর সময় বললেন “দেখ, এই গল্প গুলোর উদ্যেশ্য হচ্ছে তোমাদের মধ্যে আত্নিক শিক্ষাটা দেয়া। তোমাদের উচিৎ নিজে থেকে বুঝে এর বিশ্লেশন করা। আর বোর্ড পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে চাও তাহলে বাজারে যাও, যেকোন একটা গাইড বই কিন, নম্বর পাবার জন্য – That is enough.” স্যার আসলেই আমাদেরকে প্রকৃত শিক্ষাটাই দিয়েছিলেন। নটরডেম কলেজে “সাচিবিক বিদ্যা” বিষয়টি নেই দেখে প্রথমে খুব মনখারাপ হয়েছিল। কেননা ওই সাবজেক্টে খুব সহজে লেটার পাওয়া যায়।

টেরেন্স স্যার বললেন ওই সাবজেক্ট থাকলে হয়ত তুমি বেশি নম্বর পেতে, তাহলে কি লাভ হতো। ভবিষ্যতে এই সাবজেক্ট কোন কাজে লাগবেনা। আর উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থনীতি ও পরিসঙ্খ্যান অবশ্যই কাজে লাগবে। “বিজনেজ স্টাডিজ” থেকে পাশ করে বের হবে অথচ অর্থনীতি সম্পর্কে জানবে না তাহলে তো তোমাদেরকে মূর্খ বলতে হবে। স্যারের সেদিনের কথা আমার ভাল না লাগলেও স্যার আসলে একদম সঠিক কথাটি বলেছিলেন।

উচ্চমাধ্যমিকে “ব্যবসা শিক্ষা” বিভাগে নম্বর তোলার জন্য কিছু সাবজেক্ট আছে যা একদম অনর্থক। আমার মতে উচ্চমাধ্যমিকে “ব্যবসা শিক্ষা” বিভাগে অর্থনীতি, গণিতের মত বিষয় আবশ্যিক করা উচিৎ। একবার ক্লাসে কিছু কিছু ছাত্র দেরি করে আসতে লাগলো। টেরেন্স স্যার তাদের একজনকে ধরলেন। তো ছেলেটি বলল “স্যার, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায় মাঝে মাঝে”।

নিতান্ত বেকুব না হলে এই কথা কি টেরেন্স স্যারকে কেউ বলে? তো স্যার বললেন “ঠিক আছে, তোমার প্রব্লেম সলভ করে দিছি। ক্লাস তো ৮ টায় শুরু হয়, তুমি এখন থেকে ৭ টার সময় আসবে। তুমি এসে দারোয়ান কে বলবে আর দারোয়ান আমাকে রিপোর্ট করবে। এই টাইম টা শুধু তোমার জন্যই। “ বুঝেন অবস্থা? আরেকদিন স্যার এক নিরিহ টাইপ ছেলেকে ধরলেন।

ছেলেটি কয়েকদিন অ্যাবসেন্ট ছিল আর সে দেরি করেও কিছুদিন দেরি করে এসেছিল। স্যার ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করাতে বলল যে সে বাড়ি গিয়েছিল, মায়ের সাথে দেখা করতে। তো স্যার বুঝলেন যে মায়ের জন্য মন খারাপ লাগে বলে দেখা করতে গিয়েছিল। স্যার আবার জিজ্ঞেস করলেন ঢাকায় কার সাথে থাক? সে জানালো বড় বোনের সাথে। এই কথা শোনার পর স্যার তাকে স্বান্তনা দিয়ে বললেন বোনের সাথে থাক? তাহলে তো মায়ের কষ্ট এত অনুভব করার কথা না, কারন বোন তো মায়ের মতই।

“ এরপর স্যার ছেলেকে কিছু কঠিন কথা শোনালেন। বললেন “বড় বোনের সাথে থাক, বোনের তো মনে হয় বিয়ে হয়েছে? বাসায় আর কে কে আছে?” সে জানালো যে সে বোন ও দুলাভাইয়ের সাথে থাকে। এবার স্যার তাকে বললেন “তাহলে তো তুমি তো তোমার বোনের বাসায় থাকনা। তুমি ওই বাসায় আছ তোমার ভগ্নিপতির দয়ায়। এত যে আয়েশ করে আছ, কয়েকদিন পর যদি তোমার ভগ্নিপতি যদি একটা কিক মেরে তোমাকে বের করে দেয় তাহলে কি করবে??” এরপর স্যার তাকে বললেন “ক্লাস শেষে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবে।

একটা ছাতা কিনবে”। আমরা তো অবাক!! ছাতা কিনবে মানে? স্যার তখন ব্যাপারটা খোলাসা করলেন। বললেন “তুমি সেই ছাতা কিনে তোমার বোনকে বলবে ঘুম থেকে দেরি করে উঠি দেখে স্যার এই ছাতা কিনে দিয়ে প্রতিদিন এটা বাড়ি মেরে ঘুম থেকে তোলার জন্য। “ তারপর স্যার ওই ছেলের কাছ থেকে লিখিত নিলেন যে সে আর দেরি করে আসবেনা। এরপর তাকে বললেন “এই কপিটাতে তোমার ভগ্নিপতির সাইন নিয়ে আসবে”।

স্যারের সেই আচরন এখনো আমার কাছে অদ্ভুত লাগে। ওই ছেলে মানসিক ভাবে ক্লাসে সবার সামনে অনেক কষ্ট পেয়েছিল। তবে মনে হয় স্যার তাকে নির্মম বাস্তবতা দেখাতে ছেয়েছিলেন। আমাদের বড় ভাইদের কাছে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। একবার বাইরের কিছু মাস্তান টাইপ ছেলে পেলে গেইটের সামনে মারামারি বাধিয়েছিল, টেরেন্স স্যার নিজ হাতে বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে ঐ ছেলেদেরকে শায়েস্তা করেছিলেন।

এরপর আর কোন ঝামেলা হয়নি। একবার তিনি ক্লাসে উপস্থিত থাকার উপকারিতা বুঝিয়েছিলেন। “একবার আমার এক ছাত্র পারিবারিক কারনে খুনের মামলায় জড়িয়ে গেল। সে এমনভাবে ফেঁসে গিয়েছিল যে একদম শাক্ষী সহ নিশ্চিত যে সে খুনের সাথে জড়িত ছিল। আমি তার উপস্থিতি চেক করে দেখলাম যে যেদিন খুন করা হয়েছে সেদিন সে কলেজে উপস্থিত ছিল, সেই রেকর্ড সংরক্ষন করা আছে।

আমি বিষয়টি তখন রমনা থানার ওসিকে জানালাম। এরপরে সেই কেসটি ডিসমিস হয়ে যায়। “ শুধু এটি একমাত্র উদাহরন নয়। একবার প্রাক্তন ছাত্রের জন্য তিনি একবার আমেরিকা পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। যদি কখনও কেউ দ্বায়িত্ববান শিক্ষকের উদাহরন দিতে বলে তাহলে সবার প্রথমে থাকবে টেরেন্স স্যারের নাম।

স্যার বেশ রসিক মানুষ ছিলেন। ২০০০-২০০১ এর ক্লাব-ডে’র কিছুদিন পরের কথা। ক্লাব-ডেতে আমাদের কলেজ মাঠে জেমস এর সোলো কন্সার্ট হয়েছিল। তা নিয়ে আমরা বেশ উত্তেজিত ছিলাম। ক্লাসে টেরেন্স স্যারকে এক ছেলে একরকম বেকুবি মার্কা প্রশ্ন করল, “স্যার, জেমস নাকি নটরডেম কলেজের ছাত্র ছিল?”।

স্যার তখন গম্ভীর হয়ে বললেন, “ দ্যাখো, এই ভদ্রলোক সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। তবে আমার মেয়েরা আবার তার গান খুব পছন্দ করে। একদিন দুপুর বেলা লাঞ্চ করছি। তখন টিভিতে এই ভদ্রলোকের গান হচ্ছিল। তো আমি টিভির দিকে তাকালাম...... ‘চুল দেখলাম না চেহারা দেখলাম, বুঝতে পা্রলাম না!!’ আমার মেয়েরা জানে যে এইসব দেখলে আমার এলার্জি হয়, তাই তারা চ্যানেল পালটে দিল।

“ “Luncheon” গল্পে একজায়গায় “ওয়াইনের” উল্লেখ আছে। তিনি বললেন –“এই যে ওয়াইন এটা হচ্ছে একটা পানিয়, যেটাকে অশিক্ষিতরা বলে মদ। এটা কোন খারাপ জিনিষ না”। তবে আমি কখনও স্যারের এই কথায় কখনও উৎসাহিত হইনি। এবার আসি স্যারের কুকুর “মাইক” এর কথা।

কলেজের পাশে স্যারের রয়েল একাডেমিতে (স্যারের নিজস্ব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল) এক স্যারের কাছে অর্থনীতি পড়তে যেতাম। সেখানে মাঝে মাঝে মাইকের সাথে দেখা হতো। ভয়ঙ্কর খিপ্র ল্যাব্রাডর জাতের কুকুর। আমি ওইটাকে দেখলেই দূরে সরে যেতাম। কারন অপরিচিত মানুষ দেখলে যেভাবে ছুটে আসত, ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যেত।

স্যার নাকি ওইটাকে কোলে নিয়ে খাওয়াতেন! একবার আমার বন্ধু জাহিদ রয়েল একাডেমিতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় একেবারে কুকুরটার সামনে পড়ে যায়। সে পিছন দিকে ঘুরতেই কুকুরটার নখ তার পায়ের প্যান্টের কাপড় ভেদ করে আঁচড় লাগে। সে আমাদের সামনে এসে ভয়ে কাপতে থাকে। আমাদের অর্থনীতির ওই স্যার তখন জাহিদকে টেরেন্স স্যারের কাছে নিয়ে গেলে স্যার একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন “১৭-১৮ বছরের যুবক, এই সামান্য ঘটনাতেই ভয় পেয়ে গেলে। “ রয়েল একাডেমিতে একবার স্যরের ইংরেজী কোর্সের ক্লাসে এক বড় ভাই ক্লান্তি ভাব করে আড়ামোড়া ভেঙ্গে বিরাট হাই তুলে হাত দুটো পেছনে নিয়ে যায়, এবং পিছনে বসা এক মেয়ের গায়ে লেগে যায়।

স্যার মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন যে সে ইছে করেই কাজটি করেছে। স্যার কিন্তু কোন চিৎকার চ্যাঁচামেচি করলেননা। ছেলেটিকে কাছে ডাকলেন- “Hey, you boy, come here” কাছে আসার পর স্যার কোন কথা না বলে তার দুই গালে “ঠাশ ঠাশ” চড়। এরপর বললেন “যাও নিজের জায়গায় যাও”। খুবই দারুন একটা পদ্ধ্যতি! সবার সামনে মেয়েটিও কোন লজ্জাকর অবস্থায় পড়লনা আর ছেলেটিও শাস্তি পেয়ে একদম সোজা।

আমরা থাকার সময়ই স্যারকে “স্টুডেন্টস গাইডেন্স” পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। আমরা কলেজ ছাড়ার পর শুনেছি স্যারকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্যারের সাথে কেন এরকম করা হয়েছিল সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত বলব আমার আরেক লেখায়। সেখানে বলব কলেজের কিছু অন্ধকার দিকের কথা। এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরু হবার কিছু আগে স্যারের বাসাতে বন্ধুরা মিলে তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।

স্যার মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করে সবাইকে একটা কথাই বললেন “নকল করো না”। যেন এই যাবার বেলাতেও বোঝাতে চাইলেন, নটরডেম কলেজের আসল শিক্ষা হচ্ছে আত্মিক শিক্ষা। সেটাই ছিল স্যারের সাথে শেষ দেখা। বছর ৩/৪ আগে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় পত্রিকার ২য় পাতায় একটা নিউজ দেখলাম, স্যার এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। নিতান্ত অবহেলায় নিউজটি ছাপা হয়েছিল।

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা খুব নিরবে চলে যান। নিজের সাফল্য নিয়ে কখনও ঢাকঢোল পিটান না। তাঁরা হঠাৎ করে চলে যান। তবে আমরা নটেরডেমিয়ানরা কখনও ভুলব না, সবসময় তাকে মনে রাখব বাস্তব এক “লৌহ মানবের” উদাহরন হিসেবে। .....(চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।