পুরুষ ছাড়া কোনো নারী ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। খোলা রাখা যাবে না সাজগোজের কোনো দোকান। কারণ এতে নারী যৌনকর্মীদের মতো সাজগোজ করতে পারেন। গত জুন মাসে তালেবানি কায়দায় আফগানিস্তানে নারীদের ওপর এমন আট ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন বাঘলান প্রদেশের দেহ সালাহ অঞ্চলের ধর্মীয় নেতারা।
এবার সেই নিষেধাজ্ঞার প্রতি প্রচ্ছন্ন সম্মতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের প্রধান ধর্মীয় উপদেষ্টাদের একজন।
এতে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়লে দেশটিতে আবার কট্টরপন্থীদের রক্ষণশীলতা ফিরে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগান নারীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ২০ কোটি ডলারের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর পরদিনই দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত ওলামা পরিষদের সদস্য এনায়েতউল্লাহ বালিগ জানান, তিনি দেহ সালাহ অঞ্চলের ধর্মীয় নেতাদের জারি করা ডিক্রিতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।
ওলামা পরিষদের সদস্য ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এনায়েতউল্লাহ বালিগ গত শুক্রবার রয়টার্সকে বলেন, ‘এসব দোকান খোলা রাখার সুযোগ নেই।
ব্যবসা করার জন্য দোকান, ব্যভিচারের জন্য নয়। ’ অথচ দেহ সালাহ অঞ্চলের বাসিন্দারা এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘ফতোয়া’ মনে করছেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনকালে দেশটিতে নারীদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত বোরকা পরতে হতো। কেউ নখে রং লাগালে তার আঙুল কেটে দেওয়া হতো।
গত জুনে সালাহ অঞ্চলের জামারাই এলাকার একজন রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতার স্বাক্ষরিত ওই ফতোয়ায় বলা হয়, ‘যদি কর্তৃপক্ষ আমাদের এই দাবির প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে, তাহলে আমরা জিহাদ শুরু করব।
’
দেহ সালাহতে প্রায় ৮০ হাজার লোক বাস করে। যাদের বেশির ভাগই তাজিক গোষ্ঠীর। আর তাদের প্রতি রয়েছে তালেবানের সমর্থন।
আবদুল্লাহ স্থানীয় একজন প্রসাধন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় নেতারা আবার তালেবান শাসন ফিরিয়ে আনতে চায়।
আর তারা যদি সফল হয়, তাহলে মানুষের জীবন অসহায় করে তুলবে। আমরা গরিব, এর পরও তারা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চাই সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক। ’
শাহ আগা আনদারাবি নামের একজন চিকিত্সক বলেন, ‘ব্যভিচারের যে অভিযোগ ধর্মীয় নেতারা তুলেছেন, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আসলে তাঁরা নারীর জন্য এসব দোকান বন্ধ করে দিতে চান।
’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।