আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্সার মেসিকে খুজে পেলো আর্জেন্টিনা।অ্যাগুয়েরো ২ ডি মারিয়ার ১ গোলে জিতে কোয়াটারে বাতিস্তার সেনারা। এখন টার্গেট শিরোপা।

স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই....... বার্সার সেই মেসি। আজ দেখালেন তার পায়ের জাদু মাত্র তিন দিনের ব্যবধান। কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ায় শঙ্কায় কাঁপতে থাকা আর্জেন্টিনা দলের চমত্কার বিবর্তন দেখা গেল কাল কোস্টারিকার বিপক্ষে। উত্তর আমেরিকার এ দলটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফেবারিট হিসেবে কোয়াটারে উঠলো সার্জিও বাতিস্তার সেনানিরা। অ্যাগুয়েরোর দুই গোল ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার অ্যাঙ্গেল শর্টে গোল করে সত্যিই স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে আর্জেন্টাইন শিবিরে।

১৮ বছর পর কোপা আমেরিকার ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে মেসি, ডি মারিয়া, মাসচেরানো ও হিগুয়েইনেরা। আর্জেন্টিনা এ জয়ের পর মোট পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে। তাদের সঙ্গী কলম্বিয়া। এই গ্রুপ থেকে কোস্টারিকারও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ জন্য তাদের একটু অপেক্ষায় থাকতে হবে।

সেরা তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টারে যেতে পারবে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য আজ আর্জেন্টিনার সামনে জয় ভিন্ন অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। সে লক্ষ্যে নতুন কৌশল নিয়েই দলকে মাঠে নামান কোচ বাতিস্তা। একাদশে চারটি পরিবর্তন সত্যিই আর্জেন্টিনা দলকে পাল্টে দেয় অনেকটা। কাল একাদশে ছিলেন না তেভেজ, ক্যাম্বিয়াসো, বেনেগা ও লাভেজ্জি।

এ চারজনের জায়গায় খেলতে নামেন ডি মারিয়া, হিগুয়েইন, গ্যাগো ও অ্যাগুয়েরো। এ চার খেলোয়াড়ের উপস্থিতি আর্জেন্টিনার খেলার ধারা পাল্টে দেয় অনেকটা। মেসিও পেয়ে যান তাঁর যোগ্য সঙ্গী। সুন্দর এ জয়ের পরেও বাতিস্তা সমালোচিত তাঁর পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের জন্য। প্রশ্ন উঠেছে এদের কেন প্রথম দুটি ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

ম্যাচের প্রথম থেকেই কোস্টারিকার ওপর আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। অ্যাগুয়েরো, গ্যাগো, হিগুয়েইনদের পেয়ে স্বরূপে ফিরে আসেন লিওনেল মেসি। তাঁর নেতৃত্বেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডদের আক্রমণ বারবার আছড়ে পড়তে থাকে কোস্টারিকার গোল সীমানায়। এমনই একটি আক্রমণ থেকে ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে অ্যাগুয়েরোর গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের সাত মিনিটের মাথায় অ্যাগুয়েরো নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন।

৬১ মিনিটে মারিয়া তৃতীয় গোলটি করে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেন। খেলা শেষ হতে পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে আর্জেন্টিনা চতুর্থ গোলটি পেয়ে গেলেও যেতে পারত। কিন্তু বদলি লাভেজ্জির শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। অবশ্য গোলের সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো। হিগুয়েইনের দুর্ধান্ত একটা শর্টে বল সরাসরি কোস্টারিকার জালে চলে যায়, কিন্তু রেফারি বাঁশি বাজিয়ে সেটাকে অফসাইট বলে দেয়।

শুধ তা না চমৎকার একটা পেনাল্টি থেকে বেঁচে যায় অথিতি দলটি। গিগুয়েইন সামনের দিকে বল নিয়ে ছুটে গেলে তাকে পেছন থেকে টেনে ধরে রাখে কোস্টারিকার একজন ডিফেন্ডার। কিন্তু তা রেফারির চোখে ধরা পড়েনি। এগুলো ছাড়াও অনেকগুলো সুযোগ হাত ছাড়া করে রিয়ালের হিগুয়েইন। দুর্দান্ত এক জয়ে অবদান রাখতে পেরে দারুণ খুশি অ্যাগুয়েরো।

ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জয় দরকার ছিল। ম্যাচটি আমি খুবই উপভোগ করেছি। ’ কোচ বাতিস্তা জয়ের পাশাপাশি খুশি লিওনেল মিসের স্বরূপে ফেরায়। তাঁর মতে, ‘মেসি আজ পুরো দলকেই খেলিয়েছে। মেসির সঙ্গে পুরো দলই ছিল দুর্দান্ত।

দলের এই পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। যাই হোক এখন দেখার বিষয় আর্জেন্টিনা তাদের ১৯ তম শিরোপা ঘরে তোলার জন্য কতটুকু সামনে যেতে পারে। জয়তু আর্জেন্টিনা। সুত্র : রয়টার্স  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।