আপনাকে স্বাগতম! আজকাল দেখছি হরতালের সমর্থনকারী আর হরতালের প্রতিরোধকারী সকলেই নিরীহ পাবলিকের ওপরে বেশ ক্ষেপেছে। ব্যাপারটি আসলে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, ভেবে পাচ্ছি না।
হরতাল-পিকেটিং গণতন্ত্র আর প্রতিবাদের ভাষা। যদিও প্রতিবাদের জন্য আরও উত্তম মাধ্যম আছে, সেগুলো আমরা মানি না। আমাদের অতি গণতন্ত্রের দেশে হরতাল আর অবরোধ ছাড়া প্রতিবাদ হয় না।
হরতাল আর অবরোধের পূর্বের রাতে দু-চারটা গাড়ি না পোড়ালে পরদিন হরতাল জমে না। আবার হরতাল-অবরোধের দিন দু-চারটা গরিব না মারলে হরতাল সফল হয় না।
দিনমুজুর আর শ্রমিককে একদিনের ভাত মারার পরদিন তাদেরই অভিনন্দন জানানো হয়। আমুলিগ আর বিমপি একই কায়দায় এসব করে এসেছে। আমরিকা বা ইংলন্ডকে গণতন্ত্রের সূতিকার বলে অনেকেই মানেন।
গর্বের বিষয় হলো আমাদের গণতন্ত্র তাদের চেয়েও উত্তম, কারণ তারা প্রতিবাদের ভাষা জানে না!
আমাদের একালের ছাত্রভাইদের হকিস্টিক-ভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে একটি মজার কৌতুক সকলেই জানেন। উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এরকম ছাত্র-রাজনীতি নেই কেন, জিজ্ঞেস করা হলে, আমার মতো এক নালায়েক উত্তর দিয়েছিলো: কারণ তাদের রাজনীতিও আমাদের ছাত্রভাইয়েরা করে দিচ্ছেন।
আমাদের সোনার বাংলাদেশে সকল পেশা ও সকল বয়সের ভাইবোনেরা যেভাবে রাজনীতি নিয়ে ভাবেন আর অস্থির হন, তাতে মনে হয় সমগ্র পৃথিবীর রাজনীতি বুঝি বাংলাদেশেই হয়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।