বাংলাদেশ জন্মের পর থেকে যারাই ক্ষমতায় যান তারা আর ভোটারদের কথা স্মরন করেন না। ক্ষমতায় যাওয়ার পর এমন সব অন্যায়,অত্যাচার,দূর্নীতি বা এককথায় জনবিরোধী কার্য্যকলাপ করিতে থাকেন যে, আমাদের মত সাধারণ ভোটারদের কিছুই বলার থাকেনা। খোদ বিরোধী দলই আইনের প্যাচে পড়ে যেয়ে আইনগত ভাবে কিছুই করিতে পারেনা আর আমরা তো আম-জনতা। বিরোধী দলের জন্য অনাস্থা আনার সুযোগ থাকে যদি সেরকম সংখ্যাগরিষ্টতা সংসদে থাকে। ক্ষমতা গ্রহনের পর ৫ বছরের গ্যারান্টি কার্ড যেন সরকারী দলের হাতে।
শুধু সংসদ নয় সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিরা একই রকম ব্যবহার করিয়া থাকেন। কিন্ত এভাবে আমাদের ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর গনবিরোধী কার্য্যক্রম পরিচালনা করিয়া ক্রমে স্বেচ্ছাচারী বা স্বৈরশাসকে রুপান্তরিত হয়। কিন্ত যদি আইনত: জনগণের অনাস্থা আনার কোন সুযোগ থাকিত তাহলে অনেক জনপ্রতিনিধি কিছুটা হলেও সতর্ক থাকতেন। আমাদের দেশে নির্বাচনের পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে জনগনের একাধিকবার অনাস্তা আনার আইন এখন খুবই জরুরী। অর্থা জনগন যেন যে কোন সময় যে কোন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনিতে পারেন সেরকম আইন চাই।
যেমন আমার এলাকার যিনি চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান বা সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন আমার মত ভোটারের ভোটে কিন্ত এখন আমার মত অনেক ভোটারই তাহাদের অনেককে পচ্ছন্দ করতে পারছি না এবং এখনই অনাস্থা আনলে অনেক ভোটারই আমাদের সাথে যোগ যে হবে তাহা নিশ্চিত বলা যায়। তাহানাহলে যাহাকে ভালো মনে করিয়া ভোট দিয়েছিলাম তিনি ৫ বছরের বাকী সময়টা অন্যায়-অত্যাচার,দূর্নীতি,ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের ক্ষতি করেই যাবেন। আমাদের দেশের সকল স্থরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ভোটের আগে ভোটারদের সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা আর ফুলঝুরি প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পরে আর কথা রাখেন না তাই ভোটের পরে ৫ বছরের মধেও যেন জনগন অনাস্তা আনার অধিকার পায় সে আইন চাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।