স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে বলিষ্ঠ ভূমিকা না রাখার অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করেছে সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁদের সতর্ক করে আজ বুধবার চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম মো. শহিদ।
নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের দেশের চার হাজার ৫৪৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান, ৪৮৭ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৩০৯ পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন বলিষ্ঠ ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রেখে এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষা করা জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব। কিন্তু অনেকেই দায়িত্ব পালন না করে হামলাকারীদের উসকে দিচ্ছেন, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সহায়তা করছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস ও ক্ষতি করা হচ্ছে। বিশেষ করে রেলে নাশকতা চালানো হচ্ছে যা রাষ্ট্রবিরোধী গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ।
চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের রেল লাইন ও সরকারি স্থাপনা অবশ্যই নজরদারি করতে হবে। কোন অনিষ্টের আশংকা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানতে হবে। এ কাজে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে কার্যকর সহায়তা করতে হবে।
এর আগে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৬ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম মো. শহিদ আজ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘জানমালের ক্ষতি না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সাবধান করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতাও বলেছেন যাঁরা এসব করছেন, তাঁরা তাঁদের দলের নন। তাঁর মানে দুষ্কৃতকারীরা এসব নাশকতা করছে, আর এই নাশকতাকারীদের প্রতিহত করা প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির দায়িত্বর মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে রেললাইন যেভাবে উপড়ে ফেলা হচ্ছে তা প্রতিরোধেও জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হওয়ার জন্য আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।
এমন পরিস্থিতিতে যেন তাঁরা দায়িত্বের প্রতি অবিচল থাকেন, সে জন্যই তাদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ’
এর আগেও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর গত মার্চে জামায়াত-শিবির দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্তে জনপ্রতিনিধিদের ওই তাণ্ডবে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই জনপ্রতিনিধিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে সময় সারা দেশে সহিংসতার ঘটনায় দেশের ছয়টি বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।