আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানির বানিজ্যিকরণ রোধে জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে

পানির বানিজ্যিকরণ রোধে জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে মানুষ ও প্রকৃতির অধিকার রায় পানি বানিজ্যিকরণ রোধ করতে হবে। ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় প্রস্তাবিত খসড়া পানি আইন ২০১০ বর্তমান অবস্থায় পাশ করা হলে পানি বানিজ্যিক রূপান্তর হবে এবং দেশের পানিখাত বিদেশী কোম্পানি হাতে চলে যাবে। পানির বানিজ্যিকরণ জনগনের অধিকারকে ুন্ন করার পাশাপাশি সরকারের মতাকে ুন্ন করবে। খসড়া প্রস্তাবিত পানি আইনটি সতর্কতার সাথে জনপ্রতিনিধি ও সরকারকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আজ বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসকাবে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর এ এম এম শফিউল্লাহ সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, প্রকৌশলী ম এনামুল হক, নদী বিশেষ্ণগ মনোয়ার হোসনে, কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রকৌশলী শফিউদ্দিন সরকার, পরিবেশবিদ হাফিজুর রহমান ময়না। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দা অনন্যা রহমান। পানি ছাড়া কোন প্রাণীই বাচতে পারে না। পানি প্রকৃতির দান, এটা কেউ তৈরি করেনি। তাই পানিকে কোনভাবেই বানিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

পানি বিষয়ক আইন ও নীতিমালা প্রণয়নের েেত্র ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকেই নয় প্রাণ ও প্রকৃতির স্বার্থ-অধিকারকে প্রাধান্য দিয়েই হতে হবে। শুধুমাত্র পানি উৎস ব্যবস্থাপনা কিংবা সরবারহের প্রতি ল্য রেখে প্রণীত নীতি ও আইন মাধ্যমে আসন্ন পানির সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়। পরিবেশের অন্যতম এই উপাদানটির রায় পুরো পানি চক্রটিকে প্রাধান্য দিয়েই পানি নীতি ও আইন তৈরি করতে হবে। পানিকে বাণিজ্যিক পণ্য এবং রাজস্ব আয়ের উপকরণ হিসেবে না দেখে জননিরাপত্তা ও জনস্বার্থে ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সম্পদ হিসেবে আইনে পানিকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। লিজিংয়ের মাধ্যমে পানিকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে না নিয়ে এ পানি আইন ও নীতির মাধ্যমে পানির উপর মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের দৃঢ় পদপে দরকার।

ব্যবসায়িক খাতের নিয়ন্ত্রণাধীন পন্যগুলোর বাজার নিয়ন্ত্রণের ল্েয সরকার হিমসিম খেতে হচ্ছে। যাতায়াত, খাদ্য, চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতগুলোর উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং বেসরকারী কোম্পানিগুলোর অধিকার প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় জনগনের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সকল খাতে নিকট সরকার আজ অসহায় পানির মতো একটি মৌলিক প্রয়োজনীয় পন্যের বানিজ্যিকরণ সরকারের মতাকে সংকুচিত করবে এবং জনগনের অধিকারকে ুন্ন করবে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির পরামর্শে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পানিখাতে বেসরকারী করে মানুষের দূভোগ পোহাতে হয়েছে। ঐ সকল দেশে মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

পৃথিবীর অনেক দেশ হতে সেই সকল কোম্পানিগুলোকে বিতারিত করা হয়েছে। পানি অধিকার রায় ঐ দেশের মানুষকে পানি অধিকার রায় রাস্তায় নামতে হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে। এখন সেই কোম্পানিগুলো আমাদের দেশের উপর তাদের অশুভ ছায়া ফেলেতে চাচ্ছে। এ দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার রায় অবশ্যই সেই অশুভ চক্রের শক্ত হাতে মোকাবেলা করবে। পানি বানিজ্যের ভয়ংকর পরিণতি সম্পর্কে আগাম জানানোর পরও যে সকল ব্যক্তি পানি মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ বানিজ্যিকরণ করার চেষ্ট করবে বা বিদেশী কোম্পানি হাতে তুলে দেবেন।

তাদের সামাজিক অপরাধী হিসেবে চিহ্তি করা হবে। প্রয়োজনে জনগনের অধিকারহরণের জন্য রাষ্ট্র হতে গ্রহণকৃত সকল সুবিধাদি বাতিলের পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাদের বিচার জন্য আইন প্রণয়নের আন্দোলন করা হবে। জনগনের সম্পদ ও অধিকারহরণকারী কোন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের মালিক জনগন মা করবো না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.