আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তামিমের ঝড়ো ইনিংস এবং চমৎকার ক্যাচের কাছে হার মানলেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান।

স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলতে চাই....... ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয়েছিল সাকিবের দল ওরচেস্টারশায়ার ও তামিমের দল নটিংহ্যামশায়ার। মাঠের লড়াইয়ে সাকিবের দল ১০ রানে হারলেও ব্যক্তিগত লড়াইয়ে দুজনেই সমান পরিমাণ দ্যুতি ছড়িয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন। তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে খেলেন ৩৫ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। আর সাকিব-আল-হাসান ব্যাট হাতে ২০ রানের পাশাপাশি দখল করেন একটি উইকেট। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে নটিংহ্যাম তোলে ১৫২ রান।

২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে তামিম ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। তিনটি চারের একটি আবার সাকিবের বলেই মারা! আর সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নটিংহ্যাম অধিনায়ক অ্যাডাম ভোগসের উইকেটি তুলে নেন। জবাবে, ১৫৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওরচেস্টারশায়ার ৫ উইকেটে ১৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যাট হাতে চরমভাবে ব্যর্থ সাকিব একটি চারের সাহায্যে ২২ বলে করেন ২০ রান। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাকিব-আল-হাসানের ক্যাচটা জমেছে তামিম ইকবাল খানের হাতেই।

স্টিভেন মুলানির ফুলটসটি সজোরে হাঁকাতে গিয়ে তামিমের হাতে তুলে দেন সাকিব। সে সময় জয়ের জন্য ওরচেস্টারের দরকার ছিল ২৭ বলে ৩৭ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে হতাশায় মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন সাকিব। আর তার ক্যাচ মুঠোবন্দি করে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন তামিম। একই মাঠে দুই বাঙ্গালির হাসি-কান্না মিলে গেলেও গ্যালারীতে উপস্থিত বাঙ্গালিদের জন্য দিনটি শুধু আনন্দই বয়ে এনেছে।

এমনিতে কাউন্টি ক্রিকেটে প্রচুর দর্শক হলেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে দর্শক উপস্থিতির হার একটু কমে যায়। তাই সাকিব-তামিমের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত উল্লেখযোগ্য বাঙ্গালিদের চোখে পড়েছে আলাদা করে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে এবং জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে ধরে সাকিব-তামিম জুটিকে তারা উৎসাহ দিয়ে গেছেন পুরো সময়। এ জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে থাকা তামিমের দল নটিংহ্যামশায়ার পৌছে গেছে শেষ আটের লড়াইয়ে। সাকিবের দল ওরচেস্টারের ভাগ্য এখনো পেন্ডুলামের মতো দুলছে।

তালিকার চর্তু স্থানে থাকলেও বাকি দলগুলোর চেয়ে দুটো ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। বিস্তারিত  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।