কাল প্রেসবঙ্ েআলোচনার মূল বিষয় ছিল তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও দেশসেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার না খেলা। টি-২০ সিরিজের আগে দুজনকে নিয়ে একটা বিতর্কের গন্ধও পাওয়া গিয়েছিল। মুশফিকের ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে মাশরাফিকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করা হয়। তার ডেপুটি বানানো হয় তামিম ইকবালকে। তারপর থেকেই তৈরি হতে থাকে একের পর এক নাটক।

কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত মনঃপূত হয়নি ড্যাশিং ওপেনারের। তাই তো সরাসরি টিম ম্যানেজমেন্টকে তামিম চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি সহ-অধিনায়ক হতে রাজি নন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরপরও তামিমকে সহ-অধিনায়ক করে ওয়ানডে দল ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো তামিম জানিয়ে দেন তিনি সহ-অধিনায়ক হতে রাজি নন। এমনকি কাল প্রথম ম্যাচে একাদশেই দেখা গেল না তামিমকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁধের ইনজুরির জন্যই প্রথম ওয়ানডে খেলছেন না এই ড্যাশিং ওপেনার। আগের দিন অনুশীলনের সময় নাকি অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছেন মাশরাফিও! সে কারণেই নড়াইল এঙ্প্রেস ছিলেন না প্রথম ওয়ানডেতে। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, টানা খেলার মধ্যে থাকার কারণেই প্রথম ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দেশসেরা পেসারকে। মাশরাফি কেন খেলছেন না সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।

আর তামিমের ইনজুরি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল! টি-২০ সিরিজের আগেই কাঁধে ব্যথা পেয়েছিলেন দেশসেরা ওপেনার।

সে জন্য টি-২০ সিরিজেই নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বিশ্রাম চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্রাম পাননি। তাই কাঁধের ইনজুরি নিয়েই দুই ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাকে। এদিকে ম্যাচের আগের দিন তার কাঁধের ব্যথাটা নাকি আরও বেড়ে গেছে। তাই ওয়ানডে দলে রাখা হয়নি।

তবে এ ব্যাপারেও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। তামিম যে ইনজুরিতে পড়েছেন এ কথা মিডিয়া কর্মীরাও জানেন না। কাল ম্যাচ শুরুর আগে খেলোয়াড়ের তালিকায় তামিমের নাম না দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। দেশের সেরা দুই তারকা ক্রিকেটার খেলছেন না, অথচ এ ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।

তবে টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাখ্যা দিক বা না দিক দলের ভেতর যে একটা থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা কিন্তু ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা দেখেই অনেকটা অাঁচ করা যায়! কাল শ্রীলঙ্কাকে হয়তো কম রানে আটকে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু টাইগারদের ফিল্ডিং তো ছিল হতাশাজনক।

ক্রিকেটারদের অনেককে মাঠে দেখে অমনোযোগী মনে হয়েছে। ওয়ানডেতে যেখানে একটি ক্যাচ মিস হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, সেখানে কিনা চার-চারটি ক্যাচ মিস হয়েছে। বেশকয়েকবার ফিল্ডিং মিস। তাছাড়া বিনা নোটিসে তামিম ও মাশরাফির মতো দুই তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে! সবকিছু মিলে কেমন যেন একটা রহস্যজনক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ ওয়ানডে সিরিজ শেষ হতে না হতেই শুরু হবে এশিয়া কাপ।

তারপর টি-২০ বিশ্বকাপ। পরপর দুটি মহাগুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এখন বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে নতুন উদ্যমে। অথচ একের পর ঘটে চলেছে নাটকীয় ঘটনা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা দলের জন্য কখনোই সুখকর হবে না।

আর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় দুই বড় টুর্নামেন্টে টাইগাররা ব্যর্থ হলে তা কোনোক্রমেই এড়াতে পারবে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

 

।