আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ কয়েক সপ্তাহ রাতদিন নজর রাখার পর প্রেসিডেন্ট ওবামাকে এই বাড়ির কথা জানানো হলো আর বলা হলো এখানে কোন দামী টার্গেট লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। তিনি আর সময় নষ্ট করতে চাইলেন না, আমেরিকার রাষ্ট্রপতির একটা জিনিস হলো তিনি নিশ্চি হতে চান যে সিআইএ কত তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করতে পারি। সিআইএ-কে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হলো, তবে তার জন্য আরো একটু কাছাকাছি যেতে হবে।
ফেজ টু:- আনম্যেন ড্রোনস, যাদের বলা হয় আন ব্লিংকিং আই ইন দা স্কাই, ড্রোন লাইভ ভিডিও, দিনের সাহায্যে পাঠাতে পারে। তবে আনমেন ড্রোনস যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এরা রেডারে ধরা পড়তে পারে। সরকারী ভাবে জানানো না হলেও এই ড্রোন আরকিউ-১৭০ সেন্ট্রিনেল যা বিষ্ট অব কঙ্গফায়ার নামে পরিচিত।
মিলেটারী বিশেষজ্ঞদের মতে বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার জন্য উপযুক্ত এটা। কারণ এটা বি-টু স্টেলথ বম্বারের মতো সাধারনত রেডারে ধরা পড়ে না।
সবাই যেটা চাইছিল সেটা হলো ওখানে যতো পুরুষ রয়েছে তাদের ছবি। লোকটা কি বিন লাদেন না জাওয়ারী? তবুও ছায়া মূর্তীর মতো লোকটার মুখ দেখা গেল না, তাদের আরো কাছে যেতে হবে। ডিসেম্বর ২০১০, সিআইএর ডিরেক্টর রিএন পেনেটার আইন শৃংখলা রাকরী একটা গোপন সভা ডাকলেন।
অপারেশনের পরবর্তী পদপে ঠিক করার জন্য। এই পুরা প্রকৃয়ার মধ্যে টপ ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ প্রিন্সিপ্যালদের মধ্যে কতবার যে গোপন মিটিং হলো; এতোটাই গোপনীয়তা রা করা হলো যে তাদের স্টাফরাও জানতো না যে কখন সেই মিটিং হচ্ছে বা কোথায় হচ্ছে এবং কেউ জানে না যে সেখানে কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ফেস থ্রিঃ- মাটিতে পা ফেলা। এক অতি দুঃসাহসী পরিকল্পনা অনুসারে সিআইএ এমন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিল যেখান থেকে ঐ বাড়িটা স্পষ্ট দেখা যায়। সম্ভবত সিআইএ কোন পাকিস্থানী ন্যাশনালকে নিযুক্ত করেছিল আর সে ঐ বাড়িটায় থাকতে শুরু করে। জন কিরিয়াকউ ঠিক নাইন-ইলেভেনে পর পাকিস্তানের সিআইএর চীফ আফ কাউন্টার ট্রেররিজমে রয়ে গিয়েছিলেন। তবে তিনি বিন লাদেন ইনভেস্টিগেশনের সংগে যুক্ত ছিলেন না।
তবে পাকিস্তানে তিনি এই ধরনের অনুসন্ধানই করতেন। ওদের মধ্যে মিশে যেতে হবে, কোন মতেই যেন ওদের নজর না পড়ে তাই স্থানীয় মানুষদের মধ্যে মিশে যেতে হবে। তার জন্য বড় বড় দাড়ি রাখতে হবে, সব সময় পাকিস্তানী পোষাক পরতে হবে। সিআইএ হয়তো ব্যবহার করেছিল এমন ক্যামেরা যাতে টেলি ফটো লেন্স, নাইট ভিশন গগলস আছে আর যা কথোপকথন বিশ্লেষনের মতা সম্পন্ন।
কেউ কেউ বলেন ওদের কাছে হয়তো উন্নত প্রযুক্তির লেজার বীম আছে।
এই লেজার বীম জানলায় ভাইব্রেশন ডিটেক্ট করে উক্ত ভাইব্রেশনকে সাউন্ডে ট্রান্সেলেট করতে পারে। এই ভাবে ঘরে উপস্থিত না থেকেও ঘরের দেওয়ালে কান না পেতেও বোঝা যায় যে ঘরের ভিতর কি কথা হচ্ছে।
আমেরিকার নজরদারী দল দেখতে পেল যে বাড়িটার উঠানে একটা লোক পায়চারী করছে। তাকে তারা নাম দিল দ্যা ব্লেসার, এইভাবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটা ঘটনা সাজিয়ে একটা পরিষ্কার চিত্র পাওয়া গেল। যখন দেখাগেলযে বেশকয়েকজন ঐ লোকটার সংগে ঐ বাড়িটায় থাকে, কয়েকজন মহিলা কয়েকটা বাচ্চা আর বেশ কিছু লোক, বিন লাদেনের পরিবার সম্পর্কে সকলের যে ধারণা ছিল তা একে বারে মিলে গেল।
চলবে.....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।