ডুবতে বসেছে দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-- এদু’টি পদ একই ব্যক্তি দখল করে রাখা, শেয়ারের দাম বাড়াতে কারসাজি, গ্রাহকসেবা প্রদানে উদাসীনতা, কোম্পানির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করাসহ নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে গ্রাস করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের নাম, লোগো নিয়ে লন্ডনের আদালতের দেওয়া রায় বিরুদ্ধে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে বেকাদায় পড়েছে।
কিছুদিন আগে ইউনাইটেড এয়ার আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। আর এক বছরের মাথায় রাইট শেয়ারের মাধ্যমে আরো ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলনের আবেদন করেছে এসইসি’র কাছে।
লোকসানের মুখে মে মাস থেকে তাদের ঢাকা-লন্ডন রুটটিও বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য রুটগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। যাত্রীসেবা বলতে কিছুই নেই। একের পর এক নতুন রুট চালু করলেও কিছু দিনের মধ্যে ওইসব রুটে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক থাকছে না, নতুবা ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক বদরুদ্দোজা সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, অগ্রিম শিডিউল ছাড়া তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব নয়।
নিয়ম লঙ্ঘন করে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দুটি পদ তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী নিজের করে নিয়েছেন। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি একাই দখল করে থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। একই ব্যক্তিকে কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডি হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এতে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সুযোগ থাকে।
বিশেষ করে চেয়ারম্যান নির্বিঘ্নে কাজকর্ম করতে পারেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারি করা নোটিশে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে; চেয়ারম্যান ও এমডি কিংবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হবেন দুইজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি।
এসইসির বিধিমালা উপেক্ষা
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না দিয়ে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র বিধিমালা উপেক্ষা করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
জানা যায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ সালের ১৫ নম্বর আইন-এর ২৫ ধারায় (ঘ) এর (উ) ও (ঊ) ধারায় বলা হয়েছে, কোম্পানির বিএমআরই বা নতুন ইউনিট স্থাপন সংক্রান্ত তথ্য এবং কোম্পানির কার্যাবলির ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন; যেমন উৎপাদিত সামগ্রি, পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন বা এ সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণ ইত্যাদি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের আওতায় পড়বে। এ কোম্পানির বর্তমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ৮টি।
কিন্তু, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে চারটি উড়োজাহাজের তথ্য। একটি এয়ার-এ৩১০/৩২৫, তিনটি এটি আর। কিন্তু পরবর্তী চারটির কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। যেমন সম্প্রতি একটি এয়ারবাস কিনেছে কোম্পানি, যার তথ্য ডিএসইকে জানানো হয়নি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি ও বর্তমান অবস্থা
পুঁজিবাজার থেকে এক কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হয়।
গত বছরের ১২ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর লেনদেন শুরু হয়। গত বছরের জন্য কোম্পানিটি মাত্র ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ায় বর্তমানে এর অবস্থান ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এটি স্প্লিন্টের ঘোষণা দেয়। ফলশ্রুতিতে এই শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০০ টাকা থেকে ১০ টাকা ও মার্কেট লট ৫০টির পরিবর্তে ১০০টি করা হয়। চলতি বছরের ২০ মার্চ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ পুনরায় মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয়।
১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ধরা হয় ২০ টাকা। এ সংক্রান্ত অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৩ এপ্রিল উত্তরার পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদিত হয়। এখন এসইসি’র অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই ১০-সেপ্টেম্বর ১০) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ কোম্পানির কর পরিশোধের পর মুনাফা চার কোটি আট লাখ ৬০ হাজার টাকা ও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২.০৪ টাকা।
গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ২.৬০ টাকা।
অর্ধবার্ষিক (জুলাই ১০-ডিসেম্বর ১০) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির কর পরিশোধের পর ১৩ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় ০.৬৩ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে এক কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ০.৫১ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই ১০-মার্চ ১১) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির কর পরিশোধের পর মুনাফা ২২ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও শেয়ার প্রতি আয় ১.০৯ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে দুই কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৩৮ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ শেয়ারের দর ০.৬৫ শতাংশ বা ০.৩০ টাকা বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৬.৫০ টাকায়। এদিন দর ৪৫.৮০ টাকা থেকে ৪৬.৭০ টাকায় ওঠানামা করে। আর ২৯ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার চার হাজার ৯০৮ বার হাতবদল হয়। এর অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২১০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ ১৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮৭ শতাংশ শেয়ার।
পরিচালনা পর্ষদে যারা রয়েছেন
এই কোম্পানিতে পরিচালকের সংখ্যা ১৭ জন। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)হিসেবে রয়েছেন ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী। পরিচালকেরা হলেন; জাকির হোসেন চৌধুরী, মাজহারুল হক, আফাজ মিয়া, শফিকুর রহমান, খন্দকার তাসলিমা চৌধুরী, আজিজুর রহমান, তুরন মিয়া, সানোয়ার মিয়া, খন্দকার মামুন আলী, রাজা মিয়া, খন্দকার ফেরদৌসী বেগম আলী, শাহিনুর আলম, মো: মাহাতাবুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস কাজল, সৈয়দ চৌধুরী ও মো: খসরুজ্জামান। এ কোম্পানির অডিটর হিসেবে রয়েছে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমডি দুটি পদে একই ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তার খেয়াল খুশিমত অনেক কিছু পরিচালনা করছেন, যা নিয়ে পরিচালকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
শেয়ার কারসাজি
আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মের মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনাইটেডের এয়ারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে কোম্পানির গত এক বছরের কার্যক্রমে রাইট শেয়ার ঘোষণার আগে অনিরীক্ষিত অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে নিয়মবর্ভিভূতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও সম্পদমূল্য (এনএভি) বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকা যথাযথ ব্যবহার না করেই আবার রাইট শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড।
যাচাই-বাছাই ছাড়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের কারণে লেনদেন চালুর মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দুর্বল মৌলভিত্তির এ কোম্পানির ১০০ টাকার শেয়ার ৭৭০ টাকা উঠে আসে। গেল ২ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি ২০১০-১১ অর্থ বছরের অর্ধবার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনের তথ্যে গড়মিল পাওয়া গেছে।
এদিকে আইপিও’র মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকা ব্যবহার করে লন্ডন, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু, গ্যাটউয়িক, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামে ফ্লাইট চালুর কথা ছিল। এর মধ্যে লন্ডন ফ্লাইট চালু হলেও আবার বন্ধ হয়ে যায়। কাঠমান্ডু ও কুয়ালালামপুর ছাড়া আর কোনো ফ্লাইটই চালু করতে পারেনি এয়ারওয়েজটি। তাদের ফ্লাইট শিডিউল থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
অথচ এরই মধ্যে আবার রাইট শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকী অভিহিত মূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দর চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইউনাইটেডের গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ওয়েবসাইটে একটি এয়ারবাস, তিনটি এটিআর উড়োজাহাজ কেনার তথ্য প্রকাশ করে। এসব উড়োজাহাজ কিনতে ১৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরের প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব উড়োজাহাজ কেনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
ফলে কোম্পানিটি আদৌ এসব উড়োজাহাজ কিনেছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অথচ এই চারটি উড়োজাহাজ বাবদ ১৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকাসহ অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১৫৬ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
নাম নিয়ে বিপদে
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের নাম, লোগো নিয়ে লন্ডনের আদালতের রায় বিরুদ্ধে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে বেকায়দায় পড়েছে। গত ২৪ জুন লন্ডনের একটি আদালত আমেরিকান বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের পক্ষে রায় দিয়ে বলেছেন, এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
আর পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এর সবক`টি উড়োজাহাজের লোগো ও ডিজাইন পরিবর্তন করে নতুন করে পেইন্ট করতে হবে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্র্যান্ড নেম ও রং পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সঙ্গে নামের মিলের কারণে দায়ের করা একটি মামলার শুনানির পর এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেই বিষয়টি আদালতে তোলা হয়।
নির্দেশ জারির পর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের আইনজীবীরা বলেন, ঢাকাভিত্তিক এ বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তাদের নামকরণ করেছে এবং স্টার অ্যালায়েন্স সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
গত ২৪ জুন যুক্তরাজ্যের আদালতটি তার দেওয়া নির্দেশে বাংলাদেশের ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে নির্দেশ জারির ৩৫ দিনের মধ্যে সবগুলো বিমানের রং পাল্টে নিতে এবং ৩০ দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পরিবর্তিত নাম ব্যবহার করতে বলেছে।
লন্ডনে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি অফিস রয়েছে।
থ্রি নিউ স্কয়ার নামে লন্ডনভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বিষয়ক আইনি সহায়তাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনেকটা একই নামে দুটি প্রতিষ্ঠান থাকায় এর যাত্রীদের প্রায়শঃই ভুলে পড়তে হয়।
তিন বছর আগে শুরু হওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের দুটি এটিআর৭২ টারবোপ্রপ, একটি এ৩১০ এয়ারবাস, দুটি এমডি ৮৩ বোয়িং ও দুটি ড্যাশ ৮ বোম্বারডিয়ার রয়েছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইটগুলোতে লেজের ওপর রংধনুর রঙে হাতে আঁকা লোগো এবং সামনে একদিকে বড় ইংরেজি অক্ষরে ইউনাইটেড লেখা রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানে লোগো ও লেখার ধরনে ভিন্নতা থাকলেও বিমানের রং সম্পূর্ণ এক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।