মাদারীপুরের শিবচরে ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে দোররা মারার ঘটনায় প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান সরকার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ। একই সঙ্গে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি ধর্ষণের চেষ্টা করা বখাটে রাসেল গাজীকে। এনিয়ে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসীর মতে, গ্রাম্য সালিশে দোররা মারার ঘটনার মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান সরকার ও ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ। অথচ তারাই রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথম দিকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নিতে পুলিশ অস্বীকৃতি জানালেও পরে ঘটনাটি বিভিন্ন অনলাইন, স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পেলে শিবচর থানা পুলিশ তড়িঘড়ি করে বখাটে রাসেল গাজীকে আসামি করে মামলা করে। কিন্তু মামলার পর আরো কোন পদক্ষেপ নেই পুলিশের।
এলাকার সোনা মিয়া, রফিক, সোবাহান, হুমায়ন, আবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, আমাদের চরে সবসময়ই এমন অন্যায় অবিচার চলে। আর এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় কোন ঘটনা প্রতিকার পায় না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ ঘটনায় কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এদিকে আবারো স্কুলে যেতে শুরু করেছে ওই স্কুল ছাত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল ছাত্রীরা বলেন, সহপাঠীকে আবারও স্কুলে ফিরে পেয়েছি এতে সবাই খুশি। কিন্তু যারা নিষ্ঠুরভাবে ওকে দোররা মারলো সেই ভণ্ড বিচারকদের সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গ্রাম্য সালিশে স্কুল ছাত্রীকে দোররা মারা ও স্কুল থেকে বহিষ্কার করার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক।
অবশ্যই এ ঘটনার শাস্তি হওয়া উচিত।
পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেন বলেন, শিগগিরই বখাটে রাসেলকে গ্রেফতার করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ প্রতিনিধি/ এআই/ সস/১৯.০৮ঘ.) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।