কোমায় থাকা ব্লগ
কোন এক উদ্ভাসিত বিকালে অনিবার্য কারণে মনির মনটা খুবই উল্লসিত।
এইবেলা এই সুযোগে আমিও তাকে আঁকশি দিয়ে আটকালাম, “দোস্ত! তোর মনটাতো এখন খুবই ভালো। আয়, সেলিব্রেট করি! ফালুদা খাওয়া!”
মনি আবার কোন ব্যাপারেই না করতে পারেনা। মাঝেমাঝে মনে হয়, যদি কখনও ‘বিরাট লাশ’ কোন আফ্রিকান জাঙ্গল কুইন এসেও ‘স্লাইটলি আবোভ পাঁচফুটি’ মনিকে পার্মামেন্ট বাহুডোরে থাকার প্রস্তাব দেয় তাহলেও হয়তো ও না করতে পারবেনা!
তবুও মনির মনটা একটু দ্বিধাগ্রস্থ, “তুই যদি রিকশাভাড়া দিস, তাহলে খাওয়াবো। ”
মনির হিসাবটা নামতা পড়ার মত খুবই সহজ।
আমরা সাধারণত ঠাঠারিবাজারের হোটেল স্টারেই ফালুদা খেয়ে থাকি। অসাধারণ সুস্বাদু সেই অমৃত ফালুদা! আমার রিকশাভাড়া আপ-ডাউন ৪০ টাকা আর ওর পকেট খালাস দুই বাটি ফালুদা ২২ দুগুনে ৪৪! নেয়ারলি ইকুয়াল ডিস্ট্রিবিউশন অফ মানি!
আমি রাজী।
অলিখিত দ্বিপাক্ষিক ‘পলাশীবাজার চুক্তি’ সম্পাদিত হলো!
রিকশা নিলাম।
কিন্তু রিকশার ডিরেকশন দিলাম উলটাদিকে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল! হোটেল খুশবু!
আয়েশে আমরা ফালুদা সমাপ্ত করলাম! আর বিল দেবার সময় প্রতিবারের মত আমি কাঁচের জানালা ভেদ করে প্রকৃতি দর্শনে মনোযোগ দিলাম! ওই কাজটা তাই যথারীতি মনি ই সারলো!
মনির মনটা একটু ভার!
আবার রিকশাযোগেই ব্যাক টু দ্য খোঁয়াড় মানে বুয়েট!
আপডাউন মিলিয়ে আমার খরচ ৮x২=১৬!
আর ফালুদাতে মনির খরচ ৪০x২=৮০!
পৃথিবীতে খুব চুক্তিই ঠিক মত সম্পাদিত হয়। কিন্তু...
এই চুক্তিটা সফল হলো।
(হাততালি প্লিজ!)
(ইহা একটি বুয়েটস্য স্মৃতিগদ্য বিশেষ!)
***
অপ্রাসংগিক প্রশ্ন... ‘আদেশ’ আর ‘নির্দেশ’ এর মধ্যে পার্থক্য কি?
***
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।