নিজের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই। বেশীর ভাগ ছবি ব্লগ। আরেকজনের ব্লগ থেইকা কপি-পেস্ট করি,ট্রান্সলেট করি।
মুল লিখাটি রস+আলোর আইডিয়াবাজ আদনান মুকিত এর। তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে শেয়ার করলাম।
-বল্টু মিয়া
সম্পদ রক্ষার দাবিতে ৩ জুলাই অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে তেল-গ্যাস কমিটি। সমস্যা হল জনগন আগের মত হরতালের ডাকে সাড়া দেয় না। ক্রমাগত অর্থহীন হরতালের কারণে এমন অবস্থা হয়েছে যে, হরতালের ডাকে সাড়া দেওয়ার চেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অনেকে। সকাল সন্ধ্যা হরতালেই গেটলক বাস চলে, আর এটাকো অর্ধদিবস হরতাল। তাই গতানুগতিক ধারায় হরতাল পালন না করে আমাদের উচিত ব্যাতিক্রম কিছু করা।
তাছাড়া দিন বদলেছে। হরতালের ডাক দিয়ে শুধু পল্টন ময়দান-ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ে কিছু দুর্বোধ্য স্লোগান সমৃদ্ধ মিছিল আর উচ্চস্বরের বক্তব্য সমৃদ্ধ সমাবেশ করাটাকে এখন আর কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেয় বলে মনে হয় না। হরতালের আয়োজকরা কী কী পদক্ষেপ নেবেন তা জানি না। তবে যেহেতু এই হরতালটা প্রতিহিংসার আজাইরা হরতাল না, তাই প্রত্যেকের উচিত তা প্রমান করা। সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া যে এই হরতালটা অন্য সব হরতালের চেয়ে আলাদা।
এটা দেশের প্রতিটি মানুষের সমর্থনের হরতাল। আমি হরতালের কিছু কর্মসূচী(হাস্যকর) চিন্তা করেছি। (ঘরে বসে আর কি-ই বা করতে পারি?) সেগুলোই সবার সাথে শেয়ার করলাম।
* শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট সিলেক্ট করে নিতে হবে। প্রতিটি পয়েন্টে জাতীয় কমিটির বুথ থাকতে পারে।
যেখানে যাবতীয় লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার, স্টিকার পাওয়া যাবে। জিনিসগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রিও করা যেতে পারে। বুখগুলোতে পিএসএসসি চুক্তি এবং হরতালের কারণগুলো বুঝিয়ে দেবার ব্যবস্থা থাকলে আরো ভালো হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষই এ বিষয়ে তেমন কিছু জানে না।
* গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তায়(শাহবাগ মোড়, পল্টন, শাপলা চত্বর ইত্যাদি) সমাবেশ করা যেতে পারে।
তবে এই সমাবেশ চিল্লাচিল্লি টাইপের সমাবেশ নয়। এখানে সম্পদ রক্ষা বিষয়ক গান থাকবে। থাকবে কার্টুন এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পথনাটক। কনোকো ফিলিপস কিভাবে আমাদের দেশের গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে এই বিষয়টি খুব সহজভাবে সে নাটকে তুলে ধরা হবে। ধরে নিতে হবে নাটকের দর্শক রিকশাচালক।
অতএব তারা যাতে বুঝতে পারে সেভাবেই নাটকটি করা উচিত। এর মাঝে মাঝে বক্তারা বক্তব্য দিয়ে পুরো বিষয়টি আবারো তুলে ধরবেন। তবে বক্তব্য হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং শ্রুতিমধুর। কারণ সকলেই রাতে ঘুমায়, বিরক্তিকর বক্তৃতা দিয়ে সবাইকে আবারো ঘুম পাড়ানো কোন কাজের কথা না।
* আমার মাটি আমার মা- নাইজেরিয়া হবে না- এমন একটি স্লোগান প্রচলিত আছে।
নাইজেরিয়াতে ঠিক কি হয়েছিল, এখন দেশটির কি অবস্থা এই বিষয়ক কোন চলচ্চিত্র দেখানো যেতে পারে। তা না হলে মানুষ হয়তো ভাববে নাইজেরিয়ার মানুষ কালো বলে আমরা নাইজেরিয়া হতে চাইছি না।
* অনেকে মনে করছেন, গ্যাস গেলে যাক গা, তাতে আমার কি? ওনার যে অনেক কিছু তা বোঝানোর চেষ্ট করা উচিৎ। তাই গ্যাস পাচার হয়ে গেলে ভবিষ্যতে দেশের পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা নিয়েও ভিডিও ক্লিপস থাকতে পারে। কিংবা পুরো বিষয়টি সহজভাবে লিখে শুহরের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করা যেতে পারে।
* জ্বালানী কার্যালয় ঘেরাও করে ক্রিকেট খেলা যেতে পারে। পথচারী একাদশ বনাম হরতাল সমর্থক একাদশ।
এছাড়া মিছিল, মানববন্ধন, কুশপুত্তিলিকা পোড়ানো তো আছেই। যা যা লিখলাম তার কোনটাই আমি কোন হরতালে দেখিনি। তাই মনে হয়েছে এগুলো করলে খারাপ হয় না।
তবে এগুলো আসলেই করার মত কি না কিংবা কর্মসূচীগুলো আদৈা করা সম্ভব কি না সেটাই হচ্ছে বিবেচনার বিষয়। টাকা-পয়সাও একটা বড় ব্যাপার। যাই হোক, শেয়ার না করলে ছটফট লাগতো, তাই করে ফেললাম। কারো মাথায় অন্য আইডিয়া থাকলে আরো ভালো হয়। দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
আইডিয়া দিতে তো আর টাকা পয়সা লাগে না, টাকা লাগে আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে।
মুল লিখাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
পথশিশুদের জন্য আম উৎসব নিয়ে পড়তে পারেনঃ "পথশিশুদের আম উৎসব-২০১১" এর ছবি ব্লগ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।