আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাজীপুরে পরিত্যক্ত টায়ার থেকে সাশ্রয়ী জ্বালানি ‘গ্রিন ওয়েল’

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। গাজীপুরে ভাওয়াল মির্জাপুরে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার থেকে কম মূল্যের ও অধিক সময় ধরে জ্বলন ক্ষমতা সম্পন্ন জ্বালানি তেল উৎপাদন হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণরোধের পাশাপাশি জ্বালানি খরচের সাশ্রয় হচ্ছে বলে উৎপাদনকারীদের দাবি। টায়ার থেকে উৎপাদিত এ তেলের নাম দেওয়া হয়েছে- ‘গ্রিন অয়েল’। ভাওয়াল মির্জপুরের কাঞ্জানুল গ্রামে ‘রেডিয়েন্ট রিনিউয়্যাবল এনার্জি লিমিটেড’ নামের কারখানাটি থেকে এ তেল তেরি করা হচ্ছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, ডিজেল ও কেরোসিনের চেয়ে এ গ্রিন অয়েলের জ্বালানিকাল শতকরা ১৫ভাগ বেশি। বর্তমানে গ্রিন অয়েলের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তারা ভোক্তাদের সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ডিজেল ও কেরোসিনের পরিবর্তে এ তেল বিভিন্ন কল-কারখানা ও পাওয়ার স্টেশনের বয়লারে, ফাউন্ডারি কাস্টিং’এ ফার্নেস অয়েল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারখানায় এ তেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ৩৮টাকা। আর খোলা বাজারে ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রয় হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৪৬ টাকা প্রতি লিটার।

কারখানার ম্যানেজার মদন মোহন পাল জানান, এ বছরের ১৪ এপ্রিল প্রথম আমরা এ তেল উৎপাদন করি। প্রথমে ঢাকা ও আশে-পাশের এলাকার মোটর গ্যারেজ ও ওয়ার্কসপ থেকে নিজেদের উদ্যোগে পুরানো টায়ার সংগ্রহ করা হতো। বর্তমানে বাইরের লোকজনও টনপ্রতি ৯-১০ হাজার টাকায় পুরানা টায়ার সরবরাহ করে থাকে। প্রতি টন টায়ার থেকে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ লিটার তেল উৎপন্ন হয়। কারখানার একটিমাত্র ইউনিট থেকে বর্তমানে গড়ে দৈনিক আড়াই হাজার লিটার গ্রিন অয়েল তৈরি হচ্ছে।

কারখানায় ২৩-২৫জন কর্মকর্তা-শ্রমিক দিন রাত তেল উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত থাকলেও লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন সম্ভব হয় না। তাই আগামী রোজার পরে আরও দু’টি ইউনিট বাড়ানো হবে। কারখানার প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শেখ জামাল উদ্দিন জানান, সংগৃহিত টায়ারগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার ও ছোট টুকরো করে রি-এ্যাক্টর চেম্বারে বায়ূশুন্য মাধ্যমে উচ্চ তাপে গলানো হয়। পরে সেখানে বাষ্প তৈরি হয়। বাষ্প ঘণীভুত হয়ে একদিকে তেল ও অন্য দিকে পানিতে পরিণত হয়।

পানি নলের মাধ্যমে হাউজে এবং তেল ট্যাংকিতে সরবরাহ করা হয়। টায়ার থেকে জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশ বান্ধব এ জালানি তেল উৎপাদন ছাড়াও স্ক্রাব লোহা, গ্যাস ও কার্বন ব্ল্যাক পাউডার তৈরি হয়। এ কার্বনকে মোডিফাইড করে জুতার সোল, ফটোকপি ও প্রিন্টারের কালি তৈরির কাজে ও পানি বিশুদ্ধ করণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে অতিরিক্ত খরচ ও পবিরেশদূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.