মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে শত শত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জেলার কুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে দুপুর থেকে অসুস্থ শিশু ভর্তি হচ্ছে। শিশু অসুস্থতার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অভিভাবকমহল পড়েছে বিপাকে।
সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে হাসপাতাল কর্তৃপ ও প্রাইমারী স্কুলের শিকদের নিয়ে গঠিত টিম ৫ বছরের নিচে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ায়।
ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ৪/৫ ঘন্টা পর পরই শিশুদের বমি ও খিচুনি এবং পেটে ব্যাথাসহ উৎবেগ শুরু হয়।
সূত্রমতে, কুমেক হাসপাতালে ৩৫ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা না থাকায় শত শত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বিদায় করা হচ্ছে।
কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুরা হচ্ছে, খাদিজা আক্তার (৫), নুসরাত (৪), নাজমুল (২২ মাস), মেহেদী হাসান(২),মারিয়া (৪), ওসমান গণি(২), রাফি(১৮ মাস), হাবিব(২), রাকিব(৪), মীম(২), সজীব(৪), ফয়সল(২), শাহপরান(৪৩ দিন), ফারুখ (২), জোবায়ের(৪), আব্দুল্লাহ(৩), শিপন(৪), বিনতি(৩), সামিয়া(২), জুনায়েত (৩), মুনতাহা(৪), মেহেদী হাসান(৪), রাখি(৩), শাওন (২) তানিম(দেড় বছর), সাব্বির (২২ মাস), তাছপিয়া (২৫ মাস)।
দুপুর ২টা থেকে হাসপাতালগুলোতে শত শত অসুস্থ শিশু আসতে শুরু করে।
রাত সাড়ে ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে অসুস্থ শিশু ভর্তি হচ্ছে।
রাত সাড়ে ৯টায় কুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সরেজমিনে পরিদর্শন করে রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ার ২/৩ ঘন্টার মধ্যে শিশু গুলো বমি করা শুরু করে, অনেক শিশু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায় আবার অনেকে অচেতন হয়ে যায়, কেউবা পেটে ব্যথা অনুভব করে।
সদর দণি উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ২২ মাস বয়সী নাজমুলের মাতা তাহমিনা জানান, আমার বাচ্ছাকে কৃমি ও ভিটামিন দুটো ঔষুধই খাওয়ানো হয়েছে। বমি করতে করতে সে এখন অচেতন হয়ে আছে।
কুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার কাইয়ূম জানান, এ পর্যন্ত ৩৫ জন শিশু অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছে।
যেসব শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে, তারা ঘনঘন বমি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আর যারা ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়েছে তারা অচেতন হয়ে ভর্তি হয়েছে। কেন এমন হচ্ছে এর উত্তর না দিয়ে তিনি পাশ কাটিয়ে যান।
কুমিল্লা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী মুঠোফোনে জানান, এগুলো গুজব। আর খালি পেটে খেলে এমন সমস্যা হতেই পারে। এ নিয়ে দুঃচিন্তার কিছু নেই।
আর কোন মেয়াদ উর্ত্তীন ঔষূদ খাওয়ানো হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।