আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগামী ৮ বছর ভারত ও ইংল্যান্ডে খেলতে যাবে না বাংলাদেশ!!!

আগামী ৮ বছর বিশ্বক্রিকেটের নতুন শাসক ভারত ও ইংল্যান্ড কোনো সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশকে সেদেশে আমন্ত্রণ জানাবে না। বাংলাদেশের পাশাপাশি জিম্বাবুয়েও ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফিউচার টূ্যর প্রোগ্রামের খসড়া এভাবেই করা হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তৈরিকৃত ওই খসড়া আগামী সপ্তাহে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বার্ষিক সভায় চূড়ান্ত করা হবে। প্রস্তাবিত খসড়া অনুযায়ী ওই ৮ বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা পরস্পরের মধ্যে সর্বাধিক টেস্ট ম্যাচ খেলবে।

প্রস্তাবিত খসড়া মোতাবেক ২০২০ সালের আগে ভারত তাদের দেশে বাংলাদেশ কিংবা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করবে না। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ ভারতের বিপক্ষে হলেও এখন পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আয়োজন করেনি। ভারত ও ইংল্যান্ড এ কয়েক বছর কোনো সিরিজে বাংলাদেশকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানাবে না। তবে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি সিরিজ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড। ওই সিরিজের ভেন্যু এখনো নির্ধারিত হয়নি।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র প্রকাশিত কার্যকরী ওই খসড়ায় প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টুয়েন্টির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বছর এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে আনঅফিসিয়াল টি-টুয়েন্টি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্যও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ওই সময় যেন অধিকাংশ দেশের ক্রিকেটার ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। খসড়া অনুযায়ী আগামী ৮ বছরে ইংল্যান্ড সর্বাধিক ৯৯টি টেস্ট খেলবে। ওই ৮ বছরে অস্ট্রেলিয়া ৯২, ভারত ৯০, শ্রীলঙ্কা ৭৬, দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড উভয়ে ৬৬ এবং পাকিস্তান ৬৫ টেস্ট খেলবে।

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দেশের বাইরে কম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও এ ৮ বছরে যথাক্রমে ৪২টি ও ৪১টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তবে খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার সময় এ সংখ্যার হেরফের হতে পারে। এছাড়া একমাত্র ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো দলই ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে না। অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেললেও বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ে এ সময়ের মধ্যে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। সংখ্যার দিক থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে তেমন একটা হেরফের না থাকলেও ওয়ানডে ম্যাচ বন্টনে রয়েছে বিরাট ফারাক।

খসড়াকৃত সূচির এ ৮ বছরে ভারত সর্বোচ্চ ১৬৬টি ওয়ানডে খেলবে যার মধ্যে ৮৯টিই হবে দেশের বাইরে। আর জিম্বাবুয়ে সর্বনিম্ন ৬৪টি ওয়ানডের মধ্যে অধিকাংশই (৩৭টি) খেলবে নিজের দেশে। অন্য দেশগুলো ১০০ থেকে ১৬০টি করে ম্যাচ খেলবে। আর টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ম্যাচ সংখ্যা থাকছে আরো কম। এ ৮ বছরে সর্বোচ্চ ৫৫টি ম্যাচ থাকছে একটি দলের জন্য।

আর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের থাকছে সর্বনিম্ন্ন ১১টি করে ম্যাচ। খসড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০১৩ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন। তবে ওই সিরিজগুলোর কোনো আয়োজক দেশ কিংবা ম্যাচ সংখ্যা ও দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।