আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রাম বাংলার লোক সংস্কৃতি অতিত কে জানা

গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতি *********** আমার দেশ ^^^^^^ .... ****** গ্রাম বাংলার শৈশব কথা ও লোক সংস্কৃতি এম , জি , আর , মাসুদ রানা । কবি / সাহিত্যিক ও গবেষক । জ ১০ /৬ / ১৯৭৭ । ** লেখকের কথা ^^^ “”””””” অঞ্চল , সুনাম গঞ্জের হিমালয় পাদদেশ ও নেত্র কোনার কিয়দংশ । বিভাগ = সিলেট ।

ঢাকা বাংলােদশ । । মানুষের হৃদয়ের কথা যা এক সময় আঞ্চলিক ভাবে গ্রাম বাংলার সব মানুষে র মুখে মুখে ফুটত , নানা জলসায় , নানা সাংস্ক্রিতিক অঙ্গনে । আজ হয়ত সভ্যতার উন্নয়নে ওইসব আর কেউ স্মরণ রাখেনা । তাই স্মৃতিময় লোকজ কথা পাঠকের মননে তুলে ধরলাম ।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক দীনেশ চন্দ্র সেন এর ময়মনসিংহ গিতিকার মতই এ প্রয়াস , আশা রাখি পাঠকের আনন্দ অনুভুতি ও লোকজ কথা শৈশবের দিকে নিয়ে যাবে , কারন শৈশব এখানে বড়ই স্মৃতিময় । সবাই কে আন্তরিক মোবারক বাদ । যারা ক্ষমা ও মহৎ আদর্শে উজ্জীবিত তাদের মহান হৃদয়ে আমার “” এ প্রয়াস উৎসর্গ “” । বিষয় সমূহ । ১ ।

খেলাধুলার শৈশব ছড়া বা শ্লোক । ২ । লোকজ ধাঁ ধাঁ । ৩। বুদ্ধির ব্যায়াম ।

৪। প্রবাদ । ৫। ছন্দমালা ও অণুকাব্য । ৬।

কবিতা । ৭ । বিয়ের গীত । ৮ । বিয়ের ছড়া ।

৯ । লোকজ কথা । ১০ । বাংলার রূপকথা । ।

এক , গ্রাম বাংলার খেলাধুলা ও মুখে মুখে ছড়া কাটা , হাডুডু লাই তবেল্লা বাজাই তবেল্লার সুরে গান গাই জুড়ে । । * এতলাই বেতলাই ঘোড়া দৌড়াই ঘোড়া না ঘুড়ি চাবুক মারি । • আম গাছের তলায় কাম করি • কিশোর গঞ্জে বিয়া করি • বউ না দেখলে ঘুসা করি আমি যাই পুবে বাঁশ কাঁটি কুবে বাঁশের নাই আগ ধইরা আনি বাঘ বাঘের নাই টেং ধইরা আনি ব্যাঙ ব্যঙ্গের নাই মাথা তাই মন ও ব্যাথা । ।

* এতাইয়া রে বেতাইয়া লাউয়ের পাতা ছেতাইয়া কুমড়া পাতা থুক থুক মাইয়ার পেটে বুক । । • উত্তুরি ধুত্তুরি শালারে • বাঁশী আমার মালারে • নাইছ আমার গুনের ভাই • টিক্কা জালাইয়া তামুক খাই । । **অইয়ারে অইয়া তর বইনেরে করছি বিয়া পাঁচশ টাকা পন দিয়া সোনার মুকুট মাথায় দিয়া ।

। • ছিরি ছিরি পাতা • মিরি মিরি ডাল • দেখিতে সুন্দর • ভিতরে লাল । । *উথিনারে দুথিনা সাতদিন ধইরা মুতিনা সাতদিনের ঝরে মাথা বিষ করে । ।

• বাবা গেছে উজানে • কাউয়ার বাচ্ছা আনবনে • খা খা করবনে । । • তাই তাই তাই • মামার বাড়ী যাই • মামি আইল লাডী লইয়া • পালাই পালাই * চল কাবািিড কাবািড ব্যঙ তারা কুটি লারা ব্যংঙ ব্যং ডাকে গুয়াং গ্যং । • ইস ছেরি বেশ ছেরি • কাঁটালের কুস • তর নানি মারল • আমার কি দুষ । ।

/ • কলা গাছের লউ • তর নানি আমার বউ • কলা গাছের ডাউজ্ঞা • বেটা অইলে আউজ্ঞা । । * এক চক্ষু খানা বাদুরের নানা বৈটা বায়না ঝিল্কি দেয়না । । ** এতের লাটি বেতের বান কই গেলা নুরজাহান \ ঢাকা থাইকা আনি জল লাল না বল >> ।

। • চল টিক টিক টাণাঈয়া • নাও িদই বানাইয়া • যদি নাও লড়ে • বিয়া দিমু তরে । বাংলার ধাঁ ধাঁ অবসর আড্ডায় বা বিয়ে সাদিতে রসিক জনের মুখে মুখে প্রচলিত । • কাঁচা থুক থুক / পাকলে সিন্ধুক = কলসি । ।

• কৌটার ভিতর দুই জাত হলুদ আর সাদা / এই শ্লোক না জানে যে তার দাদা গাঁদা । & উর =ডিদি। । • • টাইপের উপড় টাইপ / কাটলে অয় পাইপ । • & উর = বাঁশ ।

•দিলে কাশ / বাজে টাস টাঁস • & উর = মাঈক । • তেল ছাড়া গলে / রাগে গলে • & উর = মোম থাকে হাতে / সারাদিন মাতে • & উর = ঘড়ি । । • আঁত নাই পা নাই ছলছলাঈয়া যায় / কাটলে মাংস নাই সবাই খায় । • & উর = পািন ।

• কান্দার উপর কান্দা / লাল কাপড়ে বান্দা । • & উর = কলার ছই আল্লাহর ক্ষুত্রত / লাটির মধ্য শরবত । • & উর = আঁখ । • আন্দাইর ঘরে বান্দর নাছে / ধুক ধুঁক করলে আরও নােছ । • && উর = জীব্বা পানির নিচে চিনির ব্যাডি / তুলতে গেলেই ফাটাফাটি ।

• && উর = সূয আলো । রাজার ঘুড়ি/ এক বিয়ানেই বুড়ী । • && উর= কলা গাছ । • বাগ থাইকা বাইরয় বুড়ী / চউখ তার ১৮ কুড়ি । • && উর = আনারস ।

• তুলুইটা ফাডী / মাথায় আডী । • && উর = খই বা মুড়ি । • আইল িদয়া আইটা যায় / পাছা িদয়া ঘাস খায় । • && উর = সুই । • পািনর মােঝ িহজল গাছ / কাটতে লােগ বার মাস ।

• && উর = ছায়া । • বনের ভুঁইতা / দেয় পােত মূঈতা । • && উর =লেবু । • কলাগােছর গলা জল / তার অয় হাঁটু জল । • && = হাঁস ।

• লাল মালার হাবীজ / গলা ভরা তািবজ । • && উর = সুপাির গাছ । •আছাড় দিয়া ছাড়ে / যেমন ইচ্ছা ঘুরে । • && লাটিম । • ঐ দেহি ঐ নাই / ফূড়ায় জলাঈ ।

• && িবজলী । • বনবন করে ভ্রমরাও না / মানুষ খায় গরু খায় বাঘও না ঊঈড়া পেখম ধরে ময়ূরও না । • && মশা । • • আধার এলে / বাঁর বাঁর জলে । • && জূণাক ।

• দুই পাড়ে এঘরা / হগল বেলাই ঝগড়া । • && চউখের পাতা । • টিপে টাপে বইনারি মূখ বেজায় কালা /ভিতরে গেলেই লােগ কত ভালা । • && চূড়ী পরােনা । • নাখে চাপি থাকে / কানে টানি রাখে ।

• && চশমা । • কেমন দাম্বা / টানলে অয় লাম্বা । • && রাবার । • ছীলাত ধইরা দিলে ঠান / উইরা যায় সোনা বান । • && ধনুক ।

• পড়লে গাঁড়ে / তূলতা না পাঁড়ে । • && িকল ঘুিষ । • গোল গাল বশ / টিপলে বাইরয় রস । • && তাল • ডাব্বা খান গড়গড়ায় / বাপ পূেত চূমায় । • && হূক্কা ।

• মাথায় থাকে চড়ে / বিলাইলেই বাড়ে । • && িবদা । • হইতেই লাল / ছােলর উপুেড় ছাল । • &&িপঁয়াজ । •ভিরমি খাই / মূেখ পুড়তেই নাই ।

• && হাওয়ায় িমটা । • যথা তথা দুলে / চাপ দিলেই খুলে । • && তালা । • বলতে মানা / জিনিস টা অচেনা । তারে ছাড়া দেখিনা ।

• && চক্ষু । সবার আগে / তারে লাগে । • && লবণ । * বুদ্ধির ব্যায়াম *** ************************* •বেজায় ফািক / ৩ শ থেকে ৩ গেলে কত থােক বািক ? • শ +ষ + স = ফল শূন্য । • কোন দেশ খাইতে মজা ? • উর সন্দেশ / • কি কলা দেখালে মানুষ রাগ পায় ? • উর = কাঁচকলা ।

• কোন সাগরে পািন নাই ? • উর =বিদ্যাসাগরে । • কোণ চুড়ার িবচার নাই ? • তেল চুরার এমন এক বিলে কই নড়ে চড়ে / দুই জন বেড়ি িদয়া ১০জনে ধরে । • উকুন । • কান কলমে কালি নাই ? • উর = বকলমে । • কোন জালে মাছ ধরেনা ? • উর +ভেজালে ।

• কোন ভূত ভুেতর জাত নয় ? • উর = হূমাভূত । • আম গাছে কি বাদাম হয় ? • উর = হয় , নষ্টআম । • কোন দেশ নেতা ও ফল সব সময় মুখে ? • বেল + িজয়া + আম = বেলজিয়াম । । ।

চার *** প্রবাদ ****************************************** এবার বাঙালির চেনা জানা স্বভাব সুলভ উক্তি জ্ঞানি গুণীজনদের মুখ থেকে হটাৎ বেরিয়ে আসে উপদেশ বা কথার ব্যঞ্জনায় । এমন িকছু উক্তি বা প্রবাদ প্রচলন .......... • এমন কথা কইতে নাই কেঊ করে জুট • এমন জায়গায় বইতে নাই কেঊ না কহে উট । • ভাতের অভাবে মাথায় নাই চূল • নিষ্কর্মা অইলে গলায় বান্দে ডূল । • বকলম থাকলে আঁত জুেট মূঈট্যাঁ • অভাবে পড়লে সব খায় ছাঈট্যাঁ । • বাপ করে মেথর গিরি • পূতে লাগায় চশমা ঘড়ী ।

• দেশ ও আইল কলির কাল • ছাগলে ছাডে বাঘের গাল । • মায়ের নাম কেতলি বাঁন্দি • পুত্রের নাম সুলতান খাঁ । • দােরাগা ডােক চাচী • আমি িক ভবে আছি । • বাপ দাদার নাম নাই • চান মোড়লের েবয়াই । • ছালার মধ্য হূঈতা • লাখ টাঁকার স্বপ্ন।

• বামন হয়ে চান্দে • আঁত বাড়াইয়া কান্দে । • বােঘর নাম লইয়া • শৃগাল গরু খায় । • উচিৎ কইলে মায় ডাকে বান্দর ডা । • অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী • জুতারে কয় আলমাির । • মাতাব্বরির নাম নাই • ডােক সবাই মিয়া ভাই ।

• হাডা হিলে ঘসা ঘসি • মরিচের যায় জান । • ছাল নাই তার তবু বাঘ রাঈষা নাম । • চূরের সাত ছালা বুদ্ধি ধরাত পড়লে এক ছালাও থােকনা । • চূরের দশ িদন আর সাধুর একিদন । • ছইচ না আমাের / লইয়া যামু তঁের •খাজনার থাইকা বাজনা বড় ।

• চূরের মায়ের বড় গলা । • যেইখানে বােঘর ভঁয় েসই খােনই রাইত অয় । নিজের নাই হুশ না । অন্যর দুষ । • ভাত নাই ঘরে / ডিম বিরান করে ।

• নাই মামার চেেয় কানা মামাই ভালা । • পরের কান্দে বন্ধুক রাইখা পাখি শিকার করে । । •ওঁরে ভাই থম থম কার থাইকা কে কম । • চিননা আগার নাম লইয়া লয় দাদার নাম ।

• সারা রাইত সাপটা সাপটা সকােল ঊঈট্যাঁ খাড়া ডা । • যেই হােন রাইত সেই হােন খাইত । • মোল্লার দৌড় মসিজদ পর্যন্ত । • ছবুরে মেওয়া ফলে । • সমাজে নমাজ ।

• হুরীর নায়ে বিড়াল চৌকিদার । • ঢক নাই ছঢক । • কিল আর তেল দিলেই গেল । • ফূল নাই গাছে মৌমাছি নােছ । • বেয়াক্কলের ডাইল ঐলেঈ মেমানি • েপট ভইড়া খাওয়াইয়া িপট ভইড়া িকলানী ।

• দেইখা মাকাল ফল মুেখ ঊটে জল । • নিজের সব ষোল আনা পরের জিনিস কড়ি খানা । • বােজ কথার েবলূ নাই আভাগ্যর গীলূ নাই । • শ কাঊয়া এক বারুদ । • শত দাঁড়ী মিলে একজন সদারমিলে না ।

• শৃগাল কয় মেণ মেন সবাই আমায় চিনেন । • বাংলার কোকিল ইস্কারি তার রাও । • খাজনার থাইকা বাজণা বড় । • শক্তের ভক্ত নরমের যম •চুরের মন ক্ষিরা ক্ষেত । • কাঊয়ার বাসায় কুলির ছাও জাত বিদ্যা করে রাও ।

• কাম নাই কাতা সিলান । • লাই লোড কথা যা করে বিধাতা । • বইন ভাগ্নি মনের ঊলা যে পালে তার বাপ জূলা । • মূখ যেমর সমান । • যে জাননা আগা গোড়া সে শয়তােনর ঘোড়া ।

• লােভর ফসল সব নকল । • লুণ খায় যার গুণ গায় তার । • ঈছা মােছর গাঁেড় েতল ধুইতে ধুইতে পরান গেল । । • যার লািগ করলাম চুিড় হেঈ কয় চুর / ভালা ছন্দমালা ******************************* কত দেয়ালে নানা খুিশ খেয়ােল , নকশী কাঁথা ও রুমালে , জায়নামাজ , পাটি ,পাখায় , নানা কাব্য আলপনায় ছন্দমালা লেখা থাকে দৃষ্টি নন্দনে ।

*** ফুটন্ত ফুলের মাঝে রয় মায়ের হাসি তাইতো আমি মাকে এত ভালবািস । বাড়ীর শোভা বাগ বাগিচা মাঠের শোভা ঘাস ঘরের শোভা রমনি পুকুরের শোভা হাস । । • যে তোমাকে কাঁটা দেয় তারে দাও ফুল তাহলে তার ভেঙ্গে যাবে কাঁটা েদওয়ার ভুল । ফুল সুন্দর পািখ সুন্দর আরও সুর নয়ন উদাসী তার চাইেত আরও সুন্দর সরল মুখের হািস ।

মেয়েদের দেখতে ভাল মিষ্টি মুখের হাসি প্রেমিকের লাগে সুন্দর বাঁজায় যখন বাঁশী । নদীর েঢঊ সুন্দর নায়ের সুন্দর পাল মাঝির হাতে বৈঠা সুন্দর ধরে যখন হাল । *** রাজার দুষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায় রানীর দুষে সংসার নষ্ট সব ভেসে যায় । । ফুলে ফুলে ডানা মেলে ভ্রমর সেথা ওরে যারে অতি ভাসি ভাল সে কেন রয় দূরে ।

। একলা বসে ভাবি অতি পাইনা ছুতে মন যারে অতি ভালবাসি দেখি তার মায়াবি নয়ন । । *** মনের মাঝে তাইতো আঁকা তোমার ছবি খানি রাগ ঝেড়ে এস ফিরে হে স্বপ্ন অভিমানী ছয় *** বিয়ের গিত *** ******************* গ্রাম বাংলার এক চিত্রায়িত উৎসব মুখর সংস্ক্রিতি ,বিয়ের নানা অনুষ্ঠানে , বড় কনের গাঁয়ে হলুদের সময় , অথবা মেহেদী দেয়ার মুহূর্তে মেয়েরা দল বেধে গায় এ গীত । যা যুগ যুগ ধরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য , ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ক্রমবর্ধমান দ্বারায় বাঙালীর সামাজিকতায় মিশেল ।

এমন গীত নকশার কয়েকটি তুলে ধরা হল । । তোরা দেখবি যদি আয় ডোল বাজে সানাই বাজে সখিরও বিয়ায় সাজবে সখি লাল শাড়িতে হলুদ দিয়া গায় কত রঙের গয়না পড়বে আলতা রাঙা পায় বর আসবে ঘোড়ায় চড়ে টুপর মাথায় দিয়া পঞ্চ সখি দিব মালা বরের গলেতে পড়াইয়া আতর চন্দন গোলাপ সুগন্ধি ছিটাইয়া গায় , তোরা দেখবি যদি আয় “”””””” দুই // কাঁচা বেতের বাঁশের গো ডালা কাঞ্চন মালার ডালারে তোমার মাইয়ারে দিলায় গো বিয়া কাঞ্চন কুমারের দেশে গো তোমার ও এত চিন্তা নাই গো মাইয়া করব চিন্তা শ্বশুরের মালা ওযুর পানি দিও গো ঐ মাইয়া করব নন্দিরে আদর নিকটে বসাইয়া গো মালা ডাক দিও সোহাগে গো ঐ তোমার এত চিন্তা নাই গো মালা দেবর কে করিও আদর আঞ্চল বাধা ডুরে গো দেওরা তোমায় নাইওর নিব আলাবোলা কইরা গো কাঞ্চন মালার ডালারে তিন । । শাপলা ফুলের রঙ দেখিয়া নাও দৌড়াইল বিলেরে নাও আমার চলেনা রে আট কুড়ায় যে নাও দৌড়াইল ৩২ বদের বিলেরে নাও আমার চলেনা রে নাও দৌড়াইতে গিয়া মাঝির বৈঠা নিল চিলেরে নাও আমার চলেনা রে কেমন চুরায় করল চুরি কাজল বিলের পাড়েরে বালুর চড়ে নাও আটকিল নায়ে আগা ভাঙ্গি রে নাও আমার চলেনারে ঐ খালাম্মা খালাম্মা বেবি ফুল থাপ্পি মাইরা টেঁকা তুল খামাম্মা যদি জানত পাডি বিছাইয়া কানত হাডীর নিচে লউ বড় ভাইছাবের বউ আইলাম গেলাম পালকি পাইলামনা সখির শাশুরির লাগি থাকতে পারলাম্না \মাইতলম গাছের তলে মোম বাত্তি জলে কালা জামাই দেইখা সখি নয়ন ভাসায় জলে ।

দেহি দেহি একবার সখি ঐ না কদমের তলে মন চুরায় করল চুরি আগুন লাগে দিলে এস এস প্রান সখা কত নিদ্রা যাও অভাগির পানে একবার নয়ন মেইলা চাও আর সহেনা প্রান বন্ধে নয়ন ভরা জল একবার থাকাও প্রান বন্ধু খাইয়া প্রেমের ফল । । ব্যাঙ বিয়ের গিত *********** ভালা কইরা কামাইও নািপত বেতন দিব তরেরে ও রসের নাপিত রে নাপিতের শালিরে দেইখা আইলাম ধনু গাঙ্গের পাড়েরে \ ও রসের নাপিত রে ভালা কইরা খাওয়াইব নািপত পিরনি পোলাও ক্ষির ও রে \ আরও দিমু পান সুপারি পকেট ভইরা টাকারে ও রসের নাপিত রে । । ** মাগে বাঘের সিরনি ************* মাঘ মাস এলে গ্রাম বাংলার সমবয়সিরা চাঁদনি রাতে মিলে পাড়ায় পাড়ায় বাঘের শিরনী মাঘে এবং কয়েক দিনের চাল বা টাকা এক করে বনবোজনের মত মাঠে ক্ষির খিচুড়ি পাক করে সবাই হই হল্লা করে খায় , আনন্দ করে ফুর্তি করে , গান গায় নানা খেলায় মুখরিত থাকে উচ্ছ্বসিত মন ।

সেই সিরনি আদায়ের ছন্দ ** শিরনি দাও গো মা গ্রিহস্তের ঝি গাভী ধূনা ভইরা দুধ দিব দুধে মিলব ঘি সিন্নি মাঘতে এসে খালে ভাসল নাও জমিদারের পুতে কয় না করিও রাও জমিদার ,জমিদার কি কর বসিয়া তোমার পুত মইরা গেল দরবারে আসিয়া মাগার কাম করতে করতে পথ পাইলাম শাড়ি শাড়ির মালিক খুইজা আইলাম শহর মোল্লার বাড়ী শহর মোল্লার বাড়িত দেহি জুড়ায় জুড়ায় কইতর হেলিয়া দুলিয়া নাছে ঘরেরও ভিতর অবশেষে রাজ বাড়ির পাইলাম খুজ বেশি কিছু পাইবার আশায় মনে আসে বুঝ । । কল্প কাহিনী **** রাজবাড়ী দেখে অনেকেরই পেটের ক্ষুদ পিপাসা বৃদ্ধি পায় । চাঁদনি রাত বেশ কয়েকটা গ্রাম পেরিয়ে , বেশি কিছু পাওয়ার আশায় দল বেধে , যুবা রা সাহস সঞ্চয় করে ডুকে যায় রাজবাড়ী । ।

কিন্তু পরিত্যক্ত রাজপ্রাসাদে কেউ থাকেনা একথা তাদের নিকট ছিল অজানা । ফলে চাঁদের আলোয় দূর থেকে ঝিকমিক করত আর মনে হত এখানে বসে রাজ বাহাদুর এখনও তার জমিদারির শাসন ভার লয়ে জেগে আছে তার খাস খামরায় আর ভয়ে ভয়ে কতুয়াল লাটিয়াল রয়েছে তার আদেশ অপেক্ষায় । । কিন্তু কোথায় , এক নিরব নির্জন নিথর অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই ভাসেনি প্রাসাদ তুরনে । ।

কোথায় প্রহরি বাজখাই গলায় বলবে । বিনা অনুমতি তে প্রবেশের চেষ্টায় তোমাদের গ্রেফতার করা হল । । এবার সর্দার হতাশ হয়ে বললে চল আমরা আবার ফিরে যাই অন্য গ্রামে , এখানে আসলেই কেউ থাকেনা , শত বছরের পুরনো রাজপ্রাসাদ এখন শুধুই ভগ্ন স্তূপ ,বরং এখানে বাসা বেধে আছে জিন ভুত প্রেত এমনকি রাক্ষস কুক্কস । ।

সর্দারের কথা অমান্য করে অতি সাহসি কয়েক যুবক ভিতরে গেল ডুকে , সাথে সাথে এক বিকট আওয়াজ সকলের রক্ত হিম করে দিল । । মিশকালো আধার ভেদ করে কয়েক জুড়া চোখ ত্রুচ লাইটের আলোর মতই চক চক করছে । । সর্বনাশ পালাও হিন্র বাঘ ।

। \সর্দারের চিৎকার শুনা মাত্রই অনেকেই সরে পড়ল কিন্তু যারা রাজ প্রাসাদের ভিতরে ডুকে গিয়েছিল তারা আর ফিরে আসেনি । । তাই তাদের স্মরণে এই মাঘ মাসে হিন্র বাঘের আক্রমন থেকে বাচার জন্য এই সিরনি প্রথা চালু হয় । ।

আট বিয়ের ছড়া যখন গেইটে বর কে আটকে দেওয়া হয় । । অথবা ঘরের দরজায় অথবা বর কনের মিলন মেলায় রসিক ভাঁড়ের মুখে মুখে শুনি এসব ছড়া । । ১।

আজ আমাদের খুশির সময় বড় আপার বিয়ে নতুন করে সাজবে আপূ পায়ে আলতা দিয়ে আপুর মাথায় লম্বা চূল কুপায় বাধা গোলাপ ফুল ধূলা ভাই ধূলা ভাই দিলাম বুবুর হাতের মালা যদি মায়না না মিলে দিমু কানমলা । ২। আসেন ধূলা ভাই বসেন চেয়ারে গলে দেব ফুলের মালা আজি এ আসরে রুমাল চাপা ঘোমড়া মুখে যদি মিলে হাসি ভাঁটা ভরে পান দেব আাচ্ছা মশায় আসি । । কি কারন *** ঘরে কি দেহি শাপলা ফুলের ছহি শ্যালক ভাসে জলে পাখির বাসা দুলে চার পায়ে পাখি উভু হয়ে নাছে সখি দেহি পান সাধে দুলে বরই গাছে শুন কন্যার বিবরন ইদুর দেহি বিলাই তাড়ায় এইডা কি কারন ।

। ** মালিশ দেবর ভাবির মুখে দেশে আইল ইরি ধান কোকিলায় গায় গান ইরি ধানের গন্ধে নয়া ভাবি কান্দে কি গো ভাবি কান্দ কেন > আপ্নের ভাই মারে মাইরা জিগায় কোন যায়গা বেশি বেদনা করে । । প্রতিবেশির মুখে ** মিয়া বাড়িত দেইখা আইলাম নায়েব সাবের বউ কি যে রূপ চান্দের মত ফুলের মৌ মৌ বিয়া বাড়িত যাই রাঙা বউ দেখি উকি ঝুকি দেয় কত ডঙের সখি বউয়ের গায়ে লাল শাড়ি দেখতে বড় ভালা নতুন জামাই ঘুরে ফিরে মুখ বেজায় কালা । ।

বউ ও বরের সঙ্গী সাথি ** পান খাও পান্তা ভাই কথা কও সারে এই পান জন্ম নিল কেমন বাইন্ন্যার ঘরে । । যেজন না জানে পানের জন্ম কথা সেই জনের জীবনে পান খাওয়াই বৃথা । । পান খাইলে গুয়া লাগে আরও লাগে চুন পানের জন্ম পান গাছে মাফ সাত খুন পান খাইয়া যেজন জিব্বা করে লাল এই পানের একদিন হয় বড় আকাল ।

। চুরির শাস্তি ** আমার এই বই যে করিবে চুরি তার গলায় লাগাইব দড়ি নিব ঢাকা লাগাইব টাকা খাওয়াইব বুড়িগঙ্গার জল তবে মিল্বে চুরির ফল । । বাউলের আসর ** গ্রাম বাংলার চেনা জানা সহজ সরল মানুষের আনন্দ বেদনার চিত্র ফুটে লোকজ সাংস্ক্রিতিক বিভিন্ন জলসায় , সেথা বাউল তার আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে তুলে সুরের ঝংকার । যা শ্রুতাগনের মনোরঞ্জনে সময়ের খোরাক ।

। ইতিহাস ঐতিহ্যর নিরিখে বাউল গান বা লোক সংস্ক্রিতি আজও সতেজ সুরের ইন্দ্রজালে । , এমন আত্তাধিক সাধক বাংলার গৌরব কে গানে গানে সুরে সুরে বিশ্ব বুকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার সাধনার আপন উজ্জলতায় । তাদের মধ্য , লালন ফকির , হাছন রাজা , আব্দুল আলিম , আব্বাসউদ্দিন , কবি জসিম উদ্দিন , রবি ঠাকুর , কাজী নজরুল ইসলাম এবং শাহ আব্দুল করিম প্রমুখের অবধান বিশ্ব বুকে চিরদিনের জন্য উজ্জ্বল । সেই সুর গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জলসায় , উৎসব মেলায় নানা অনুষ্ঠানে আজও শুনা যায় মানুষের সম্ভারে ।

। এছাড়া , কিচ্ছা কাহিনী , যাত্রা গান , গাজি কালুর কিচ্ছা , ষাঁড়ের লড়াই , বৈশাখী , বসন্ত পৌষ পার্বণ মেলায় মানুষ খুজে পায় বাংলা সংক্রিতির এক অনবধ্য সাড়া । । এখনও বটের ছায়ায় বা কোন আউলিয়ার পবিত্র সমাধিকে ঘিরে শুনা যায় আত্তাধিক সুর সোনার ময়না ঘরে থইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন মজাইয়া পিঞ্জুর বানাইছে । ।

অথবা মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোণ মেস্তরি বানাইছে “””””””” এক খান চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া জনম ভরা ঘুরতে আছে “”””””””””” ** বাউলা কে বানাইলরে বাউলা কে বানাইল রে হাছন রাজারে বাউলা কে বানাইল রে যেজন ও বানাইল বাউলা নামটি তাহার মাওলা নাছিয়া নাছিয়া হাছন জপত নুরে আল্লাহ “””””””” ** হাছন রাজা জানত যদি বাচব কতদিন দালান কোটা বানাইত করিয়া রঙ্গিন রে “””””””” বাউলা আব্দুল করিমের গানে সহজ ভাবে ফুটে উটে লোকজ বাংলার চিত্র কথা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ২ বার গ্রামের ঐ নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান মিলিয়া “”””””””” অথবা কেন পিরীতি বারাইলা রে বন্ধু ছাইড়া যাইবা যদি . আরও অসংখ্য নাম না জানা জ্ঞানি গুনির কণ্ঠে আমরা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির লোকজ চিত্র লালন করি মুহূর্তের আনন্দ সম্ভারে হৃদয় মাঝে । । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।