আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাশবিকতা চলছেই: জীবনের সাথে লড়াইয়ে আরো এক নির্যাতিতা রুমা

স্বপ্ন এমন কোন জিনিস না যে তুমি দেখলে আর ঘুমিয়ে গেলে, এটা এমন একটা জিনিস যা তোমাকে ঘুমোতে দেয়না এই লেখাটা লিখছি প্রচন্ড এলোমেলো মাথা নিয়ে। নারী নির্ষাতনের খবর পত্রিকায় পড়ি, খবরে দেখি প্রায়ই। আর অনেক ভোতা হয়ে যাওয়া অনূভূতির মত এই খবর গুলোও পড়ে যাই শুধু। ভন্ডের মত একটু আহা উহু করে তারপর ভুলে যাই আবারো। কিন্তু এই খবর যখন নিজের জীবনে সত্য হয়ে যায় তখন আর বালিতে মুখ গুজে পার করা যায় না।

সত্যেরা নগ্ন হয়ে সামনে চলে আসে। আমার ভাগ্নি রুমার বিয়ে হয় নোয়াখালীর বসুরহাটের হারুন-অর-রশিদ নামের লোকের সাথে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। অবশ্য এই মূহূর্তে লোক না বলে এক পশুর সাথে বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব আমি। কি চমৎকার জোড়া মানিয়েছিল দুজনকে। সময়ের পরিক্রমায় তার কোল জুড়ে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসে।

এর পরই যেন পাল্টে গেল জীবন। কন্য সন্তানের জন্ম দেয়াটাই যেন তার অপরাধ। শুরু হলো মানসিক শারিরীক অত্যাচার, আমরা এর অনেক কিছুই জানতে পারিনি। সেই পুরোনো গল্প। বোকা দু:খী মেয়েটা নিজের মেয়ের কথা ভেবে , সংসার টিকানোর কথা ভেবে কিছুই বলেনি।

সয়ে গেছে অত্যাচার। গত ২রা জুন হটাৎ ফোন পাই আমি আমি তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা করা হয়েছে, শরীরে ৮০ ভাগ পোড়া নিয়ে। বোকা মেয়েটা বলে কিনা দু্র্ঘটনায় গরম পানি পড়েছে। কিন্তু এই বার্ণ দেখে সন্দেহ হয়। নিজে নিজে দুর্ঘটনা ঘটলে এই ধরনের পোড়া সম্ভব না।

আস্তে জানা যায়, ঐ পাষন্ড স্বামী গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে। সেই থেকে আজ ২০ দিন হয়ে গেল ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে জীবনের সাথে পান্জা লড়ছে আমার ভাগ্নি হালিমা ইয়াসমিন রুমা। নোয়াখালির কোন্পনিগম্জ থানায় একটা মামলা করা হয়েছে এই ব্যাপারে। এখন এই পশুটি পলাতক। সেই স্বামী: লেখাটাকে দীর্ঘায়িত করতে পারছিনা।

আমার হাত কাপছে। কি লিখছি নিজেই জানিনা। সবাই দোয়া করবেন প্লিজ আমার ভাগ্নির জন্য। এই লেখাটাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সহব্লগার এবং এডমিনদের কাছে অনুরোধ করছি। এই নির্মমতার সুবিচার হতেই হবে খবরটা াজকে প্রথম আলোতে এসেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।