আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ পাশবিকতা কবে শেষ হবে



১১ বছরের মিষ্টি মেয়ে শিপা আজ মৃত্যুর সাথে লড়ছে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। তার অপরাধ সে এতজন হতদরিদ্র বাবার সন্তান, তার অপরাধ তোর বাবা মা তাকে কাজ করতে পাঠিয়েছিল অন্যের বাড়ীতে। এটাই তার অপরাধ। আজকের দৈনিক সমকাল এ কমলগন্জ থেকে পাঠানো মৌলভীবাজারের প্রতিনিধির লেখা পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম। কোথায় আছি আমরা? মৌলভীবাজার জেলার কমলগন্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের রাঙ্গাটিলা গ্রামের দরিদ্র কলিম মিয়ার ১১ বছরের মেয়ে শিপাকে ‍অভাবের তাড়নায় কাজ করতে পাঠিয়েছিল সিলেট শহরের এক বাসায় মাত্র তিন মাস আগে।

আর তিন মাসের ব্যবধানে শিপা ফিরে এলো গৃহকত্রীর অত্যাচারে সারা শরীরে দগদগে ঘা নিয়ে। যার অধিকাংশই পচন ধরেছে। সামান্য ‍অপরাধে তার গৃহকত্রী তাকে অত্যাচার করতো, ষ্টিলের গরম হাতা দিয়ে তার সারা শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। যার অধিকাংশই এখন পচন ধরেছে। কমলগন্জ উপজেলা হাসপাতালে শিপার চিকিৎসার জন্য ভর্ত্তি হলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শিপাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করতে হয়েছে।

শিপা মাত্র ১১ বছরের নিস্পাপ ফুল। যে বয়সে অন্য আর দশটা মেয়ের মতো বই খাতা নিয়ে ইস্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, হেসে খেলে সময় কাটানোর কথা ছিল সে বয়সে চরম দারিদ্রতার কারনে তাকে যেতে হয়েছিল কাজ করতে অন্যের বাড়ীতে। আর তাই আজ তাকে মৃত্যুর সাথে লড়তে হচ্ছে। তার অপরাধ সোনার চামচ মুখে নিয়ে কোন বড়রোকের ঘরে জন্মনেয়নি, তার অপরাধ চরম দারিদ্রতার কারনে দু’মুঠো খাওয়ার জন্য, বেচে থাকার জন্য এই অল্পবয়সে কাজ করতে যেতে হয়েছে এক মানবতা বিবর্জিত চন্ডালিনির ঘরে। কোথায় আছি আমরা? দারিদ্রতার কারনে না হয় কাজ করতে গিয়েছিল শিপা, একটু কি মায়ামমতা আর আদর পেতে পারতোনা শিপা? কেন এই মানবিকতার লংঘন? শিশু জনিকে বাচানোর জন্য আমরা সবাই যে ভাবে এগিয়ে এসেছিলাম সে ভাবে এই হতভাগ্য শিপাকে বাচানোর জন্য আর তার এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তির জন্য আমরা কি এগিয়ে আসতে পারিনা??? মৌলভীবাজার এর ব্লগার ভাইদের অনুরোধ করছি, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে শিপার বর্তমান অবস্থা জানিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন লিখুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।