সব শেষ হয়ে যাবার পরও, কিছু স্বপ্ন বেঁচে থাকে- সব সময় এক স্কুল থেকে আরেক স্কুল। নতুন স্কুলে এসে প্রথম দিন সচারাচর সহপাঠীদের সাথে কথা হতো না। অবশ্য শিক্ষকরা প্রত্যেকেই নাম ধাম এবং অতীত বর্তমান জিজ্ঞেস করতেন। বাবা পুলিশে আছেন শুনে কোন কোন শিক্ষক আজে বাজে কথাও বলেছেন অনেক বার। কোন শিক্ষক ভয়ে দেখিয়েছেন অতিরিক্ত আদর! সহপাঠীরা কেউ সহজভাবে নিতো না আমায় অথবা আমিই ওদের সাথে মিশতে পারতাম না।
পুলিশ নিয়ে প্রচলিত সব ধরনের ব্যঙ্গ (বেশির ভাগই অশ্লীল) হজম করতে হতো আমায়। গ্রামের প্রাইমারী এবং হাই স্কুলে কী শেখানো হয় আপনারা অনেকেই জানেন। আমিও তাই শিখতাম। আমরা যখন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় প্রথম যাই তখন আমি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। আমার জীবনের প্রথম বন্ধুত্বের স্বাদ পাই তখনই।
সঞ্জিত নামের বয়েসে বড় এক সহপাঠী আমাকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালিন সময়ে আব্বার আবার বদলি। আমরা চলে গেলাম একই জেলার পলাশ থানায়। এই থানার অধীনেই ঘোড়াশাল সার কারখানা অবস্থিত। পলাশ থানা কোয়ার্টারে ফ্ল্যাট খালি ছিলো না।
তাই আব্বা ইউ এন ও'র অনুমতি নিয়ে উপজেলা কোয়ার্টারে উঠেন। এখাকার পরিবেশটা ছিলো সুন্দর। আমি ৬ মাস যেতে না যেতেই হয়ে গেলাম বিশাল এক পিচ্চি বাহিনীর নেতা। রেজা, সুবাস, জুম্মান, আসিফ ওদের কথা এই মূহুর্তে আমার মনে পড়ছে। ওরা এক একজন ছিলো এক এক জেলার।
এখন ওরা জানি কোথায় আছে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।