বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের অশ্লীল পোস্টারে ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এসব পোস্টারের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কথিত হারবাল প্রতিষ্ঠান জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাতেই অন্তত এক ডজন হারবাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকান ভাড়া নিয়ে বিশাল আকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে এত দিন ব্যবসা করে এলেও সম্প্রতি পোস্টার সাঁটানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তারা অফিস-আদালত, ঘরবাড়ি, এমনকি স্কুল-কলেজের দেয়াল ও গেটে এসব পোস্টার সাঁটিয়ে চলছে। এসব পোস্টারে যৌন রোগ ও সেক্স নিয়ে অশ্লীল বাক্য লেখা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কারবারি ছাড়াও যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রচুর পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এমনকি আঞ্চলিক পত্রিকাতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা হাশেম আলী জানান, অশ্লীল পোস্টারের কারণে নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে ইতস্তত করতে হয়।
গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে সবেমাত্র বানান করে পড়তে শিখেছে। হারবাল কোম্পানির রঙিন পোস্টার দেখে সে-ও বানান করে পড়ে জানতে চায় এসব কিসের পোস্টার। ’
শহরের দৌলতদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভেষজ ইউনানি চিকিৎসালয়ের হাকিম আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সহজ ভাষায় মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করি। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে শালীনতা বজায় রাখার চেষ্টা করব। ’
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন কামরুল হুদা বলেন, ‘হারবাল কোম্পানির পোস্টার নিয়ে আমি নিজেও মাঝেমধ্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি।
এসব কোম্পানির কারবার যথাযথ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য আলাদা দপ্তর আছে। ওই দপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তবে আমি চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলব। ’
সত্যি কথা বলতে কি শুধু চুয়াডাংগাতেই নয় প্রায় সারাদেশে এরকম পোস্টার দেখা যায়। যা দেখে অনেককে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।
আসলে এইরকম প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।