ব্যক্তিগত প্যাচাল পছন্দ না হলে বের হয়ে যান আমার ব্লগ থেকে। :) সে এক বিরাট কাহিনী। যার শুরু খুব মধুর। একসাথে পাশাপাশি বসে খাওয়া। হাসি ঠাট্টা।
অসাধারন ভাল লাগার অনুভুতি নিয়ে স্মরণীয় কিছু সময়।
কিন্তু সে কাহিনির শেষ কিছুক্ষন পর পর পেটের ভিতর ভুট ভুত ভুট ভুসসস ভুস ভুস আর ছোটঘরে কিছুক্ষন পর পর গিয়ে ফুস ফুস ফুসসস ঘটনার মাধ্যমে।
এ আমার বহু সাধের,বহু তপস্যার,বহু ইচ্ছার একটা প্রেম। জিবনে একখান। এটাই করতে চাই শেষখান।
নিজের ভার্সিটিতে দেখতাম মেয়েরা প্রেমিকদের রান্না করে খাওয়ায়,ছোটখাট যাই হোক। আমার ও ইচ্ছা হয় আমাকেও আমার প্রেমিকা খাওয়াবে। কিন্তু নিজে থেকে ত আর প্রেমিকাকে বলতে পারি না। ৫মাস যায় ছয় মাস যায়,কিছু খাওয়ায় না।
বছরখানেক পর মান সম্মানের মাথা খেয়ে বললাম ই,তুমি আমাকে কিছু রান্না করে খাওয়াও না কেন?
ম্যাডামের অকপট জবাব,"সারাজীবন ই খাবা,"এখনি এত লাফাও কেন?"আমি চুপ।
১৮মাস যায়,২০ মাস যায় খাওয়ায় না। দুই বছর হয়ে গেল সেই সুভাজ্ঞ হল না। আমি আসা ছেড়ে দিলাম। বুঝলাম বিয়ের আগে মনে হয় আর খাওয়া হবে না।
২৬মাস পর একদিন হটাত দেখি ম্যাডাম আমাকে বলে,তোমার জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে আসছি।
আমার খুশি দেখে কে। পারলে ত লাফাই আর রাস্তার ভিতরেই অকে ধরে নাচানাচি শুরু করি।
তারপর খেলাম সেই আকাঙ্খিত খাবার। সে বলে,"খেতে পারতেছ ত!এটা বেশি হইছে,ওটা বেশি হইছে। " আমার কানে আর অসব ঢোকে না।
সব কিছু জেন অমৃত খেয়েই যাচ্ছি। একদম পেটভরে। যতটুকু আনছিল সব খাইলাম। বেশি খাইছি।
পরে জানতে পারলাম,সে খাবার আনছিল দুই জনের জন্য কিন্তু আমি একা খেয়েই সব শেষ করছি।
বাসায় গিয়ে বুঝলাম,ভুস ভুস ভুস ভুস শুরু হয়ে গেছে অন্দরমহলে। ছোটঘরে গিয়ে শুধু ফুস ফুস ফুসস।
তারপর থেকে মাঝে মাঝেই খাই। এখন আর অত বোকা নই। খাওয়ার পর লুকিয়ে একটা ৪০০মিলিগ্রাম অসুধ খেয়ে নেই।
কিন্তু জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন কিছুদিন পর প্রেমিকা থেকে বউ হয়ে যাবে,তখন ও যদি লুখিয়ে অসুধ খেতে হয় তাহলে ত একটা অসুধের ফ্যাক্টরি বানাতে হবে।
আমার কি হপে রে!
আমার কি হপে রে!
আমার কি হপে রে!
আমার কি হপে রে!
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ (তার হাতের রান্না আসলেই আমার বেশ ভাল লাগে কিন্তু ঝাঁজ থাকে একটা। একটু বেশি মাঝে মাঝে। তার কথা মতে, কিছু একটা বেশি দেয়া হয়ে যায় নাকি। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।