সুখের দিনে তোমার কথা ভাবি....দুখের সাথে একলা রয়ে যাই....
প্রথম যেইদিন তাহাকে লইয়া বেড়াইতে বাহির হইয়ছিলাম বহু সাধাসাধিতেও কিছু খাওয়াইতে পারি নাই। যাহাই খাইতে কহি তাহাই অপছ্ন্দ। লক্ষন মন্দ ছিলনা। ট্যাঁকের পয়সা বাঁচিবে বুঝিয়া মন যারপরনাই উৎফুল্ল হ্ইয়া উঠিয়াছিল। সেই সময় বুঝিতে পারিনাই উনি খাদ্য খাইবার চাইতে মস্তিস্ক চর্বনে বেশী আগ্রহী।
যাই হোক ইহা বিতর্কিত বিষয়, আলোচনা না করিলেই মঙ্গল। পূর্বেই বলিয়াছি স্বনির্ভর হইবার বড়ই শখ, বলিয়া রাখিয়াছেন চাকরী আমি করিবই। আমি বলিয়াছি যদি পাও অবশ্যই করিবে। নির্দ্বিধায় বলিয়াছি কারন পাইবার মত বুদ্ধি তাহার যে নাই সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
উনি টিউশনি করিতেছেন।
উদ্দেশ্য সেই স্বনির্ভরতা। বড়ই ভাল কথা, আমি আপত্তি করি নাই এই কারনে যে অন্যকে শিখাইতে গিয়া যদি নিজে কিছু শেখেন। ওনার টিউশনির সময় আমার ফোন হাতে লইয়া বসিয়া থাকিতে হয়। লাইফ লাইন। এই সমস্তও বিতর্কিত বিষয় তাই আলোচনা বন্ধ রাখিলাম।
আসল কথায় আসি, উনি ফোন করিয়া কহিলেন তুমি বাড়ি আসিয়াছ আমি দেখা করিতে যাইব। বৃষ্টি বাদলার দিন মানা করিলাম (আসিলেই পকেটখানি হালকা হইয়া যাইবে)। তবুও আসিলেন। স্নান সারিয়া একসাথে ভাত খাইতে বসিব উনি আসিয়া কানে বলিলেন, বৌদিকে বল ভাত খাইব না। আমি বলিলাম কেন! ক্ষিদায় উদরের মুষিকপ্রবর কাঁদিয়া কাটিয়া হাত পা ছুড়িতেছে।
তাহার উত্তর শুনিয়া কানের মধ্য হইতে পকেট দিয়া হালকা মধুর স্রোত বহিয়া গেল। তিনি বলিলেন, মায়না পাইয়াছি তোমাকে বাহিরে খাওয়াইব। আহাঃ কি সুন্দর বাক্য।
সবচাইতে ভাল রেষ্টুরেন্টে পাঁঠার মাংস, কাতল মাছের কালিয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি সহযোগে অতিশয় গুরুভোজন করিলাম। কি শান্তি, কি সুখ, এত খাইলাম অথচ পয়সা দিতে হইবেনা।
বিল দিবার সময় আসিলে সে পাঁচশত টাকার একখানি নোট বাহির করিয়া দিল। হোটেল মালিক বৃদ্ধ, উনি কোন ঝামেলার মধ্যে নাই। নোট খানি উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখিয়া বলিলেন, নোটের জলছবি খানি ঠিক জায়গায় নাই ইহা আমি লইতে পারিব না। তাহার পরের কথাটুকু, থাক নাই বা বলিলাম...... বিতর্কিত বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।