জিনস, টি-শার্টের ওপর বোতাম খোলা শার্ট আর মাথায় টুপি। পায়ে ক্যানভাস। হাতে থাকে সব সময়ের সঙ্গী মুঠোফোন। এসব মিলিয়েই ব্যক্তি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্যাজুয়াল পোশাকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বাড়িতে থাকলে খালি গায়ে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরেন। আগে শুটিংয়ের সময়ও তাই পরতেন। ইদানীং অবশ্য ঢিলেঢালা ট্রাউজার পরছেন শুটিংয়ে। তবে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট বিষয়ে তাঁর নিজস্ব একটি ব্যাখ্যা আছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘যখন বড় হচ্ছি, সেই সময়ে একটা বিভ্রান্তিতে পা দিয়েছিলাম।
সেটি হলো, কেন জানি মনে হতো, থ্রি-কোয়ার্টার স্মার্টনেসের প্রতীক। যারা স্মার্ট নয়, তারা লুঙ্গি পরে। সেই ধারণা যে ভুল ছিল, পোশাক যে স্মার্টনেসের প্রতীক না, পরে তা বুঝতে পেরেছি। আর থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরলে যে আরাম লাগে, সেই আরামের প্রেমে পড়েছি। ’ একটা সময়ে তিনি আকাশি নীলের জিনস ও গ্যাভার্ডিনের প্যান্ট পরতেন।
এখন স্ট্রেট কাটের নীল জিনসই পরছেন। সঙ্গে শার্ট বা টি-শার্ট। তবে সাদা-কালো তাঁর প্রিয় রং।
বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁর কোনো দুর্বলতা নেই। তবে দেশি পোশাকই তাঁর পছন্দের তালিকায় থাকে।
তানজীম, দেশাল ও ইয়োলোর পোশাকই বেশি পরেন। ইয়োলোর পাঞ্জাবি তাঁর ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে জিনসের সঙ্গে পাঞ্জাবি বেছে নেন। নিজে কিনলে নিত্য উপহারের টি-শার্ট পরেন। কেননা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কেনাকাটা সাধারণত তাঁর স্ত্রী অভিনয়শিল্পী তিশাই করেন।
তিনি যখন যা কিনে দেন, বাধ্য স্বামীর মতো মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাই পরেন। স্যুট-কোটে একদম স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তিনি। তবে দেশের বাইরে গেলে শীত ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিবেশের জন্য পরতে হয়। ‘দেশে তো আমি সবার ভাই। কাছের মানুষ।
এখানে সাধারণ সাদামাটা আমিতেই সবার কাছে আপন। ফলে কেতাদুরস্ত হয়ে উঠতে চাই না। তাই তেমন পোশাকও পরতে ভালো লাগে না। ’
এই চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রায় সব সময় সব পোশাকের সঙ্গে মাথায় টুপি পরেন। এর পেছনের জীবনদর্শন জানালেন।
টুপি পরলে নিজেকে ক্ষমতাধর একজন মনে হয়। স্কুল ও কলেজে থাকতে মধ্যবিত্তের যে অবদমিত জীবন ছিল, তখন যখন টুপি পরতেন, নিজেকে রাজা মনে হতো। এখনো একই কারণে নানা রকমের টুপি পরেন। বাইরে বেরোলে সানগ্লাসও পরেন। রে-ব্যানের সানগ্লাস বিশেষ পছন্দ হলেও বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা ব্র্যান্ডবিহীন সানগ্লাস বেছে নেন।
নিজেকে কর্মী পিঁপড়ার মতো মনে করেন। একদম চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। ভালোলাগার কাজ সারাক্ষণই করতে থাকেন। তাই তো শার্ট ও পাঞ্জাবির হাতা ভাঁজ করে পরেন তিনি। ২০০০ সালের দিকে বড় চুল কেটে ফেলেন।
রাম নামের একজন চুল বিশেষজ্ঞ বাসায় এসে তাঁর চুল কেটে দেন। তাঁর শ্মশ্রুমণ্ডিত চেহারাকে ইতিবাচক মনে করেন তিনি। কেননা, এর কারণে মুখের গড়ন ভালো দেখায়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের যত্নে ব্যবহার করেন বডিশপ ব্র্যান্ডের লোশন, ডিওডোরেন্ট ও লিপজেল। রাতে নিয়মিত ব্যায়াম করেন।
এরপর বন্ধু ও ভাইবেরাদারদের সঙ্গে খেলেন দাবা। কিছুক্ষণ ডার্টও খেলেন তিনি। কোথাও গেলে সিনেমার ডিভিডি, বই ও স্ত্রীর জন্য উপহার কেনেন। ব্যবহার করেন আইপ্যাড ও গ্যালাক্সি নোট-টু। এই হলো চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।