সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতিনিয়ত কত রহস্যময় ঘটনাই না ঘটছে! কখনও কখনও খেয়ালি আচরণ করে প্রকৃতি, যার কার্যকারণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মানুষের অনুসন্ধানী মন এসব রহস্যময় ঘটনার সঙ্গে নিজের দেখার এবং অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেতে চায়। কখনও কখনও পেয়েও যায়।
উপরোক্ত বিচ গাছটি ইংল্যান্ডের সাফোকে স্টাওলাঙ্কটাক হল নামে একটি নার্সিং হোম এর চৌহদ্দিতে । এখানে এমন এক ভয়াল দর্শন গাছ রয়েছে যাকে দেখলে বাচ্চারা ভয়ে দু'হাত দিয়ে চোখ ঢাকবে এবং দ্বিতীয়বার ও-পথ মাড়াবে না।
এবড়ো-খেবড়ো দাঁত বের করা গাছটি জিহ্বা বের করে যেন সবকিছু গিলে খেতে উদ্যত। নার্সিং হোমের এক পরিদর্শক বলেন, আমার বাচ্চারা এমন কিম্ভুতকিমাকার ভয়াল আকৃতির গাছ দেখলে অন্তত সাত দিন ঘুমাতে পারবে না। আশপাশের বাসিন্দাদের ধারণা, এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গাছ।
এ গাছের আবিষ্কারক ডেভিড গারহাম ৭০ ফুট উঁচু প্রাচীন এ বিচ গাছটির নাম দিয়েছেন 'প্রকৃতির চিৎকার'। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এডভার্ট মাঞ্চের বিখ্যাত 'দ্য স্ক্রিম' (চিৎকার) চিত্রকর্মের নামকরণ থেকে বিচগাছটির এ নামকরণ করা হয়েছে।
গাছের ভয়ঙ্কর রূপটি দেখলেই এ নামের সার্থকতা উপলব্ধি করা যায়। নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী জ্যাসন প্যালিস্টার জানান, গাছটির বয়স হয়েছে অনেক। বয়সের কারণে এর শরীর থেকে বিভিন্ন সময় ডালপালা ভেঙে পড়ায় গাছটির চেহারা এমন বিদঘুটে হয়েছে।
প্রকৃতির আরও একটি অদ্ভুদ খেয়াল এই ওক গাছটি। ইংল্যান্ডের এসেক্সে ৪০০ বছরের পুরনো ওকগাছের সঙ্গে নরওয়ের বিশ্ববিখ্যাত অভিব্যক্তিবাদী চিত্রশিল্পী এডওয়ার্ড মাঞ্চের বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'দ্য স্ক্রিম'-এর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে।
এসেক্সের কগেশালের মার্ক হল পার্কের এই ওকগাছটির দিকে তাকালে আপনার মনে ভয়ের শিহরণ জাগবে নিশ্চিত। গাছটিতে সৃষ্ট বড় তিনটি গর্ত যা খোলা চোখ ও মুখের অভিব্যক্তি তৈরি করেছে। এর দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে মানুষ। ১৮৯৩ সালে আঁকা দ্য স্ক্রিম চিত্রকর্মটি এবং ওকগাছের প্রকৃতি-সৃষ্ট ছবির মিল প্রকৃতির অপার রহস্যের এক উদাহরণ বলে মনে করেন অনেকে। বাগানের কিউরেটর জোনাথন জুকস বলেন, গাছটির এ ছবি দারুণ এবং অনন্য এক অনুভূতির সৃষ্টি করে।
জুকস বলেন, যেখানে বেশির ভাগ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, সেখানে ৪০০
বছরের পুরনো এ ওকগাছটি এখনও স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। গাছটির আলাদা মূল্য আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ।
সূত্রঃ দ্যা ডেইলি মেইল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।