আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের একজন নগণ্য কর্মী ও সমর্থকের কথা শুনবেন কি?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি খুব নগণ্য একজন কর্মী ও সমর্থক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের। রাজধানী থেকে প্রায় ৪০০ কি.মিঃ দুরের নোনা পানির সোনার মানুষের বাসস্থান পাইকগাছা থেকে লিখছি। ১৯৪৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বাঙ্গালির ভোট ও ভাতের সমস্ত আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকায় থাকা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি এখন আপনি। ২০০৮ সালে আপনার বলিষ্ঠ ও যোগ্যতম নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জোটের অনন্যা শরীকদের নিয়ে নির্বাচনে যে অভূতপূর্ব বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল তা আর একমাত্র পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন দেশের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যখন ব্যপক বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করেছিল তখন থেকে ১৯৭১ সালের সেই পরাজিত শত্রুরা যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল তার ধারাবাহিকতা বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলেও চলছে।

১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে তার স্বপরিবারে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল আর আপনাকে অজস্রবার হত্যা করার জন্য হামলা চালিয়েছে কিন্তু মহান আল্লাহ্‌তায়ালার দোয়া ও সাধারণ মানুষের ভালবাসায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে ১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুরা অনেক বড় কোন পরিকল্পনা করছে। আর সেই পরিকল্পনার প্রধান টার্গেট যে আপনি হবেন এটা বুঝতে বড় পণ্ডিত হওয়া লাগেনা। কারণ তারা জানে আপনি সুস্থ থাকলে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। আর তাই সামনের নির্বাচন আওয়ামীলীগের জন্য হবে জীবন-মরণ লড়াই।

আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যদি ক্ষমতায় না যেতে পারে তবে সবথেকে লাভবান হবে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরা। একে একে যেমন জেল থেকে বের হয়ে আসবে বিচার শেষ হওয়া বা বিচারের পক্রিয়ায় থাকা যুদ্ধাপরাধীরা ঠিক তেমনি হত্যা করা হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠকরা। তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠকদের হত্যা করতে পারলেই আওয়ামীলীগের মুল নেতৃত্বদের হত্যা করা সহজ হবে। তাই সামনের নির্বাচন হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্মের পর থেকে সবথেকে কঠিন পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় জিততে হলে লাগবে সাধারণ মানুষের আকুন্ঠ সমর্থন।

কারণ যতই ষড়যন্ত্র হোকনা কেন সাধারণ মানুষ সাথে থাকলে জয় নিশ্চিত। সাধারণ মানুষের মনে হয় আমার মত একটাই দাবী আপনার কাছে তা হল "বিচার"। এই বিচার অন্য কারও নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,এই বিচার ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এম,পি বা মন্ত্রী এবং আপনার দলের বিভিন্নস্তরের নেতাদের। ২০০৮ সালের নির্বাচিত সাংসদ ও মন্ত্রীদের মাঝে কতজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন? ১০ জন বা ২০ জন বা ৩০ জন,তাহলে কিছু মানুষের খারাপ কাজের ভার দল ও সরকার নিতে যাবে কেন?তাছাড়া সারা দেশে এলাকা ভেদে কতজন খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল?আমি যেমন বলতে পারি আমাদের পাইকগাছা-কয়রায় (খুলনা-৬)সব নেতাকর্মী কিন্তু অন্যায় করে নাই। হাতে গোনা ২৫-৩০ জন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত আছে।

আমার কথা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,ঐ ২৫-৩০ জনের জন্য পুরা আওয়ামী পরিবার অভিযুক্ত হবে?কেন আওয়ামীলীগের কথা বললে মানুষের মনে ভীতি চলে আসবে?কেন আওয়ামী লীগের মত প্রবীণ দল মানুষের মন থেকে ধীরে ধীরে মুছে যাবে?কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,এখনও হাতে সময় আছে,আপনি সময়ের প্রয়োজনে একটি কঠিন কিন্তু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিন। সেটা হল নিজ দলের ক্ষমতার অপব্যবহাকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। ক্ষমতার অপব্যবহার করা মানুষরূপী অমানুষদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করুন এবং দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করান। সাধারণ মানুষের মনে আশার নতুন সূর্য দেখান,নতুন প্রজন্মকে দেখিয়ে দিন অপকর্মকারী যেই হোকনা কেন বা দলের যে পর্যায়ের নেতা হোকনা কেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচিত করুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

আর যদি সেটা আপনি করতে পারেন তবে আগামী নির্বাচনে আমরা বুক চিতিয়ে গর্বভরে বলতে পারব সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়,আপনারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিন যদি কেউ কোন খারাপ কাজ করে সামনে তবে আওয়ামীলীগ অবশ্যই তার বিচার এই বাংলার মাটিতেই করবে ইনশাল্লাহ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.