ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের পরকীয়া নিয়ে। বহুল আলোচিত শাহনাজ গাজীকে লসঅ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগের সংবাদে গোটা আমেরিকায় বাংলাদেশিদের মাঝে তুমুল আলোচনা চলছে। লসঅ্যাঞ্জেলেস কমিউনিটির লিডার মোমিনুল হক বাচ্চুসহ অনেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক শাহনাজ গাজী এসেছিলেন নিউইয়র্কে। সে সময় তাকে নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
এদিকে নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এনা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে বউ তালাকের নানা প্রক্রিয়া চলার অভিযোগ উঠেছে। আরেকজন তার স্বামীকে তালাকের পর এ দুজন ঘর বেঁধেছেন এবং তারা সুখের সংসার রচনায় সম্মত হয়েছেন বলে খবর রয়েছে কূটনৈতিকপাড়ায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে কাজের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, শুধু নেপাল, জাপান নয় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন আরও অনেক নারী কেলেঙ্কারির মুখরোচক আলোচনা রয়েছে। মিসরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়েছিল জনৈক ব্যক্তিকে।
তিনি স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে সুন্দরী চাকরানীকে স্ত্রী হিসেবে মিসরে নিয়ে যান। এ তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ওই রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে কোনো ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়াই বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে ৪ জুন প্রাপ্ত সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে। এ ছাড়া পরকীয়ার কারণে আরও একাধিক কূটনীতিক সংসারে চূড়ান্ত অশান্তির মধ্যে আছেন। সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের মুখরোচক আলোচনায় বিব্রত অনেক কর্মকর্তা। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অন্য সার্ভিসেও এমন অনেক ঘটনা রয়েছে।
শুধু কূটনীতিকদের দোষারোপ করে লাভ কী? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।