আমি যেখানে মারা যাবো সেখানেই যেন আমাকে দাফন করা হয়। এই ছিলও এম এফ হুসেনের অন্তিম ইচ্ছা। পরিবারের সূত্র দিয়ে টাইম অব ইণ্ডিয়ার খবরে বলা হয়। আগামীকাল শুক্রবার লন্ডনে ইসলামি রীতি অনুসারে এম এফ হুসেনের অন্তিম বিদায় দেওয়া হবে বলে শিল্পীর পরিবার থেকে জানানো হয়। এম এফ হোসেন মৃত্যুকালে দুই মেয়ে ও চার পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
পরিবারে সূত্র হতে আরও জানা যায় তিনি গত দেড় মাস যাবত বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হোন। গত দুই সপ্তাহে শিল্পীর স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে। বুকে ব্যথা নিয়ে শিল্পী লন্ডনের রয়াল ব্রোমটন হাসপাতালে ভর্তি হলে তার স্বাস্থ্যের কোনও উন্নতি ঘটেনি। ৯ জুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটার শিল্পীর হৃদযন্ত্র আক্রান্ত হলে তার মৃত্যু হয়। ২০০৬ সালে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাবার সময় তিনি লন্ডন ও দুবাইতে পালা করে থাকতেন।
হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দেব দেবীর নগ্ন চিত্র আকায় তিনি সমালোচিত হওন। ভারতের দক্ষিণ পন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলো তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং কয়েক দফায় তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনী স্থলে ভাংচুর চালায়। বজরং দল ও শিব সেনার উগ্র কর্মীরা শিল্পীর সম্পত্তির ওপর হামলা চালায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা হামলার ভয়ে এক পর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় ভারত ছাড়তে বাধ্য হন।
ভারতের হরিদ্বার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হলে তিনি সেখানে হাজির হতে পারেননি । এ কারণে হরিদ্বার আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো। ২০০৬ সালে ভারত ছাড়ার পর তিনি লন্ডন ও দুবাইতে পালা করে থাকতেন।
২০১০ সালে মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতার তাকে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দিলে তিনি সাদরে তা গ্রহণ করেন এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য ভারতীয় আইনে ব্যক্তির দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃতি নেই বিশেষ কয়েকটি দেশ বাদে।
ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও তিনি মনে প্রাণে ভারতীয় বলে তার বন্ধুদের কাছে গর্ব করে বলতেন। নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসার ইচ্ছা তিনি ভারতীয় বেসরকারি গণমাধ্যম গুলোতে ব্যক্ত করেছিলেন। আরো জানতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।