আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সাংবাদিকরা বাড়াবাড়ি করছে’

রনির বিষয়ে সাংবাদিকরা ‘বাড়াবাড়ি’ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য, যিনি কিছুদিন আগে সরকারি এক প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করেন।  
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে পেটানোর মামলায় বুধবার আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য রনি গ্রেপ্তার হন।
এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা বৈঠকের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে শফিকুল ওই মন্তব্য করেন।
কমিটির সভাপতি মো. ছায়েদুল হকসহ বৈঠকে যোগ দিতে আসা পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সফিকুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা নেই।

আপনারা একজন সংসদ সদস্যকে নিয়ে যা করছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। যান, যান। ”
সাংবাদিকরা রনির বিষয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করছে বলে মন্তব্য করে কমিটির সভাপতিসহ পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে লিফটে নিচে নেমে যান শফিকুল ইসলাম।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন পেশায় ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম।
তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী শফিকুলের বাবা এম এ মজিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শফিকুল, যদিও তার আগে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না তিনি।
আচরণের জন্য এলাকায় সমালোচিত শফিকুল সম্প্রতি ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করলে তা নিয়ে সংবাদপত্রগুলোতে বেশ লেখালেখি হয়।
 
শফিকুলের মতো রনিও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  
রনির আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার বলেন, “গণমাধ্যমের প্রতি তার (রনি) এ আচরণ অশোভন ও অনভিপ্রেত। ”
এর আগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল-উল আলম হানিফও দলীয় সংসদ সদস্য রনির আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।


পটুয়াখালীতে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগের মুখে থাকা রনির ঢাকার কার্যালয়ে গত শনিবার হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিলেন তারা। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রনি নিজেও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন এবং লাথি মারছেন।
পটুয়াখালীর এই সংসদ সদস্য পরে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তিনি দাবি করেন, মারধরে জড়িত ছিলেন না তিনি।


ঘটনার পর রনির বিরুদ্ধে ইনডিপেনডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করে। রোববার সেই মামলায় রনি জামিন নিলেও বাদীর আবেদনে বুধবার তা বাতিল করে আদালত। এরপর পুলিশ রনিকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে শনিবারের ঘটনায় রনিও একটি মামলা করেছেন এবং তাতে তাকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ইনডিপেনডেন্টের মালিক সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

 
আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য রনির দাবি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমানের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার পেছনে সাংবাদিকদের ‘লেলিয়ে’ দেয়া হয়।
রনির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।
রনি ইতোমধ্যে বলেছেন, দল চাইলে তিনি সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেবেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.