ধুমপানে বিষপান
আসলে জেগে ঘুমানোর অভ্যাস আওয়ামীপন্থীদের কোন কালে যাবেনা। এ পর্যন্ত বি.ডি.আর. এর ঘটনা নিয়ে যত তদন্ত হয়েছে সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের এম.পি. মন্ত্রীদের নাম এসেছে। আওয়ামী লীগের এম.পি. তাপসের সাথে বিদ্রোহী বি.ডি.আর. সদস্যদের মিটিং হয়েছে, তাদের পালানোর সুবিধা করে দেয়ার জন্য পিলখানার আশে-পাশের এলাকা খালি করে দেয়ার ঘোষণা যে তাপসের নির্দেশেই হয়েছে, বিদ্রোহের অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী সহ বিভিন্ন মন্ত্রী, এম.পি. দের সাথে বিদ্রোহী বি.ডি.আর. সদস্যদের মিটিং হয়েছে ..... তা তো ওপেন সিক্রেট।
সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত রিপোর্টের আংশিক প্রকাশের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিক্রিয়া পাঠ করলেই বুঝা যায় তাদের "ঠাকুর ঘরে কে রে.. আমি কলা খাইনা" মত অবস্থা।
তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই সমন্বয়কারীর ভূমিকায় থাকা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ফারুক সাহেবের বিদ্রোহের সাথে জঙ্গী খোঁজার আগ্রহ দেখলেই বুঝা যায় তিনি কাকে লুকাতে চান।
তবে এটা সত্য এ সরকারের আমলে বি.ডি.আর. বিদ্রোহের প্রকৃত অপরাধীদের নাম প্রকাশ হবেনা.... কারণ যে কোন দিক থেকেই তদন্ত করলেই বের হয়ে আসছে.... বিভিন্ন লেভেলের আওয়ামীপন্ত্রীদের নাম। এখন আমরা অপেক্ষা করব একটি নিরপেক্ষ এবং সত্যনিষ্ট তদন্তের জন্য।
উপরের মন্তব্যগুলো আজকের একটি বিশেষ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছে! পত্রিকাটির স্বরুপ জানতে হলে আরেকটি মন্তব্য পড়তে হবে-
বিএনপি আসলে কাদের দল তা বোঝার জন্য এই সংবাদটি খুবই উৎকৃষ্ট। নিজেদের অপরাধ লুকোনোর জন্য নির্লজ্জতম মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই পত্রিকাটির কিছুমাত্র বিবেকে বাঁধেনা। বিএনপি সমর্থিত হলেই কি নৈতিকতার কোন বালাই থাকবেনা? দলীয় সংবাদপত্র হলেই কি কোন নূনতম নীতিবোধ থাকার প্রয়োজন নেই?
প্রথমতঃ তৌহিদ তার জবানবন্দীতে তাপসের নাম বলেছে তা অন্য কোন পত্রিকাতেই উল্লেখ নেই।
সব পত্রিকাতেই সাদামাটা ভাবে খবরটা এসেছে। তৌহিদ অন্যসব ডিএডি সহ বিদ্রোহের সংগে জড়িত সিপাহীদের নাম বলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ আমারদেশ রীতিমত নাটক সাজিয়েছে। দ্বিতীয়তঃ আমার দেশ কি করে জানল যে তাপসের নাম এসেছে -যা অন্য কোন পত্রিকা জানতে পারলনা? তৃতীয়তঃ বারবার সরকারী দলের নাম এসেছে সেটা-ই বা আমারদেশ জানল কি করে যা অন্য সব পত্রিকার অজানাই রয়ে গেল দিনের পর দিন?
বিএনপিরাতো আল্লাহ্কে রীতিমত ব্যাবসার পন্য বানিয়ে ছেড়েছে -তাই আল্লাহ্র প্রতি ভীত হবার মত কোন ব্যাপার তাদের মধ্যে নেই, তাই ইচ্ছেমত মিথ্যে বলতে কোন বাঁধা নেই। ইসলাম -সেতো এদেশের মানুষকে ঠকানোর উদ্দেশ্যেই বিএনপি ব্যাবহার করেছে।
বিএনপির নিজেদের অনুসরনের জন্য ইসলাম নয়।
সত্যি কথা বলা কি এত কঠিন? সৎভাবে আর কিছু হোক আর না-ই হোক অন্ততঃ আত্মসন্তুষ্টি থাকে, থাকে মনের শান্তি। সেই কথাটি মনে রেখেও বিএনপি আসলে কাদের দল তা বোঝার জন্য এই সংবাদটি খুবই উৎকৃষ্ট। নিজেদের অপরাধ লুকোনোর জন্য নির্লজ্জতম মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই পত্রিকাটির কিছুমাত্র বিবেকে বাঁধেনা। বিএনপি সমর্থিত হলেই কি নৈতিকতার কোন বালাই থাকবেনা? দলীয় সংবাদপত্র হলেই কি কোন নূনতম নীতিবোধ থাকার প্রয়োজন নেই?
বিদ্রোহের পরিকল্পনা ও সেনাসদস্য হত্যার সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন তাপস: আদালতে ডি এ ডি তৌহিদের জবানবন্দী - উপরের কথাগুলো এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দুইজন সচেতন ব্যাক্তির মতামত!
আসলে কোনটা সত্য? এইরকম প্রতিবেদন যদি মিথ্যাও হয়ে থাকে তবু কিছু সেনাসদস্যর মনে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে তার পরিনাম কি ভয়াভহ, তা কি আমরা ভেবে দেখি?? তাহলে এই মিথ্যার বেসাতির কি কোন জবাবদিহিতা নাই নাকি সাংবাদিক হলেই সবাই জবাবদিহিতার উর্দ্ধে উঠে যায় , বড় জানতে ইচ্ছে করে! নাকি দেশে একজনই সাহসী আর সত্য সন্ধানী সাংবাদিক আছে বাকিরা....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।