ঢাকা, ৮ জুন (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দিয়ে করা সংবিধানের সংশোধনীকে কেন বাতিল, অবৈধ, বেআইনি ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৬ জুনের মধ্যে এর জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে আদালত।
২৩ বছর আগের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালত আগামী ১৬ জুন এ বিষয়ের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। একই সাথে শুনানিতে আদালতকে সহায়তার জন্য ১২ জন সিনিয়র আইনজীবীকে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ্যামিকাস কিউরিরা হলেন: ড. কামাল হোসেন, টি এইচ খান, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. এম এ জহির, মাহমুদুল ইসলাম, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিইউসি, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এফ এম মেজবাহ উদ্দিন ও আবদুল মতিন খসরু।
রিটকারীদের পক্ষে এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী আজ শুনানিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ৯ জুন এরশাদ শাসনামলে সংবিধানের ৮ম সংশোধনী পাস হয়। ওই সংশোধনীর পার্ট ২(এ)-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়।
এরই মধ্যে রিটকারীদের ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। রিটকারী অপর ১০ জন হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসাইন, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুর্শিদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীর উত্তম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, ড. বদরুদ্দিন ওমর, ফয়েজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
২৩ বছর পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার কারণ জানতে চাইলে রিটকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে একটি মীমাংসায় পৌঁছবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের (রাজনৈতিক দলগুলো) মধ্যে সে ধরনের কোনো মনোভাব দেখতে না পেয়ে মামলা পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।